কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

আল্লাহর নিকট প্রিয় আমলসমূহ

যেসব আমল আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়, আমাদের উচিত সেসব আমলের প্রতি সচেষ্ট হওয়া। যাতে করে আমরা আল্লাহর নৈকট্য হাছিল করতে পারে। আলোচ‍্য প্রবন্ধে আল্লাহর নিকট প্রিয় আমলসমূহ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো-

১-২. আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা ও তার পথে জিহাদ করা : আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা ও তার পথে জিহাদ করা হচ্ছে, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল। আবূ যার গিফারী রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল সর্বোত্তম? তিনি বললেন, إِيمَانٌ بِاللّٰهِ وَجِهَادٌ فِىْ سَبِيلِه ‘আল্লাহ তাআলার প্রতি ঈমান আনা এবং তাঁর পথে জিহাদ করা’।[1]

৩. যথাসময়ে ছালাত আদায় করা : আল্লাহর নিকট প্রিয় আমলসমূহের মধ্যে যথাসময়ে ছালাত আদায় করা অন্যতম। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, الصَّلاَةُ لِوَقْتِهَا ‘যথাসময়ে ছালাত আদায় করা’।[2]

৪. ছিয়াম : এ মর্মে হাদীছে এসেছে, আবূ উমামা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করেছিলেন, কোন আমল সর্বোত্তম? রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, عَلَيْكَ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لاَ عِدْلَ لَهُ‏ ‘তুমি ছিয়াম পালন করো। কেননা এর সমতুল্য কোনো ইবাদত নেই’।[3]

৫. মাবরূর হজ্জ : মাবরূর হজ্জ তথা গ্রহণযোগ‍্য হজ্জ আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন আমল সর্বোত্তম? তিনি বললেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর বিশ্বাস স্থাপন’। আবার জিজ্ঞেস করা হলো, তারপর কোন আমল? তিনি বললেন, ‘আল্লাহর পথে জিহাদ করা’। আবারও জিজ্ঞেস করা হলো, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘হাজ্জে মাবরূর অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য হজ্জ’।[4]

৬. পিতা-মাতার সাথে সৎ ব্যবহার করা : হাদীছে এসেছে,

عَنْ أَبِى عَمْرٍو الشَّيْبَانِىِّ يَقُولُ حَدَّثَنَا صَاحِبُ هَذِهِ الدَّارِ وَأَشَارَ إِلَى دَارِ عَبْدِ اللهِ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ أَيُّ الْعَمَلِ أَحَبُّ إِلَى اللهِ قَالَ الصَّلاَةُ عَلَى وَقْتِهَا قَالَ ثُمَّ أَيٌّ قَالَ ثُمَّ بِرُّ الْوَالِدَيْنِ قَالَ ثُمَّ أَيٌّ قَالَ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللهِ.

আবূ আমর শায়বানী রাহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর বাড়ির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, এ বাড়ির মালিক আমাদের নিকট হাদীছ বর্ণনা করেছেন, আমি আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে ছালাত আদায় করা’। ইবনু মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহু পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, অতপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘অতপর পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার’। ইবনু মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহু আবার জিজ্ঞেস করলেন, অতপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘অতপর আল্লাহর পথে জিহাদ’।[5]

৭. আল্লাহর যিকির : আল্লাহর নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় কাজের মধ্যে আল্লাহর যিকির অন‍্যতম। মুআয ইবনু জাবাল রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, أَنْ تَمُوتَ وَلِسَانُكَ رَطْبٌ مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ ‘তুমি মারা যাবে এই অবস্থায় যে, তোমার জিহ্বা আল্লাহর যিকিরে থাকবে তরতাজা’।[6] অন‍্য হাদীছে এসেছে, আবূ দারদা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ بِخَيْرِ أَعْمَالِكُمْ وَأَزْكَاهَا عِنْدَ مَلِيكِكُمْ وَأَرْفَعِهَا فِي دَرَجَاتِكُمْ وَخَيْرٌ لَكُمْ مِنْ إِنْفَاقِ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ وَخَيْرٌ لَكُمْ مِنْ أَنْ تَلْقَوْا عَدُوَّكُمْ فَتَضْرِبُوا أَعْنَاقَهُمْ وَيَضْرِبُوا أَعْنَاقَكُمْ قَالُوا بَلَى قَالَ‏ ذِكْرُ اللَّهِ تَعَالَى.

‘আমি কি তোমাদের তোমাদের উত্তম আমল প্রসঙ্গে জানাবো না, যা তোমাদের মনিবের নিকট সবচেয়ে পবিত্র, তোমাদের সম্মানকে সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছে দেয় এমন, স্বর্ণ ও রৌপ্য দান করার চেয়ে বেশি উত্তম এবং তোমাদের শক্রর মোকাবিলায় অবতীর্ণ হয়ে তাদেরকে তোমাদের হত্যা করা ও তোমাদেরকে তাদের হত্যা করার চাইতে অধিক উত্তম?’ তারা বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, ‘তা হলো, আল্লাহর যিকির’।[7]

৮-৯. আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা এবং সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করা : এমর্মে হাদীছে এসেছে,

عَنْ قَتَادَةَ عَنْ رَجُلٍ مِنْ خَثْعَمَ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِيْ نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ قَالَ قُلْتُ أَنْتَ الْذِيْ تَزْعَمُ أَنَّكَ رَسُوْلُ اللهِ قَالَ نَعَمْ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُوْلُ اللهِ أَيُّ الْأَعْمَالِ أَحَبُّ إِلى اللهِ قَالَ إِيْمَانٌ بِاللهِ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ ثُمَّ مَه قَالَ ثُمَّ صِلَةُ الرَّحِمِ ...قَالَ قُلْتُ يَا رَسُوْلُ اللهِ ثُمَّ مَه قَالَ ثُمَّ الْأَمْرُ بَالْمُنْكَرِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمَعْرُوْفِ.

ক্বাতাদা রাযিয়াল্লাহু আনহু খাছ‘আম গোত্রের একজন ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলাম। আর তিনি তখন ছাহাবীদের মধ্যে ছিলেন। আমি বললাম, আপনি কি সেই ব্যক্তি, যিনি নিজেকে আল্লাহর রাসূল বলেন? তিনি বলেন, ‘হ‍্যাঁ’। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! কোন আমল আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়? তিনি বললেন, ‘আল্লাহর প্রতি ঈমান’। আমি বললাম, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা...’। আমি বললাম, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘সৎকাজের আদেশ দেওয়া ও অসৎ কাজে নিষেধ করা’।[8]

১০. স্থায়ী সৎ আমল : স্থায়ী সৎ আমল আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়। অনেকেই বিশেষ ছওয়াব প্রাপ্তির আশায় অনুপ্রাণিত হয়ে কোনো নেকীর আমল করতে শুরু করে। কিন্তু কিছুদিন পর ঐ আমলটা নিয়মিত করে না, যা একেবারেই অনুচিত। কুরআন ও হাদীছে নেকীর কাজ নিয়মিত করার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, أَحَبُّ الْأَعْمَالِ إِلَى اللهِ أَدْوَمُهَا وَإِنْ قَلَّ ‘আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল হলো, যা সর্বদা সম্পাদন করা হয়, যদিও তা (পরিমাণে বা সংখ্যায়) অল্প হয়’।[9]

১১. দু’ ফোটা অশ্রু ও আল্লাহর রাস্তায় আঘাতের চিহ্ন : এ প্রসঙ্গে হাদীছে এসেছে, আবূ উমামা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, لَيْسَ شَيْءٌ أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ مِنْ قَطْرَتَيْنِ وَأَثَرَيْنِ قَطْرَةٌ مِنْ دُمُوعٍ فِي خَشْيَةِ اللَّهِ وَقَطْرَةُ دَمٍ تُهَرَاقُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَأَمَّا الأَثَرَانِ فَأَثَرٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَأَثَرٌ فِي فَرِيضَةٍ مِنْ فَرَائِضِ اللَّهِ ‘দু’ ফোটা অশ্রু ও রক্ত প্রবাহিত হওয়ার দু’টি চিহ্নের চেয়ে বেশি প্রিয় আল্লাহ তাআলার নিকট আর কিছু নেই। আল্লাহ তাআলার ভয়ে যে অশ্রুর ফোটা পড়ে, আল্লাহ তাআলার পথে (জিহাদে) যে রক্তের ফোটা নির্গত হয় এবং আল্লাহ তাআলার রাস্তায় (জিহাদে) যে চিহ্ন (ক্ষত) সৃষ্টি হয়, আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত কোনো ফরয আদায় করতে গিয়ে যে চিহ্ন সৃষ্টি হয় (যেমন কপালে সিজদার চিহ্ন)’।[10]

১২. যিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল : যিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়।

عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مِنْ أَيَّامٍ الْعَمَلُ الصَّالِحُ فِيهَا أَحَبُّ إِلَى اللهِ مِنْ هَذِهِ الْأَيَّامِ يَعْنِي الْعَشْرَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللهِ قَالَ وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللهِ إِلَّا رَجُلٌ خَرَجَ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ فَلَمْ يَرْجِعْ مِنْ ذَلِكَ بِشَيْءٍ.

ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর নিকট (যিলহজ্জ মাসের) ১০ দিনের সৎ আমলের চাইতে অধিক পছন্দনীয় আর কোনো আমল নেই’। ছাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর পথে জিহাদও নয় কি? তিনি বললেন, ‘আল্লাহর পথে জিহাদও নয়, কিন্তু যে ব্যক্তি তার জান-মালসহ আল্লাহর পথে বের হয়ে তার কোনো কিছু নিয়ে আর ফিরে আসে না (তার মর্যাদা অনেক)’।[11]

১৩. ক্রোধ সংবরণ করা : আল্লাহরনিকট প্রিয় আমলসমূহের মধ্যে ক্রোধ সংবরণ করা অন্যতম। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, مَا مِنْ جُرْعَةٍ أَعْظَمُ أَجْرًا عِنْدَ اللَّهِ مِنْ جُرْعَةِ غَيْظٍ كَظَمَهَا عَبْدٌ ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বান্দার ক্রোধ সংবরণে যে মহান প্রতিদান রয়েছে, তা অন্য কিছু সংবরণে নেই’।[12]

পরিশেষে আল্লাহর কাছে দু‘আ করি, আমরা যেন উক্ত আমলসমূহ সম্পাদনের মাধ্যমে তাঁর প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারি। আল্লাহ আমাদের সেই তাওফীক্ব দান করুন- আমীন!


মো. দেলোয়ার হোসেন

আলিম ২য় বর্ষ, চরবাটা ইসমাঈলিয়া আলিম মাদরাসা, সুবর্ণচর, নোয়াখালী।

[1]. ছহীহ বুখারী, হা/২৫১৮; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৪; মিশকাত, হা/৩৩৮৩।

[2]. ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/১৪৭৮; দারেমী, হা/১২৬১।

[3]. নাসাঈ, হা/২২২২, হাদীছ ছহীহ।

[4]. ছহীহ বুখারী, হা/২৬; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৩; তিরমিযী, হা/১৬৫৮; মিশকাত, হা/২৫০৬।

[5]. ছহীহ বুখারী, হা/৫২৫; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৫।

[6]. ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৮১৮; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৪৯২; ছহীহুল জামে‘, হা/১৬৫।

[7]. তিরমিযী, হা/৩৩৭৭, হাদীছ ছহীহ; ইবনু মাজাহ, হা/৩৭৯০; মিশকাত, হা/২২৬৯।

[8]. মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা, হা/৬৮৩৯; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২৫২২; ছহীহুল জামে‘, হা/১৬৬।

[9]. ছহীহ বুখারী, হা/৬৪৬৫; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৮২; মিশকাত, হা/১২৪২।

[10]. তিরমিযী, হা/১৬৬৯; মিশকাত, হা/৩৮৩৭।

[11]. ছহীহ বুখারী, হা/৯৬৯; তিরমিযী, হা/৭৫৭; আবূ দাঊদ, হা/২৪৩৮; ইবনু মাজাহ, হা/১৭২৭।

[12]. ইবনু মাজাহ, হা/৪১৮৯, হাদীছ ছহীহ; মিশকাত, হা/৫১১৬।

Magazine