কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

অল্প আমলে অধিক নেকী

post title will place here

সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহ তাআলার জন্য, যিনি তাঁর বান্দাদের ভুল হওয়া সত্ত্বেও বারবার ক্ষমা করে দেন। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক রহমাতুল্লিল আলামীন মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি। তাঁর পরিবার-পরিজন ও আহলে বায়তের প্রতি। 

পৃথিবীতে কি এমন কেউ আছে, যে তার অবাধ্য ব্যক্তিকেও খুব বেশি ভালোবাসে? প্রতিদিন ডেকে ডেকে বলে, তুমি শুধু একটিবার আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিব? অথবা এমন কি কেউ আছে, যে তার অবাধ্য ব্যক্তিকে বলে, আমার ভালোবাসা থেকে নিরাশ হয়ো না; নিরাশ হয়ো না আমার ক্ষমা থেকে?

না, এমন কেউ-ই নেই, যে তার অবাধ্য ব্যক্তিকেও খুব ভালোবাসবে, নিষেধাজ্ঞা জারি করবে ক্ষমা পাওয়া থেকে নিরাশ হওয়ার জন্য। তবে হ্যাঁ, একটা সত্তা আছেন, যিনি তাঁর বান্দাদের অবাধ্যতা সত্ত্বেও খুব বেশি ভালোবাসেন, অবাধ্য হওয়ার পরও বারবার মাফ করে দেন। পাপের সাগরে হাবুডুবু খাওয়ার পরও শুধু হৃদয়ের একটু অনুশোচনাবোধের কারণে পৌঁছে দেন পাড়ে, দাখিল করান ছালেহীনের কাতারে।

عَنْ أَنَسٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ قَالَ اللهُ تَعَالٰـى: يَا ابْنَ آدَمَ، إِنَّكَ مَا دَعَوْتَنِي وَرَجَوْتَنِي غَفَرْتُ لَكَ عَلَى مَا كَانَ مِنْكَ وَلاَ أُبَالِي يَا ابْنَ آدَمَ لَوْ بَلَغَتْ ذُنُوبُكَ عَنَانَ السَّمَاءِ، ثُمَّ اسْتَغْفَرْتَنِي غَفَرْتُ لَكَ وَلاَ أُبَالِي يَا ابْنَ آدَمَ إِنَّكَ لَوْ أَتَيْتَنِي بِقُرَابِ الأَرْضِ خَطَايَا، ثُمَّ لَقِيتَنِي لاَ تُشْرِكُ بِي شَيْئاً لأَتَيْتُكَ بِقُرابِهَا مَغْفِرَةً.

আনাস রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, হে আদম সন্তান! যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি আমাকে ডাকবে ও আমার কাছে (ক্ষমার) আশা রাখবে, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিব, তোমার থেকে যা-ই কিছু (পাপ) হোক না কেন, এতে আমি কোনো পরোয়া করব না। হে আদম সন্তান! তোমার গোনাহ যদি আকাশের মেঘ পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তারপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা চাও, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিব, এতে আমি কোনো পরোয়া করব না। হে আদম সন্তান! তুমি যদি পৃথিবীর কাছাকাছি পরিমাণ পাপ নিয়ে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ কর, কিন্তু আমার সঙ্গে কাউকে শরীক না করে থাক, তাহলে পৃথিবীর কাছাকাছি পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে আমি তোমার নিকট উপস্থিত হব।[1] আল্লাহ তাআলা বলেন, إِلَّا مَنْ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَئِكَ يُبَدِّلُ اللهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا ‘তবে যে ব্যক্তি তওবা করে, ঈমান আনয়ন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের পাপগুলোকে পুণ্যে পরিবর্তন করে দিবেন। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (আল-ফুরক্বান, ২৫/৭০)। 

তারপরও মানুষ নিরাশ হয়ে যেতে পারে। তারা যাতে মোটেই নিরাশ না হয়, অবিচলিত থাকে আল্লাহর পথে এ জন্য তিনি বলেছেন, قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللهِ إِنَّ اللهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ ‘বলুন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের উপর অন্যায় করেছ— তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না; নিশ্চয়ই আল্লাহ সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দিবেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (আয-যুমার, ৩৯/৫৩)

তাই তিনি চান না যে, তাঁর বান্দাদের কেউ জাহান্নামের আগুনে পুড়ুক, ভোগ করুক যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। এজন্য আল্লাহ আআলা অনুগ্রহ করে আমাদেরকে গুনাহ মাফের বিভিন্ন সুযোগ দিয়েছেন, দিয়েছেন নেকী অর্জনের আকর্ষণীয় অফার। তন্মধ্যে কয়েকটি হলো :

(১) যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত যিকিরটি একবার পাঠ করবে, জান্নাতে তার জন্য একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হবে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, مَنْ قَالَ: سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ، ‌غُرِسَتْ ‌لَهُ ‌نَخْلَةٌ ‌فِي ‌الْجَنَّةِ ‘যে ব্যক্তি “সুবহানাল্লাহিল আযীমি ওয়াবি হামদিহী” বলবে, জান্নাতে তার জন্য একটি খেজুরগাছ লাগানো হবে’।[2]

(২) যে ব্যক্তি ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ বলবে, তার পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশি সমপরিমাণ হয়। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, مَنْ قَالَ سُبْحَانَ الله وَبِحَمْدِهِ فِي يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ حُطَّتْ عَنْهُ خَطَايَاهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ ‘যে ব্যক্তি দিনে ১০০ বার “সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী” বলবে, তার পাপসমূহ ক্ষমা করা হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমপরিমাণ হয়’।[3]

(৩) যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত দু‘আটি পাঠ করবে, সে জিহাদের ময়দান থেকে পলায়নের মতো অতি জঘন্য কাজ করলেও তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,مَنْ قَالَ: أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيَّ الْقَيُّومَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ غُفِرَ لَهُ، وَإِنْ كَانَ قَدْ فَرَّ مِنَ الزَّحْفِ ‘যে ব্যক্তি বলবে, “আস্ততাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল কইয়ূম ওয়া আতূবু ইলায়হি”। (অর্থ : আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃত কোনো মা‘বূদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সকল কিছুর পরিচালক, আমি তাঁর কাছেই তওবা করছি।) তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে, যদিও সে যুদ্ধের ময়দান হতে পলায়ন করে থাকে’।[4]

(৪) কেউ যদি অসুস্থ অবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা করে, তবে সে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মতো পাপমুক্ত হয়ে যায়। শাদ্দাদ ইবনু আওস রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ: إِذَا ابْتَلَيتُ عَبْدًا مِنْ عِبَادِي مُؤْمِنًا، فَحَمِدَنِي وَصَبَرَ عَلَى مَا ابْتَلَيْتُهُ بِهِ، فَإِنَّهُ يَقُومُ مِنْ مَضْجَعِهِ ذَلِكَ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ مِنَ الْخَطَايَا، وَيَقُولُ الرَّبُّ عَزَّ وَجَلَّ لِلْحَفَظَةِ: إِنِّي أَنَا قَيَّدْتُ عَبْدِي هَذَا وَابْتَلَيْتُهُ، فَأَجْرُوا لَهُ مَا كُنْتُمْ تُجْرُونَ لَهُ قَبْلَ ذَلِكَ وَهُوَ صَحِيحٌ ‘নিশ্চয় মহামহিম আল্লাহ বলেন, আমি যখন আমার কোনো মুমিন বান্দাকে পরীক্ষায় ফেলি, আর সে আমার প্রশংসা করে এবং আমার পক্ষ থেকে আরোপিত বিপদে ধৈর্যধারণ করে, তাহলে সে তার বিছানা থেকে ঐ দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে উঠে, যেদিন তার মা তাকে জন্ম দিয়েছিল, আর মহান প্রতিপালক (মানুষের আমল) সংরক্ষণকারী ফেরেশতাদের বলেন, আমি আমার এই বান্দাকে আবদ্ধ করে রেখেছি এবং মুছীবতে ফেলেছি। সুতরাং তোমরা তার ঐ আমলগুলোর নেকী জারী রাখো, ইতোপূর্বে সুস্থাবস্থায় যে আমলের নেকীগুলো তার জন্য তোমরা জারী রাখতে’।[5]

(৫) এক মুসলিম অপর মুসলিমের সাথে সাক্ষাৎ করে সালাম-মুছাফাহা করলে পরস্পর আলাদা হওয়ার পূর্বেই তাদের পাপ মাফ করে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,مَا مِنْ مُسْلِمَيْنِ يَلْتَقِيَانِ فَيَتَصَافَحَانِ إِلاَّ غُفِرَ لَهُمَا قَبْلَ أَنْ يَفْتَرِقَا ‘যখনই দু’জন মুসলিম পরস্পর সাক্ষাৎ করে মুছাফাহা করে, তারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্বেই তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হয়’।[6]

(৬) কেউ পোশাক পরিধানের সময় নিম্নের দু‘আটি পাঠ করলে তার পূর্বের ও পরের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,مَنْ لَبِسَ ثَوْبًا فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي هَذَا الثَّوْبَ وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلا قُوَّةٍ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ ‘যে ব্যক্তি পোশাক পরিধান করে বলে, “আল-হামদুলিল্লা-হিল্লাযী কাসানী হাযাছ ছাওবা ওয়া রাযাক্বানীহি মিন গায়রি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুওয়াহ”। (অর্থ : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে এই পোশাক পরিধান করিয়েছেন এবং আমাকে তা প্রদান করেছেন, আমার কোনো শক্তি ও ক্ষমতা ছাড়াই।) তাহলে তার পূর্বের ও পরের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে’।[7]

(৭) কেউ খাবার শেষে নিম্নের দু‘আটি পাঠ করলে তার পূর্বের সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি খাবার শেষে বলল,الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّةٍ “আল-হামদুলিল্লা-হিল্লাযী আত্বআমানী হাযা ওয়া রাযাক্বানীহি মিন গায়রি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুওয়াহ”। (অর্থ : সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য, যিনি আমাকে এই খাদ্য আহার করিয়েছেন এবং আমাকে তা প্রদান করেছেন আমার কোনো শক্তি ও ক্ষমতা ছাড়াই।) তার পূর্বের ও পরের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।[8]

(৮) যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশের সময় নিম্নের দু‘আটি পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য ১০ লক্ষ নেকী দান করবেন, তার ১০ লক্ষ গুনাহ মাফ করেন এবং তার ১০ লক্ষ মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। দু‘আটি হলো,لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكُ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ حَىٌّ لاَ يَمُوتُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ইউহয়ী ওয়া ইউমিতু ওয়াহুয়া লা ইয়ামূত বি ইয়াদিহিল খায়র, ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর’। (অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোনো মা‘বূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, সকল রাজত্ব তাঁরই, তাঁর জন্যই সমস্ত প্রশংসা, তিনিই জীবন দান করেন ও মৃত্যু দেন, তিনি চিরঞ্জীব, তিনি কক্ষনো মৃত্যুবরণ করবেন না, তাঁর হাতেই কল্যাণ এবং তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান’)।[9]

এছাড়াও ফযীলতসংক্রান্ত আরো অনেক হাদীছ আছে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সেগুলো জানার ও মানার ‍তাওফীক্ব দান করুন- আমীন!

শিক্ষার্থী, মাদরাসা মুহাম্মাদীয়া আরাবীয়া, উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।

[1]. তিরমিযী, হা/৩৫৪০, হাদীছ ছহীহ।

[2]. সিলসিলা ছহীহা, হা/৬৪।

[3]. ছহীহ বুখারী, হা/৬৪০৫; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৯১; মিশকাত, হা/২২৯৬।

[4]. আবূ দাঊদ, হা/১৫১৭, হাদীছ ছহীহ; মিশকাত, হা/২২৫৩।

[5]. আহমাদ, হা/১৭১১৮; সিলসিলা ছহীহা, হা/২০০৯; মিশকাত, হা/১৫৭৯, হাসান।

[6]. আবূ দাঊদ, হা/৫২১২, হাদীছ ছহীহ।

[7]. আবূ দাঊদ, হা/৪০২৩, হাসান।

[8]. তিরমিযী, হা/৩৪৫৮; ইবনু মাজাহ, হা/৩২৮৫, হাসান।

[9]. তিরমিযী, হা/৩৪২৮; ইবনু মাজাহ, হা/৩২৩৫, হাসান।

Magazine