কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

তাহলে কবে তুমি নিজেকে চিনবে?

post title will place here

তোমরা হয়তো প্রতিনিয়ত মানুষের সাথে জীবনঘনিষ্ঠ বাস্তবিক, হাস্যকর, মঙ্গল-অমঙ্গল নানাবিধ ঘটনা শুনে থাক। তন্মধ্যে কিছু কথা আছে যা দেশপ্রেম সর্ম্পকিত, কিছু বিষয় চরিত্রকে উন্নত করে, কিছু কাহিনীর মাঝে থাকে বিনোদন; থাকে সান্ত্বনা। কিন্তু আমার আজকের এই কথাগুলো সকল কথার চেয়ে অধিক তাৎপর্যবহ। আর হ্যাঁ, আমি যে এর লেখক এজন্য (এটা গুরুত্বপূর্ণ) নয়। ধোঁকায় নিপতিত হওয়া থেকে আমি আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। অবশ্য এবিষয়টি তোমাদের সাথেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তোমার খুব কাছের। কেননা, তা তোমাদের জন্য এমন এক আয়না, যার দ্বারা নিজেদের চিন্তে পারবে ও নিজেদের ভালো করে পরখ করতে পারবেন।

ওহে জ্ঞানীরা! আমার কথায় হেসো না। ভেবো না যে, আমি তোমাদের সাথে রসিকতা করছি। তোমরা এ কথা বলো না যে, ‘আমাদের মাঝে এমন কে আছে যে নিজেকে চেনে না?’ নিশ্চয় এথেন্স মন্দিরের দেওয়ালে সক্রেটিসের এই উক্তিটি লেখা ছিল যে, ‘ওহে মানুষেরা! নিজেকে চেনো’। সক্রেটিসের যুগ থেকে আজ পর্যন্ত খুব কম মানুষই পাওয়া গেছে, যারা নিজেকে চেনে!

হে আমার ভাই! সকাল থেকে শুরু করে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত তুমি তো বিভিন্ন কথা, কাজ, হাসিঠাট্টা আর বই নিয়েই মশগূল থাক। তাহলে কবে তুমি নিজেকে চিনবে? তুমি নিত্যদিন সামান্য কিছু সময়ের জন্য হলেও একটু নির্জনে থাকার চেষ্টা করো। ওই সময়টাতে তুমি কেবল ভাবনার সাগরে অবগাহন করো। যখন মাথায় থাকবে না কোনো ব্যবসার চিন্তা, জ্ঞানার্জন অথবা ভোগসামগ্রী নিয়ে কোনো ব্যস্ততা। তুমি নিজেকে নিয়ে চিন্তা না করলে আপন সত্তাকে কীভাবে চিনবে? তোমার কার্যকলাপ দেখে বিস্ময় লাগে! সবসময় মানুষের চিন্তায় বিভোর থাক; অথচ নিজেকে নিয়ে ভাবার একটুখানি সময় নেই তোমার! তাহলে কবে তুমি নিজেকে চিনবে?

বলো তো, একটিবারও কি তোমার মনে এই প্রশ্নটি উদয় হয়েছে যে, ‘আমি কে?’ কেবল আমার এই দেহটাই কি আমি? এই অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আর হাড়-হাড্ডিগুলোই কি আমি?’

নিশ্চয় শরীর কোনো রোগ-ব্যাধিতে নষ্ট হয়ে গেলে পা পঙ্গু হয়ে যায় অথবা হাত কর্তিত হয়। কিন্তু এতে করে আমাতে কোনো কমতি হয় না। অর্থাৎ, আমার ‘আমিত্বে’ কোনো চির ধরে না।

তাহলে ‘আমি’ কী?

একদিন তুমি ছিলে শিশু। তারপর তুমি যৌবনে পদার্পণ করলে। এরপর একদিন তুমি প্রৌঢ়ে পরিণত হবে। এতে তোমার মনে একবারও কি এই প্রশ্নের উদয় হয়েছে যে, ‘ওই ছোট্ট শিশুটিই কি এই যুবক? কিন্তু কীভাবে? আমার শরীর তো তার শরীরের মতো নয়। আমার বুঝ আর তার বুঝ তো এক নয়। আমার এই হাতটি তো সেই ছোট্ট হাত নয়। তাহলে ওই হাতটি কোথায় হারিয়ে গেল? আর এটাইবা কোত্থেকে আসলো? ব্যক্তি যখন ভিন্ন ভিন্ন, তাহলে আমি কোনটা? আমি কি ওই শিশুটিই, যে মারা গিয়েছে। যার শরীরের কোনো অংশ এবং চিন্তা-চেতনা আমার মাঝে বিদ্যমান নেই? নাকি আমি সেই প্রৌঢ়, যে এখন এই কথাগুলো উপস্থাপন করছে? নাকি আমি সেই বৃদ্ধ, যে তার রূপ ধরে বলহীন দেহ আর পরিশ্রান্ত মস্তিষ্ক নিয়ে অচিরেই আগমন করবে’।

তুমি বলো যে, ‘আমি আমার নফসের সাথে কথা বলছি এবং আমার নফস আমার সাথে কথা বলছে’। এভাবে কি তুমি কখনো ভেবেছ, ‘তুমি কে? তোমার নফস কে? তোমাদের মাঝে সীমারেখাটা কী? কীভাবেই-বা তুমি তার সাথে কথা বলবে অথবা সে তোমার সাথে কথা বলবে?’

প্রাতঃকালে তুমি একটি ঘণ্টাধ্বনি শুনতে পাবে। যা তোমাকে জাগ্রত করার জন্য ডাক দিবে— সময় হয়ে গেছে। ঠিক সেই সময়ে তুমি তোমার মনের গহীন থেকে একজন আহ্বানকারীকে অনুভব করবে, যে তোমাকে ঘুম থেকে জেগে ওঠার আহ্বান জানাবে। অতঃপর তুমি যখন বিছানা ছেড়ে উঠতে যাবে, দুজন আহ্বানকারী তোমাকে ডাকতে আরম্ভ করবে। তন্মধ্যে একজন আরো খানিক সময় ঘুমিয়ে নেওয়ার আমন্ত্রণ জানাবে। তখন তুমি বিছানার উষ্ণতা এবং তন্দ্রার স্বাদ উপলব্ধি করবে। অতঃপর দুজন আহ্বানকারীই তোমাকে নিয়ে টানাটানি করতে লাগবে। জাগরণের আহ্বানকারী আর নিদ্রার আহ্বানকারী।

তুমি কি জানো, এটা কী এবং ওটা কী? আর তুমি তাদের মাঝে কী?

এটা হচ্ছে নফস, যা তোমার জন্য পাপকে সুশোভিত করে দেয় এবং তার স্বাদকে তোমার সামনে চিত্রিত করে তুলে ধরে। আর তোমাকে সেদিকেই টেনে নিয়ে যায়। আর ওটা হচ্ছে আক্বল, যা তোমাকে তার থেকে তাড়িয়ে নিয়ে যায় এবং তা হতে দূরবর্তী করে দেয়।

তুমি কি কোনোদিনও ভেবেছ, মন্দের প্রতি অত্যধিক নির্দেশকারী ‘নফস’ কী এবং তা হতে প্রতিহতকারী ‘বিবেক’ কী? আর তুমি কী?

প্রবৃত্তি যখন তোমাকে উত্তেজিত করে ফেলে, তখন তুমি মনে কর, পুরো পৃথিবীটাই বাসরঘর আর এই জীবনটা শুধু দেহ সম্ভোগের জন্যই। কামনা-বাসনাগুলো তোমার মাঝে এমনভাবে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে যে, যদি তা শয়তানকেও দেওয়া হয়, তাহলে এর বীভৎসতায় শয়তানও আঁতকে উঠত। অতঃপর যখন তোমার প্রবৃত্তি দমিত হয়, তখন এই বাসনাকে দুনিয়ার সবচেয়ে জঘন্য ও ঘৃণ্য জিনিস মনে হয় তোমার কাছে। তখন তোমার মনে হয়, সেই স্থানে পৌঁছা অপেক্ষা অধিক নির্বুদ্ধিতার কাজ আর কিছুই হতে পারে না। তোমার মন-মাঝারে উষ্মার ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকে। তখন নিজেকে কষ্ট দেওয়ার মাঝেই তুমি তৃপ্তি খুঁজে পাও। নিজের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিয়েই তুমি আহ্লাদিত হও। তুমি হিংস্র প্রাণীর ন্যায় চলতে থাক। তোমার মনুষ্যত্ব পশুত্বে পরিণত হয়। অতঃপর রাগ যখন তোমার থেকে বিদায় নেয়, তখন যাতে তুমি স্বাদ পেতে তার মাঝে ব্যথা অনুভব কর এবং তোমার কৃত কামনার জন্য অনুশোচিত হও।

তারপর তুমি বিভিন্ন ইতিহাস, কাহিনী এবং কবিতা পাঠ কর। তখন এমন অনুভব কর যেন একজন ফেরেশতা তোমাকে স্থির করে দিয়েছেন। ফলে তুমি যেন পুরো বিশ্ব ডানাহীন উড়ে বেড়াচ্ছ। তার উত্তমতা ও সৌন্দর্যতা অবলোকন করছ। তারপর তুমি বই রেখে দেও। কিন্তু ওই বিশ্বের কোনো ছিটেফোঁটাও তুমি নিজের মাঝে এবং বাস্তবতায় খুঁজে পাও না। তুমি কি একবারও জানতে চেয়েছ, ওসব কিছুর মাঝে আমি কোনটি? আমি কি ওই প্রবৃত্তিপরায়ণ মানুষটি, যে প্রতিটি হারাম কাজ ভোগ করে এবং প্রত্যেক কদর্যময় কাজ হালাল মনে করে? নাকি ওই ভয়ংকর লোকটি, যে তার ভাইয়ের রক্তপান করে, তাকে শাস্তি দেওয়ার মারফত খাদ্যলাভ করে এবং তাকে কষ্ট দিয়েই নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করে? নাকি ওই উন্নত চরিত্রবান ব্যক্তিটি, যে নির্মল গগনে ডানাহীন উড়ে বেড়ায়? আমি কি হিংস্র প্রাণী, নাকি শয়তান, নাকি ফেরেশতা?

তুমি কি জানো, তুমি অনন্য, তুমি অভিজ্ঞ, তুমি একের ভিতর অনেক, তুমি অজ্ঞেয় এক জগৎ? তুমি তৈরি করতে পার অজানা এক পৃথিবী। তুমি আবিষ্কার করতে পার বায়ুমণ্ডলের স্তর। কিন্তু সর্বদায় তুমি নিভৃতে থেকেছ। কেউ তোমার সুপ্ত প্রতিভা উদ্ঘাটন করেনি। তুমি কি একবারও নিজের মাঝে প্রবেশ করে তোমার অজ্ঞতাগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছ?

তোমার মন হলো এক বিস্ময়কর বিশ্ব। যা কখনো স্ব স্থানে বহাল থাকে না। যখন তুমি কাউকে ভালোবাসবে, তখন সে তোমার কাছে ফেরেশতা বনে যায়। কিন্তু যখনই তাকে আর ভালো লাগে না, তখন তাকে শয়তান মনে হয় তোমার কাছে। কিন্তু সে তো কখনো ফেরেশতাও ছিল না; ছিল না কোনো শয়তানও। সে পরিবর্তন হয়নি। বরং তোমার মনের অবস্থাই পরিবর্তন হয়েছে। তেমনিভাবে, যখন তুমি আনন্দিত থাক, তখন পুরো দুনিয়াটাকে হাস্যোজ্জ্বল মনে হয় তোমার কাছে। এমনকি তখন তুমি যদি চিত্রকর হতে, তাহলে তুমি তোমার স্লেটে রংতুলির আঁচড়ে এর চিত্রটা এঁকে ফেলতে। অতঃপর যখন তুমি বিপাকে পড়, তখন এই বসুন্ধরাকে তুমি ক্রন্দনরত অবস্থায় দেখতে পাও। যেন তা শোকের আঁধারে ছেয়ে গেছে। কিন্তু দুনিয়া তো কখনো কাঁদেও না, হাসেও না। বরং তুমিই কাঁদ, তুমিই হাস।

তাহলে তোমার মাঝের রূপান্তরটা কী? দুনিয়ার ব্যাপারে তোমার কোন বিধানটি অতি সত্য? কোন চিন্তাটি সর্বাধিক বিশুদ্ধ? যখন তুমি বিপদে নিপতিত হও, তখন তোমার মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়। দুনিয়াটাকে বিষাদ লাগে। বাগানের সৌন্দর্যতা হারিয়ে যায়। সূর্যের কিরণ নিভে যায়। চাঁদের শুভ্রতা কালো হয়ে যায়। তুমি দার্শনিক হলে, দুনিয়াটা অমঙ্গলের দর্শনে ভরপুর হয়ে যায়। আর কবি হলে, তোমার কর্ণকুহরে শুধু প্রতিধ্বনিত হয় কষ্টের গান। অতঃপর এক কাপ ভ্যারেণ্ডার[1] তেল দিয়ে যখন তোমার ব্যথা নির্বাপিত হয়, তখন তোমার দর্শনের অমঙ্গলতাও দূরীভূত হয় এবং কবিতাস্থিত কষ্টের পঙতিগুলোও হারিয়ে যায়।

হে মানুষ! যদি এক কাপ ভ্যারেণ্ডার তেল না থাকত, তাহলে তোমার দর্শন আর কবিতার কী অবস্থা হতো? তাহলে তুমি দুর্বল হয়ে যেতে। তোমার শরীর হয়ে যেত নিস্তেজ। নড়াচড়াও করতে পারতে না তুমি। অতঃপর যখন এক কম্পন সৃষ্টি হলো এবং খুশির ঢল নেমে এলো, তখন তুমি এমনভাবে লাফিয়ে উঠলে, যেন তুমি কোনো রশি থেকে ছুটে এসেছ অথবা হরিণের দৌড়ের ন্যায় দৌড়াচ্ছ। তাহলে তোমার এই শক্তি কোথায় সুপ্ত ছিল? তোমার মনে কি একবারই এই শক্তি-সন্ধানের চিন্তা উদয় হয়নি? রাগান্বিত অথবা আনন্দিত অবস্থায় তুমি নিজেকে একবারও জিজ্ঞেস করেছ, কীভাবে এগুলো হচ্ছে?

হে ভাই! নিশ্চয় মন হলো বহতা নদীর ন্যায়। যার ফোঁটা কখনো সে স্থানে স্থির থাকে না। স্ব অবস্থায় অবিচল থাকে না একটি মুহূর্তও। সে চলে যায় এবং অপরটি এগিয়ে আসে। সে তার পেছনের জনকে ধাক্কা মারে, পেছনের জন আবার তাকে ধাক্কা দেয়। প্রতিটি মুহূর্তেই কেউ বাঁচে, কেউ মরে। আর তুমি হলে সব। তুমি বাঁচ আবার তুমিই মর। অতএব, তুমি পূর্ণতা লাভ করো। উপরে ওঠো। সদা জন্ম দিয়ে যাও। সংস্কার করো। সুদক্ষ হও। কখনো বলো না— আমি তা পারব না। নিশ্চয় তুমি তো সর্বদায় বৃক্ষের সতেজ ডালের ন্যায়। কেননা, অন্তর কখনো শুকিয়ে যায় না এবং স্ব অবস্থায় অবিচল থাকে না। যদিও অবস্থা এর বিপরীত হয়।

ধরো, তুমি সবসময় দীর্ঘ রাত পর্যন্ত জেগে থাকতে অভ্যস্ত। অতঃপর ধীরে ধীরে তুমি তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেষ্টা করলে। অবশেষে দেখবে, এটা তোমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তখন তুমি বিস্মিত হয়ে যাবে— কীভাবে এত রাত জেগে থাকা আমার পক্ষে সম্ভবপর হয়েছিল! আবার মনে করো, তুমি একজন নিয়মিত মদ্যপায়ী। তোমার ধারণা— কখনোই তুমি মদপান করা ছাড়তে পারবে না। তারপর একসময় যখন তুমি মদ্যপান ছেড়ে দাও, তখন তুমি অবাক হয়ে ভাবতে লাগবে— ছি! কীভাবে আমি তা পান করতাম! তেমনি ধরো, তুমি কোনো মেয়েকে ভালোবাস। তখন তুমি মনে কর, তাকে ছাড়া তুমি বাঁচতে পারবে না। তারপর কোনো একদিন তোমাদের মাঝে ব্রেকআপ হয়ে যায় এবং তুমি তাকে ভুলে যাও। তখন তুমি ভাবতে থাক— কীভাবে আমি ওকে ভালোবাসতাম! অর্থাৎ, তোমার সেই সাবেক প্রেমিকার প্রতি এক ধরনের ঘৃণা বিরাজ করবে তোমার মাঝে।

অতএব, তুমি কখনো বলো না— আমি তা ত্যাগ করতে পারব না। নিশ্চয় সর্বদাই তুমি একজন যাত্রী। এরকম প্রত্যেকটি অবস্থাই তোমার জন্য একেকটি স্টেশন। সুতরাং, তুমি তা থেকে যাত্রা শুরু করার পূর্বেই তাতে অবতরণ করো না।

হে ভাই! নিজেকে চেনো। নির্জনে থাকো। একান্ত বিষয়গুলো নিয়ে ডুবে থাকো। সর্বদাই জনতে চেষ্টা করো— নফস কী? বিবেক কী? জীবন কী? বয়স কী? শেষ পরিণতি কী?

কখনো ভুলে যেয়ো না, যে নিজেকে চেনে— সে তার রব, তার জীবন ও প্রকৃত স্বাদ চিনতে পারে। নিশ্চয় সবচেয়ে বড় শাস্তি তাকেই দেওয়া হবে, যে তার রবকে ভুলে যায়। আর সে-ই তো তার রবকে ভুলে যায়, যে নিজেকে ভুলে যায়৷ যে নিজেকে চেনে না।

মূল : ড. আলী তানতাবী

অনুবাদ : সাব্বির আহমাদ


* صور و خواطر গ্রন্থ থেকে অনূদিত, পৃ. ৪৭-৫০।

[1]. বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি প্রশমিত করতে ভ্যারেণ্ডার তেল ব্যাবহার করা হয়। —অনুবাদক

Magazine