কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

আল্লাহর দিকে দাওয়াত : দলীয় মোড়কে নাকি পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে? (পর্ব-৪)

post title will place here
আমরা যদি চুপ থাকি অথবা আমাদের যদি চুপ রাখা হয়, তাহলে আমাদের অবস্থা ঐ উটপাখির চেয়ে খারাপ হবে, যে নিজের মাথা মাটিতে ঢুকিয়ে দেয় এই ভেবে যে, তার লজ্জাস্থান আবৃত হয়ে গেছে অথবা শিকারিরা তাকে দেখতে পাচ্ছে না!!

আর যদি মুখ খুলি, তাহলে বলা হতে পারে, শত্রুরা তো সেই মুহূর্তের অপেক্ষাতেই ছিল, যখন মুসলিমরা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে কথা বলবে!! তাহলে করণীয় কী?! (আমার মনে হয়) মুসলিমদের পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে কথা বলার ইস্যুতে আল্লাহর শত্রুদের অপেক্ষার চেয়ে মুসলিমদের মতভেদ ও বিভক্তিতে তাদের খুশি অনেক বেশি মারাত্মক। কারণ মতভেদ ও বিভেদ দৃশ্যমান একটি বিষয়, যার মন্দ ফলাফলও নিশ্চিত। কিন্তু কারো কথা তো দ্রুতই শেষ হয়ে যায়।

‘আমাদের কোনো সন্দেহ নেই যে, অনেক ভাই আছেন- যাদেরকে দ্বীনী স্বার্থবিষয়ক ঈর্ষা উদ্দীপনা যোগায়, দ্বীনী কর্মকাণ্ডের প্রতি একনিষ্ঠতা উৎসাহিত করে, কিন্তু তারা মনে করেন না যে, দলীয় কার্যক্রমের সমালোচনা ও পারস্পরিক নছীহত খোলাখুলি হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হলো, এতে দ্বীনী কাজে দোষ-ত্রুটি, ভুলভ্রান্তি ও ব্যর্থতা শত্রুর সামনে ধরা পড়বে। ফলে সে এই ছিদ্র দিয়ে গোপনে অনুপ্রবেশ করবে এবং জোরালোভাবে এসব কার্যক্রম ধ্বংসে আত্মনিয়োগ করবে। ফলে যে সময় এমনিতেই শত্রুর রূঢ়তা ও সীমালঙ্ঘন আমরা দেখতে পাচ্ছি, সে সময় এটাকে আর বাড়তে দেওয়া যায় না। তাহলে দ্বীনী কার্যক্রম ধ্বংসের আশঙ্কাও রয়ে যায়।… কিন্তু তাদের ব্রেনে আসলে দুটো বিষয় একাকার হয়ে গেছে, একটা হচ্ছে, কোনো ব্যক্তিবিশেষের ভুল সংশোধনের পদ্ধতি, যা যথানিয়মেই হওয়া উচিত। অন্যথা তা একপ্রকার কুৎসা রটনায় পরিণত হয়। আরেকটা হচ্ছে, বিভিন্ন দলের ভুল সংশোধনের পদ্ধতি, যা প্রকাশ্যে হওয়াই বাঞ্ছনীয়, যাতে সবার কাছে তা পৌঁছে যায় এবং সবাই দেখতে পায়।

আমরা এসব ভাইকে স্পষ্ট বলতে চাই, শত্রুরা যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায়, তারা আমাদের দোষ-ত্রুটি সম্পর্কে আমাদের চেয়েও বেশি জানে। কেননা তারা আজও সেই ছিদ্র দিয়েই অনুপ্রবেশ করছে, এর মাধ্যমেই তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে এবং এটাকে জিইয়ে রাখার জন্য মরণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেসব ছিদ্র পর্যবেক্ষণে আমাদের অক্ষমতা এবং সেগুলো সমাধানে আমাদের ভয়ের কথাও শত্রুরা ভালোভাবেই জানে।

আমরা যে ব্যাপারে কথা বলছি, বাস্তবতাই তার প্রমাণ। আসলেই ইসলামের শত্রুরা আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি ও ব্যর্থতা সম্পর্কে ভালো জানে। যারা সেগুলো সম্পর্কে জানে না বা স্বীকার করতে চায় না, তারা কেবল আমরাই। কারণ আমরা এগুলোর উপর অটল। আমরা এগুলোর সমাধান ও এগুলো টপকে যেতে অক্ষম’।[1]

মুসলিমরা যেসব ব্যাপারে তাদের চোখ বন্ধ করে রেখেছে, সেগুলোর মধ্যে এই ঘৃণিত বিভেদ, তাদের দলে দলে বিভক্ত হয়ে যাওয়া, তাদের চলার পথ বিভিন্ন হওয়া সবচেয়ে মারাত্মক।

এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে, মুসলিমদের একতা ও হৃদ্যতা এ সমস্যা সমাধানের একমাত্র চাবি— ‘যদি তারা বুঝত’ (আত-তাওবাহ,৯/৮১)। কারণ ‘মুসলিমদের একটি ত্বরীক্বায় আনাই হচ্ছে আসল ইসলাম’।[2]

এসব দল ও আন্দোলনের ব্যাপারে মোদ্দাকথা হচ্ছে, এদের ক্ষেত্রে দুটি অভিমত ঘুরপাক খায় :

(১) ‘হয় তারা মুসলিম উম্মাহর মধ্যে একটি ব্যাপক জনমত গড়ে তুলছে, বিশাল গণজাগরণ[3] তৈরি করছে, আল্লাহর দিকে দাওয়াতের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করছে, ইলম অনুযায়ী নছীহত করছে এবং ঔপনিবেশিকের ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করছে’।[4]

(২) অন্যথা ‘সেগুলো ঐক্য নষ্ট করছে, বিভেদ সৃষ্টি করছে, শারঈ জ্ঞানের ব্যাপারটা দুর্বল করে ফেলছে, ঐক্যের নামে ছাতার তলে বিদআতীদের লুকিয়ে রাখছে এবং প্রত্যেক দল তার সদস্য ও অন্যদের মাঝে গীবত ও নিজেদের পিপাসা নিবারণের পথ তৈরি করেছে’।[5]

উভয় অভিমতের উপর ভিত্তি করে একথা অত্যন্ত স্পষ্ট যে, এসব দল যত কল্যাণই উপহার দিক না কেন, সেগুলো এমন কিছু বীজ উৎপাদন করেছে, মুসলিম উম্মাহর ভাঙন ও ব্যাপকভিত্তিক ঐক্য বিনষ্টে যার ভূমিকা রয়েছে।

‘মুসলিম উম্মাহর শত্রুরা ঠিকই উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, এই ব্যাপক ঐক্য, শামেল মানহাজ, উম্মাহর হৃদ্যতা এবং আক্বীদা, মানহাজ ও আমলে তাদের সঙ্ঘবদ্ধতাই তাদের সম্মান, শক্তি ও প্রভাব-প্রতিপত্তির মূল কারণ। সেজন্য তারা এটাকে তছনছ করার কাজ করেছে। প্রথমে তারা নবুঅতী খেলাফত ধ্বংসের কাজ করেছে এবং এই ধারাকে সাধারণ শাসনতান্ত্রিক ধারায় রূপান্তরিত করেছে। তারপর আঞ্চলিক, অতঃপর গোত্রভিত্তিক শাসনতান্ত্রিক ধারায় রূপান্তরিত করেছে। এর পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করার সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ তারা গ্রহণ করেছে। এলক্ষ্যে দেশ, ভাষা, জাতীয়তা, মাযহাব, এমনকি মানুষের শখ, বিশ্বাস ও ঝোঁকের উপরও দলীয় মনোভাব ছড়িয়ে দিয়েছে।

দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, মুসলিম উম্মাহ এই ধ্বংসপরিকল্পনার কাছে দ্রুত আত্মসমর্পণ করেছে। মুসলিম উম্মাহ যেন কাচ বা পোড়ামাটির তৈরি বল ছিল; তারা ইস্পাত বা আগুনের তৈরি বল ছিল না।

আরো দুঃখজনক হচ্ছে, যারা বিভক্তি ও মতভেদের যুগে বেড়ে উঠেছে, তাদের কাছে বিভক্তিই দ্বীনধর্মে পরিণত হয়েছে। কারণ বিভক্তি উত্তরাধিকার সত্বের আওতাভুক্ত হয়ে গেছে। বরং তাদের কাছে দ্বীনটাই হয়ে গেছে বিভক্তি। কেননা তারা দ্বীনকে দেশ, সম্প্রদায়, মাযহাব, শায়খ-মাশায়েখ ও বিভিন্ন দলে ভাগ করে ফেলেছে।

তারপর এসেছে আগের চেয়েও ভয়ানক তিক্ততা। কারণ দ্বীনের লক্ষ্য অর্জন ও মুসলিমস্বার্থ চরিতার্থে খোদ ইসলামের দিকে দাওয়াতই এখন বিভক্তি ও বিভেদের মানহাজ অনুসরণ করতে শুরু করেছে।

অথচ একথা নিশ্চিত জানা যে, বৃহৎ ঐক্য ও ব্যাপক ভ্রাতৃত্ব ছাড়া দ্বীনের বড় বড় লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়’।[6]

প্রশ্ন হচ্ছে, দলাদলি কি সেই বৃহৎ ঐক্যের সাথে যায়?! বিভক্তি কি এই ব্যাপকভিত্তিক ভ্রাতৃত্বের সাথে মিশে?! এই যুগে ‘ইসলামী আন্দোলন’[7] কি বিভিন্ন দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে যে, প্রত্যেকটা দল নিজের জন্য ইসলামী আন্দোলনের ধ্বজাধারী হওয়ার দাবী করছে?! কঠিন বাস্তবতা কি আমাদের জন্য শরীআতের বিরোধিতা করার অনুমতি দিয়েছে?! আমরা আসলে কোন লক্ষ্যপানে ছুটে চলেছি? কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য বাস্তবায়নে শরীআতসম্মত উপায় আসলে কী? লক্ষ্য এবং মাধ্যম আমাদের কাছে কেন একাকার হয়ে যাচ্ছে?! লক্ষ্য এবং কর্ম কেন বিপরীতমুখী হচ্ছে?! কীভাবে আমরা বিভিন্ন বিষয়কে পরিমাপ করব?! কীভাবে আমরা শরীআতের হুকুম অবগত হব?! কীভাবে আমরা ভালো-মন্দের মধ্যে তুলনা করব?! কীভাবেই-বা কল্যাণ-অকল্যাণের মধ্যে আমরা তুলনা করব?!

মুমিন যুবকের কিংকর্তব্যবিমূঢ়তা দূর করার উদ্দেশ্যে কুরআন, সুন্নাহ ও উলামায়ে কেরামের বক্তব্যের আলোকে আমরা এসব প্রশ্ন ও সমস্যাগুলোর জবাব দেওয়ার চেষ্টা করব।

আমরা নিশ্চিতভাবে জানি যে, ‘ইসলামী দল ও সংগঠনগুলোর ইজতেহাদ সমালোচনা ও সংশোধনের বাইরে নয়’।[8] আর এ উদ্দেশ্যেই আমরা দল ও দলীয় লোকজনের সমালোচনা করছি। সুতরাং কারো বুক যেন সংকীর্ণ না হয়ে যায় এবং ধারণার আগুনে পুড়ে দগ্ধীভূত না হয়।

আমরা একথাও নিশ্চিত জানি, দলাদলি ও দলবাজিদের[9] বিরুদ্ধে কথা বলা মানে এই নয় যে, ‘হক্ব কথা বলার জন্য বা কোনো যালেমকে প্রতিহত করার জন্য বা কোনো অভাবীকে সাহায্য করার জন্য অথবা মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে শত্রুতা-সীমালঙ্ঘন প্রতিহত করার জন্য একজন মুসলিমের দ্বিতীয় ও তৃতীয় কারো সাথে মেশা জায়েয নয়’[10]- যেমনটি কেউ কেউ ধারণা করে থাকে। তাদের এ ধারণা একেবারে অবান্তর।

বরং পারস্পরিক শরীআতসম্মত সহযোগিতা ও একাগ্র দ্বীনী কর্মকাণ্ডের দরজা খোলা রয়েছে তাদের জন্য, যারা একাজের যোগ্য এবং তা অবশ্যই হতে হবে শরীআতের নিয়মনীতির আলোকে। ‘আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা শরীআতের ধারক-বাহক সম্প্রদায় থেকে কোনো যুগকেই খালি রাখেন না, যারা অপবাদ আরোপকারীদের দাঁতভাঙা জবাব দেন এবং বিভ্রান্তদের বিভ্রান্তির মুখোশ উন্মোচন করেন’।[11]

আল্লাহর ইচ্ছায় নছীহত শোনার জন্য বা গঠনমূলক সমালোচনা পাওয়ার জন্য হৃদয়টা খোলা রয়েছে। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ রব্বুল আলামীনের জন্য।

বিনীত

আলী ইবনে হাসান ইবনে আলী ইবনে আব্দুল হামীদ আল-হালাবী আল-আছারী।

(চলবে)

মূল : আলী ইবনে হাসান আল-হালাবী আল-আছারী

বইটির লেখক আলী ইবনে হাসান ইবনে আলী ইবনে আব্দুল হামীদ আল-হালাবী আল-আছারী (জন্ম : ১৩৮০ হিজরী) একজন ফিলিস্তীনী সালাফী আলেম। তিনি আল্লামা মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানীর অত্যন্ত ঘনিষ্ট ও প্রিয় ছাত্র ছিলেন। শায়খ আলবানী, শায়খ ইবনে বায, শায়খ বাকর আবূ যায়েদ, শায়খ মুক্ববিল ইবনে হাদী, শায়খ আব্দুল মুহসিন আল-আব্বাদ প্রমুখ জগদ্বিখ্যাত উলামায়ে কেরাম শায়খ আলী আল-হালাবীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি একাধারে প্রসিদ্ধ আলোচক এবং বহু গ্রন্থপ্রণেতা।

অনুবাদ : আব্দুল আলীম ইবনে কাওছার মাদানী

 বি. এ. (অনার্স), উচ্চতর ডিপ্লোমা, এম. এ. এবং এম.ফিল., মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সঊদী আরব; অধ্যক্ষ, আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।


[1]. মুহাম্মাদ উবাইদ হাসানা, নাযারত ফী মাসীরতিল আমালিল ইসলামী,

পৃ. ৪৫।

[2]. মুহাম্মাদ রশীদ রেযা, আল-ওয়াহদাতুল ইসলামিয়্যাহ, পৃ. ১৯।

[3]. অনেক শুনি বা পড়ি, ‘নতুন এই ইসলামী জাগরণ ইসলামী দলগুলোর অবদান’ (আব্দুর রহমান আব্দুল খালেক, মাশরূ‘ইয়্যাতুল ‘আমাল আল-জামা‘ঈ, পৃ. ২৭-২৮)। এর জবাবে আমরা বলতে চাই, এই জাগরণ ‘শুরু হয়েছিল জামালুদ্দীন আফগানীর ডাকের মাধ্যমে। তারপর তা মুহাম্মাদ আব্দুহু-এর হাত ধরে উন্নতি সাধন করে। তারপর রশীদ রেযার হাত ধরে তার ‘আল-মানার’ পত্রিকার মাধ্যমে প্রসার লাভ করে। যা অবিচ্ছিন্নভাবে পুরো ৩০ বছর মুসলিমচেতনায় ইছলাহী চিন্তাধারার খোরাক যোগায়। তারপর এই তৎপরতা সালাফী আন্দোলনের মাধ্যমে প্রসার লাভ করে: বাদীস, মালেক ইবনে নাবী… তারপর সাংগঠনিক তৎপরতার মাধ্যমে প্রসার লাভ করে: আল-বান্না, নাবহানী… এমনি করে ধারাবাহিকভাবে এই তৎপরতা বাড়তে থাকে ও বড় হতে থাকে, যা এখন নিয়ন্ত্রণ ও সীমায়িত করা কঠিন। কারণ তা এখন সাধারণ জনগণের জাগরণের বাহ্যিক নিদর্শনে পরিণত হয়েছে; কোনো সংগঠন, দল ও দৃষ্টিভঙ্গির চেয়েও তা বড় হয়ে গেছে’ (আন-নাক্বদুয যাতী, পৃ. ২৮)

আসলে ‘বাস্তবতা হচ্ছে, শেষের দুই দশকে বিভিন্ন জামাআতের আন্দোলন মূলত ইসলামী জাগরণের অবদান’ (শায়খ সা‘দ আল-হুছাইন কর্তৃক লেখকের কাছে প্রেরিত পত্র, নম্বর: ১৩৬), এর বিপরীতটা নয়।

ইসলামী আন্দোলনের ভুলভ্রান্তি সম্পর্কে জানতে দেখুন: শায়খ বাকর আবু যায়েয, মু‘জামুল মানাহী আল-লাফযিয়্যাহ, পৃ. ২০৯।

[4]. আয়েয আল-ক্বরনী, আল-হারাকাতুল ইসলামিয়্যাহ আল-মু‘আছেরাহ, পৃ. ১০।

[5]. আয়েয আল-ক্বরনী, আল-হারাকাতুল ইসলামিয়্যাহ আল-মু‘আছেরাহ, পৃ. ১০।

[6]. সম্পাদকীয়, মাজাল্লাতুল ফুরকান আল-কুয়েতিয়্যাহ, সংখ্যা: ৪, পৃ. ৪-৫।

[7]. এখানে একটু ইঙ্গিত দিয়ে রাখতে চাই, ‘ইসলামী আন্দোলন’ পরিভাষাটি কোনো দলের দলীয় কার্ড নয় যে, তা বিলি করা হবে। বরং যারই ইসলামের ব্যাপারে উৎসাহ-উদ্দীপনা রয়েছে এবং এক্ষেত্রে শক্তি-সামর্থ্য ব্যয় করে, সে-ই ‘ইসলামী আন্দোলন’-এর সদস্য— সে কোনো সংগঠনের ভেতরে থাক বা না থাক। কিন্তু অবস্থা যদি এর বিপরীত হয়, তাহলে সে ‘ইসলামী আন্দোলন’-এর সদস্য হতে পারে না— যদিও সে দলীয় কার্ড বহন করুক না কেন। খালেছ জালাবী প্রণীত ‘আন-নাক্বদুয যাতী’ কিতাবের ২২৮ পৃষ্ঠায় এসেছে, এটা এমন একটা পরিভাষা, যাকে নিষিদ্ধ শব্দসমূহের (المناهي اللفظية) তালিকায় যুক্ত করা উচিত।

[8]. আব্দুর রহমান আব্দুল খালেক, মাফহূমুন নাক্বদিয যাতী, মাজাল্লাতুল ফুরকান আল-কুয়েতিয়্যাহ, সংখ্যা: ১৫, পৃ. ৭।

[9]. হাসান আল-বান্না, মাজমূ‘আতুর রসায়েল, পৃ. ১৪৬।

[10]. আব্দুর রহমান আব্দুল খালেক, মাফহূমুন নাক্বদিয যাতী, মাজাল্লাতুল ফুরকান আল-কুয়েতিয়্যাহ, সংখ্যা: ১৭, পৃ. ২৬।

[11]. আল-মুনতাক্বা আন-নাফীস মিন তালবীসি ইবলীস, পৃ. ৪৪৫।

Magazine