কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

ধুমপান কি হারাম?

বাম হাতে চায়ের কাপ ধরে, ডান হাতে থাকা লম্বা সিগারেটের ধোঁয়া টেনে নাক ও মুখ দিয়ে ছাড়তে ছাড়তে সুরজ বলল, ‘এখন ভারতের পরিস্থিতি খুবই খারাপ, বুঝলি’। 

আমরা আজকে এসেছি আমাদের মেস থেকে কিছুটা দূরে, বাপীদার চায়ের দোকানে। এখানে খুব ভালো চা পাওয়া যায় বলে আমরা মাঝেমধ্যেই আসি। আমার সঙ্গে আছে আহমাদ, সুরজ, কাফিল ও সাহিল।

চায়ের দোকানকে অনেকেই বলে থাকে ‘মিনি নবান্ন’[1]। কেউ কেউ বলে বাঙালির শ্রেষ্ঠ পি.এন.পি.সি’[2]-এর জায়গা। প্রত্যেকটি নামকরণের পেছনে যে কারণগুলো রয়েছে, পাঠকদের মধ্যে যারা নিয়মিত বা অনিয়মিত চায়ের দোকানে পদচারণা করেন, নিঃসন্দেহে আপনারা সকলেই অবগত আছেন।

সুরজের কথার পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে মুখ খুলল আহমাদ। হাতে থাকা দৈনিক সংবাদপত্রটি থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে সুরজের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘দেশের কথা ভাবার আগে নিজের কথা ভেবে দেখ। হারাম জিনিস মুখে দিয়ে নিজের ও দশের বারোটা বাজিয়ে দেশের পরিস্থিতির জন্য উদ্বিগ্ন হচ্ছিস’।

‘হারাম’ কথাটি পছন্দ হলো না কাফিলের। তৎক্ষণাৎ আহমাদকে বলল, ‘ধূমপান করা কি হারাম?’

‘হ্যাঁ, নিঃসন্দেহে। এতে কোনো ডাউট নেই’। আহমাদ বলল।

‘তবে আমাদের গ্রামের মওলানারা কেন বলে যে, ধূমপান করা মাকরূহ? আর কিছু মওলানাকে তো আমি নিজেই দেখেছি ধূমপান করতে’। কাফিল প্রত্যুত্তরে জানাল।

সুরজ কাফিলের কথাকে সমর্থন জানিয়ে বলল, ‘আমাদের গ্রামেও তো’।

‘তাহলে তো এই বিষয়ের উপর কিছু কথা বলতে হয়। যদি তোদের শোনার মানসিকতা থাকে, তাহলে আলোচনা করতে পারি’। আহমাদ বলল।

আমি তো রাজি। মাথা নাড়িয়ে জানালাম। সুরজ ও কাফিল উভয়েই ‘হ্যাঁ’ সূচক ইঙ্গিত দিল। শুধুমাত্র সাহিল, কিছু না বলে আহমাদের রেখে দেওয়া সংবাদপত্রটি হাতে নিয়ে মনোযোগ দিল। আমাদের আলোচনায় তেমন আগ্রহ দেখালো না।

আমি আহমাদকে আমার একটি ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললাম, ‘গত বছর কলকাতায় আমার এক বন্ধুকে বলেছিলাম, ধূমপান হারাম। তাতে সে একটি চটি বই বের করে দেখালো যে, ধূমপান মাকরূহ। আমিও আর তর্কে এগোইনি’।

আহমাদ বলল, ‘বিষয়টি তর্কের নয়। বিষয়টি হচ্ছে সঠিক উপলব্ধির। সাধারণ মানুষের বেশিরভাগই ফিক্বহের এই পরিভাষাগুলোর সঠিক মর্মার্থ উপলব্ধি করতে পারে না। জানিস, ধূমপানকে মাকরূহ বলার পেছনে একটি কারণ আছে। তবে সেই কারণ দেখিয়ে মাকরূহ বলার যুক্তি এখন আর নেই। তাই, ধূমপানকে বর্তমান আলেমরা হারাম বলে ফতওয়া দিয়েছেন’।

‘কী সেই কারণ?’ সুরজ বলল।

‘ধূমপান রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে তাঁর সমাজে বিদ্যমান ছিল না। প্রায় হাজার বছর পরে তা বিভিন্ন মানব সমাজে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। তামাক ও ধূমপান প্রচলিত হওয়ার পরে কোনো কোনো ফক্বীহ মত প্রকাশ করেন যে, তা ‘মুবাহ’ বা বৈধ। কারণ তা অবৈধ করার মতো কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ পাওয়া যায় না। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই অধিকাংশ ফক্বীহ মত প্রকাশ করেন যে, ধূমপান মাকরূহ অর্থাৎ শরীআতের দৃষ্টিতে অন্যায় ও অপছন্দনীয় কর্ম। এর কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন যে, দেহে বা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে এমন খাদ্য ভক্ষণ করতে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন। বিশেষত এইরূপ খাদ্য ভক্ষণ করে মসজিদে গমন করতে নিষেধ করে তিনি বলেন, ‘যদি কেউ রসুন খায়, তবে সে যেন তার দুর্গন্ধ দূর না হওয়া পর্যন্ত মসজিদে না আসে বা আমাদের সাথে ছালাত আদায় না করে এবং রসুনের দুর্গন্ধ দিয়ে আমাদেরকে কষ্ট না দেয়। কারণ মানুষ যা থেকে কষ্ট পায়, ফেরেশতাগণও তা থেকে কষ্ট পান’।[3]

এ হাদীছ ও এ অর্থের আরও অনেক হাদীছের আলোকে ফক্বীহগণ বলেছেন যে, পিয়াজ, রসুন বা কোনো দুর্গন্ধযুক্ত খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ করে মুখে বা দেহে তার দুর্গন্ধ নিয়ে মসজিদে গমন করা মাকরূহ। আর ধূমপানের মাধ্যমে মুখে যে দুর্গন্ধ হয়, তা পিয়াজ বা রসুনের দুর্গন্ধের চেয়ে অনেক বেশি কষ্টদায়ক। বিশেষত অধূমপায়ীদের জন্য এবং স্বভাবতই ফেরেশতাগণের জন্য। আর পিয়াজ, রসুন ইত্যাদি খেয়ে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে মসজিদে যাওয়ার সুযোগ আছে, কিন্তু ধূমপানের দুর্গন্ধের ক্ষেত্রে তা মোটেও সম্ভব নয়। এজন্য অধিকাংশ ফক্বীহ একমত হন যে, ধূমপান সর্বাবস্থায় মাকরূহ।

পরবর্তীকালে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে, ধূমপান মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এজন্য আধুনিক যুগের অধিকাংশ আলেম ধূমপান হারাম বলেছেন।[4]

কাফিল বলল, ‘এক মিনিট! প্রথমে বললি যে, ধূমপান নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে ছিল না। তবে আমার প্রশ্ন হলো, যে জিনিস নবীজীর যুগে ছিল না, তা কীভাবে হারাম হয়?’

আহমাদ বলল, ‘পানাহার ও জাগতিক বিষয়ে একটি মূলনীতি হলো, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে বিদ্যমান না থাকার কারণে যে সকল খাদ্য ও পানীয় সম্পর্কে তাঁর কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই, সে বিষয়ে তাঁর অন্যান্য নির্দেশনার আলোকে ইজতিহাদ করতে হবে।[5]

‘দেখ, কোনো বস্তু হারাম হওয়ার জন্য নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবিত থাকা বা না থাকা শর্ত নয়। এ সম্পর্কে তাঁর প্রদত্ত মূলনীতিই প্রযোজ্য। যেমন : নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে অনেক বস্তুই ছিল না, যেগুলো বর্তমানে আমরা ব্যবহার করছি’।

কাফিল বলল, ‘তারপরও আমার মনে হয়, ধূমপান হারাম হলে কুরআন ও হাদীছে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকত? যেমন : রক্ত, শূকর, মৃত জীব, মদ প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে’।

‘তুই যে ভাত-মুড়ি খাস, এগুলো হালাল না হারাম?’ আহমাদ বলল।

‘হালাল’।

‘কিন্তু, এগুলো যে হালাল এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনের কোথায় স্পষ্টভাবে বলা আছে? আবার বল তো, হিরোইন, গাঁজা এগুলো হালাল, হারাম না মাকরূহ?’

‘হারাম’।

‘কিন্তু, এগুলোও যে হারাম তা স্পষ্টভাবে কোথায় বলা আছে?’

কাফিল মাথায় হাত দিয়ে কী যেন ভাবল। আমি আহমাদের মুখ পানে চেয়ে আছি।

আহমাদ বলতে শুরু করল, ‘এইভাবে প্রশ্ন করতে শুরু করলে অনেক প্রশ্ন আসবে। যেমন : (ক) আল্লাহ তাআলা কুরআনে এবং নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীছে সূদকে হারাম ঘোষণা করেছেন। কিন্তু কুরআন ও হাদীছে কোথাও সূদী কোম্পানিদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাহলে কি ব্যাংক, এল.আই.সি[6], ইন্সুরেন্স, পি.এফ ইত্যাদির সূদকে বৈধ বলতে পারা যাবে? () আল্লাহ তাআলা কুরআনে এবং নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীছে যেনাকে হারাম ঘোষণা করেছেন। কিন্তু কুরআন ও হাদীছে কোথাও কোন দেশের মেয়ে, কোন জাতের মেয়ে, কোন ধর্মের মেয়ে, কোন রংয়ের মেয়ে, আরাবিয়ান না ইন্ডিয়ান? ছোট না বড়? কিছুই বলা হয়নি। তাহলে কি ছোট জাতের মেয়ের সঙ্গে যেনা করলে বৈধ বলা যাবে?[7]

নিশ্চয়ই নয়। এ ব্যাপারে কিছু মূলনীতি রয়েছে। আর কুরআন তো কোনো খাদ্য তালিকার গ্রন্থ নয় যে, একে একে নাম ধরে উল্লেখ করবে এটি হালাল অথবা এটি হারাম। পৃথিবীতে কত খাদ্যবস্তু, ফলমূল, শাকসবজি, শস্য, পানীয় আছে। এছাড়াও রয়েছে অসংখ্য মানব জীবনের প্রয়োজনীয় উপকরণ। যদি নাম ধরে ধরে উল্লেখ করা হতো, তাহলে কুরআনের কলেবর কত বেশি হতো, জাস্ট একবার ভেবে দেখ?’

আমি কাফিলের মুখের দিকে চাইলাম। দেখলাম, সে চিন্তার রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে। হয়তো ভাবছে, এইভাবে কুরআনে এলে কুরআনের ভলিয়ম কত হতো?

আহমাদ পুনরায় বলতে শুরু করল, ‘এজন্যই ইসলামী শরীআত যাবতীয় খাদ্যকে খাবীছ ও তাইয়েব (পবিত্র ও অপবিত্র)-এ দুই ভাগে ভাগ করেছে। যা তাইয়েব তা হালাল, আর যা খাবীছ তা হারাম। উল্লেখ হয়েছে ‘তিনি তাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল সাব্যস্ত করেন আর অপবিত্র বস্তুসমূহ হারাম সাব্যস্ত করেন’ (আল-আ‘রাফ, ৭/১৫৭)[8]

‘এখন বল তো, ধূমপান অর্থাৎ বিড়ি, সিগারেট এগুলো পবিত্র না অপবিত্র?’

সুরজ ও কাফিল কী বলবে ভাবছে! আমি হেসে বললাম, ‘পবিত্র হলে কী কেউ পায়খানাতে বসে পান করে!’

আহমাদ বলল, ‘পয়েন্ট টু বি নোটেড মাই ব্রো!’

কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের লোক টয়লেটে বসে ভালো খাবার খেতে পারে না। এদের কর্মই প্রমাণ করছে যে, এটি অপবিত্র বস্তু তথা খাবীছ, যা হারাম।

এখনকার আলেমগণ ধূমপানকে কেন হারাম বলেছেন, দলীলসহ আমি তার আলোচনা করব। তার আগে মাকরূহ বিষয়ে একটু আলোচনা করে নিই, তাহলে অনেক সংশয় দূরীভূত হবে ইনশা-আল্লাহ!

‘আচ্ছা! তোদের মধ্যে কেউ বলতে পারবি, ‘মাকরূহ’ মানে কী?’ আহমাদ বলল।

কাফিল বলল, ‘না। সঠিকভাবে বলতে পারব না। তবে পরিভাষাটা মওলানাদের মুখে শুনেছি। তাতে বুঝেছি যে, হারাম নয়, খেলে কোনো পাপ হবে না’।

‘ঠিক মাকরূহ কাজ করলে কোনো পাপ হবে না। তবে ফিক্বহের পরিভাষায় মাকরূহ কী তা বুঝিয়ে বলছি’। আহমদ বলল।

‘মাকরূহ শব্দের আভিধানিক অর্থ : ঘৃণিত, নিন্দনীয়, অপছন্দনীয়। ফিক্বহের পরিভাষায় : ‘শরীআত প্রণেতা যা সাধারণভাবে করতে নিষেধ করেন, আবশ্যিকভাবে ছেড়ে দেওয়ার জন্য নয়, তাকে মাকরূহ বলে’। মাকরূহ কাজ আনুগত্যের ভিত্তিতে বর্জনকারী ছওয়াব পাবে এবং তা পালনকারীকে শাস্তি দেওয়া হবে না।[9]

আচ্ছা! এইবার বল তো, কোনো ভালো মানুষ, যে কোনো নিন্দনীয় কাজ ধারাবাহিকভাবে করতে পারে?’

‘না’। আমি বললাম।

‘তাহলে যারা বিড়ি, সিগারেট অর্থাৎ ধূমপান করে, তারা কি মাঝে মধ্যে করে, নাকি রেগুলার করে?’

‘রেগুলার করে’। সুরজ বলল।

‘তাহলে নিন্দনীয় কাজ যদি কেউ রেগুলার করে, তাদের কী বলা হবে? এজন্যে দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে ফতওয়া দেওয়া হয়েছে যে, এই বলে আহমাদ তাঁর মোবাইল থেকে দুটি ফতওয়া লিঙ্ক ওপেন করে দেখালো। যাতে ইংরেজিতে লেখা আছে, ‘Smoking cigarette for enjoyment without a habit is makrooh (undesirable), if one insists on it and smokes regularly which may be injurious to his health, then smoking cigarette is unlawful (haram)’.[10]

‘The tobacco which causes intoxication is haram as the hadith says: every intoxicant is haram. But, the tobacco which is smelly (not intoxicant) it is makrooh (undesirable) while one which is free from intoxication and bad smell is lawful’.[11]

‘যার সারমর্ম হলো, সিগারেট কেউ যদি অভ্যাস ছাড়া বিনোদনের জন্য পান করে, সেটা মাকরূহ। আর যদি কেউ রেগুলার পান করে, যা তার স্বাস্থ্যের ক্ষতি সাধন করবে, তা হারাম। আবার তামাকের ক্ষেত্রে যেটিতে মাদকতা রয়েছে, সেটি হারাম। তবে মাদকতা না থাকলে সেটি হবে মাকরূহ’।

আমি বললাম, ‘কিন্তু কেউ তো এইভাবে বলে না। ঢালাওভাবে ধূমপানকে মাকরূহ বলে দেয়’।

‘হ্যাঁ, এটা মনে হয় নিজেদের অপকর্মকে চাপা দেওয়ার জন্য মাসআলাটিকে হালকাভাবে উপস্থাপন করে। আবার হতে পারে, নিজেরা এর সাথে যুক্ত অথবা এই ব্যবসার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের দান সাদরে গ্রহণ করে। তাই হারাম শব্দ ইউজ করতে বাধাপ্রাপ্ত হয়’।

‘সে যাইহোক, বর্তমানে অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম আমাদের উপমহাদেশ বা এর বাইরের কান্ট্রির ‘ধূমপান হারাম’ মর্মে একাধিক ফতওয়া ইস্যু করেছে। সেই কারণগুলো বিশ্লেষণ করে শোনাচ্ছি, ‘শাইখ মুহাম্মাদ ইবনে জামীল যাইনু, ‘ইসলামী জীবন পদ্ধতি’[12] নামে একটি পুস্তক লিখেছেন। সেখানে তিনি প্রায় ১০টি দলীল উপস্থাপন করে ধূমপান হারাম, তা প্রমাণ করেছেন। আমি তার মধ্যে থেকে বিশেষ বিশেষ পয়েন্টগুলো উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ।

(আগামী সংখ্যায় সমাপ্য)


জাবির হোসেন

এম. এ. (অধ্যয়নরত), বাংলা বিভাগ, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, মুর্শিদাবাদ, ভারত।


[1]. ‘নবান্ন’ হলো পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া শহরের একটি সরকারি ভবন। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস এখানে।

[2]. ‘পি.এন.পি.সি’ হলো পরনিন্দা-পরচর্চার সংক্ষিপ্ত রূপ।

[3]. ছহীহ বুখারী, হা/৮৫৩; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৩৮-১১৩৯।

[4]. ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ, ‘খুতবাতুল ইসলাম, (প্রকাশনায় : আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স), পৃ. ৩৭১।

[5]. প্রাগুক্ত।

[6]. এল.আই.সি: Life Insurance Corporation of India সংক্ষেপে LIC বা এল.আই.সি। বাংলা: ভারতীয় জীবন বীমা নিগম। এটি ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বড় বীমা ও বিনিয়োগকারী সংস্থা।

[7]. মাসিক সরলপথ (প্রকাশনায় : সরলপথ এডুকেশনাল এ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, উমারপুর, মুর্শিদাবাদ, আগস্ট-২০১৪), পৃ. ১০।

[8]. আবু তাহের মিছবাহ, ইসলামকে জানতে হলে (প্রকাশনী : দারুল কলম প্রকাশনী), পৃ. ৩৩০।

[9]. শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে ছালিহ আল-উছায়মীন রাহিমাহুল্লাহ, ফিক্বহের মূলনীতি (প্রকাশনায় : মাকতাবাতুস সুন্নাহ), পৃ. ১৮-১৯।

[10]. https://darulifta-deoband.com/home/en/Halal--Haram/4803.

[11]. https://darulifta-deoband.com/home/en/Food--Drinks/8136.

[12]. ‘শায়খ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনু’-এর লেখা ‘ইসলামী জীবন পদ্ধতি’ বইটি আরবী ভাষায় লেখা। মূল গ্রন্থের নাম ‘তাওজীহাত ইসলামিয়া’। বাংলা অনুবাদকের নাম ‘মতীউর রহমান আব্দুল হাকীম সালাফী’। ডাউনলোড লিংক:

Magazine