ভূমিকা: দুনিয়া শব্দটির মধ্যেই রয়েছে ক্ষণস্থায়ী, তুচ্ছ ও পরীক্ষা-নির্ভর এক জীবনের ইঙ্গিত। এই পৃথিবী আমাদের সামনে নানা রঙিন স্বপ্ন ও মোহময় আহ্বান তুলে ধরে। জৌলুস, খ্যাতি, সম্পদ ও আরাম-আয়েশের অসংখ্য চমকপ্রদ দৃশ্যপট লুকিয়ে আছে দুনিয়ার ভাঁজে ভাঁজে। আমরা অনেকেই সেই মায়ার ঘোরে নিজের সত্তাকে হারিয়ে ফেলি। বাহ্যিক চাকচিক্য আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঠিকই; কিন্তু হৃদয়ের গভীরে জন্ম নেয় এক শূন্যতা, এক অতৃপ্তি, যা কখনো পূরণ করা যায় না।
প্রকৃত মুমিন সেই, যে এই ধোঁকার বাস্তবতাকে চিনে নেয় এবং উপলব্ধি করে যে, আসল জীবন এই দুনিয়ায় নয়; বরং আখেরাতের জীবনই আসল জীবন। এ দুনিয়া কেবল এক পরীক্ষাক্ষেত্র, যেখানে মানুষের চরিত্র, নাফস, ধৈর্য ও ঈমানের দৃঢ়তা যাচাই করা হয়। সেই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে আমাদের চিরস্থায়ী পরিণতি। নিচে কুরআন ও হাদীছের আলোকে এই বাস্তবতাগুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো।
১. আল্লাহর কাছে দুনিয়ার কোনো মূল্য নেই: আজকের মানুষ দুনিয়ার সম্পদ, খ্যাতি, বিলাসিতা ও মোহে এতটাই ডুবে গেছে যে, পরকাল ও স্রষ্টার কথা প্রায় ভুলেই যাচ্ছে। এমনকি সত্য ও ন্যায়ের মূল্যবোধ হারিয়ে শুধু লাভ ও নামের পেছনে দৌড়াচ্ছে। অথচ যার কাছে আমরা সবকিছু চাই, সেই আল্লাহর কাছে এই দুনিয়ার দামই নেই! এটি এমন এক বিস্ময়কর বাস্তবতা, যা উপলব্ধি করলে হৃদয় দুনিয়ার প্রতি উদাসীন হয়ে যায়। যেমনটা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,لَوْ كَانَتِ الدُّنْيَا تَعْدِلُ عِندَ اللَّهِ جَنَاحَ بَعُوضَةٍ، مَا سَقَى كَافِرًا مِنْهَا شَرْبَةَ مَاءٍ ‘যদি আল্লাহর কাছে সমগ্র দুনিয়া একটি মশার ডানার সমানও হতো, তবে তিনি কোনো কাফেরকে এক চুমুক পানিও পান করতে দিতেন না’।[1]
এই হাদীছ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আল্লাহ তাআলার দৃষ্টিতে দুনিয়ার কোনো মূল্য নেই। ধনসম্পদ বহুলাংশে মানুষকে আখেরাত থেকে উদাসীন করে তোলে। আর মুমিনদের জন্য আল্লাহ তাআলা আখেরাতে রেখেছেন চিরস্থায়ী জান্নাত, যেখানে আনন্দের কোনো সীমা থাকবে না।
২. দুনিয়া খেল-তামাশা ও ধোঁকার জায়গা: এই দুনিয়া মানুষকে আনন্দ, খেলাধুলা, সৌন্দর্য আর প্রতিযোগিতার ভেতর ডুবিয়ে রাখে। আমরা শিশুর মতো খেলায় ব্যস্ত থাকি, বড় হয়ে সেই খেলাধুলা বদলে যায় ধনসম্পদের প্রতিযোগিতায়, সন্তানসন্ততির গর্বে, বাহ্যিক সৌন্দর্যের মোহে। কিন্তু এগুলো সবই অস্থায়ী। এগুলোর কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। প্রকৃত আত্মসচেতন মানুষ দুনিয়ার আড়ালে থাকা ধোঁকাকে চিনে নেয় এবং আখেরাতকে গুরুত্ব দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন,اعْلَمُوا أَنَّمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا لَعِبٌ وَلَهْوٌ وَزِينَةٌ وَتَفَاخُرٌ بَيْنَكُمْ وَتَكَاثُرٌ فِي الْأَمْوَالِ وَالْأَوْلَادِ ‘তোমরা জেনে রাখো, নিশ্চয়ই দুনিয়ার জীবন ক্রীড়া-কৌতুক, শোভা-সৌন্দর্য, তোমাদের পারস্পরিক গর্ব-অহংকার এবং ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততিতে আধিক্যের প্রতিযোগিতা মাত্র’ (আল-হাদীদ, ৫৭/২০)।
আল্লাহ তাআলা মানুষকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, দুনিয়া একটি ‘খেলা ও ক্রীড়া-কৌতুক’ মাত্র। এই আয়াত আমাদের চোখ খুলে দেয়, আমরা যেন বাহ্যিক মোহে পড়ে আসল সত্যকে ভুলে না যাই। সেই সত্য হলো আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন ও আখেরাতের জীবন।
৩. ধনসম্পদের দৌড়ে মানুষ কবর পর্যন্ত পৌঁছে যায়: মানুষের একটি বড় ভুল হলো, সে ভাবে ধনসম্পদ যত বেশি, সে তত সম্মানিত ও তত সফল। এই চিন্তাকেন্দ্রিক পথচলা তাকে কবর পর্যন্ত নিয়ে যায়। জীবন যেন এক প্রতিযোগিতা, কে বেশি অর্জন করবে। কিন্তু মৃত্যুর দরজায় পৌঁছানোর পরই মানুষ অনুধাবন করে যে, তাকে সবকিছু রেখে চলে যেতে হচ্ছে। তখন আর কিছুই সঙ্গে নেওয়ার সুযোগ নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন,أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ-حَتَّى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ ‘ধনসম্পদের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে, যতক্ষণ না তোমরা কবরে উপনীত হও’ (আত-তাকাছুর, ১০২/১-২)।
এই আয়াতটি একটি বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। ধনসম্পদ আমাদের এত ব্যস্ত রাখে যে, মৃত্যুর কথা আমরা ভুলে যাই। কিন্তু মৃত্যু অপ্রতিরোধ্য। যারা আগে থেকেই আখেরাতের কথা মনে রাখে, তারাই হয় সফল। অন্যরা কবরের দোরগোড়ায় এসে হঠাৎ জেগে ওঠে, কিন্তু তখন কিছুই করার থাকে না।
৪. দুনিয়ার মোহে না পড়ার উপদেশ: দুনিয়ার স্বাদ যতই মোহনীয় হোক না কেন, তা ক্ষণস্থায়ী। মুমিনকে হতে হবে দূরদর্শী। সে জানে এ জীবন শুধু একটি সেতু। এখানে নেক আমল করে আখেরাতে স্থায়ী ঘর গড়ে নিতে হয়। তাই যারা তাক্বওয়া অবলম্বন করে, তারা জানে কোনটা ক্ষণস্থায়ী আর কোনটা চিরস্থায়ী। আল্লাহ তাআলা বলেন,قُلْ مَتَاعُ الدُّنْيَا قَلِيلٌ وَالْآخِرَةُ خَيْرٌ لِمَنِ اتَّقَى ‘বলুন, দুনিয়ার ভোগসামগ্রী তো সামান্য। আর পরকাল উত্তম তাদের জন্য, যারা তাক্বওয়া অবলম্বন করে’ (আন-নিসা, ৪/৭৭)।
আল্লাহ আমাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, দুনিয়ার আনন্দ অল্প, সীমিত ও ক্ষণস্থায়ী। যিনি আল্লাহকে ভয় করেন, তাক্বওয়ার পথে চলেন, তার জন্য রয়েছে সুখময় জান্নাত। তাই একজন মুমিনকে চিন্তাশীল হতে হবে, তিনি সামান্য লাভের জন্য চিরস্থায়ী ক্ষতি করে ফেলছেন না তো?
৫. এই দুনিয়া একটি পরীক্ষাক্ষেত্র: মানুষ এই দুনিয়ায় কেবল বসবাস করতে আসেনি, বরং এই জীবন একটি মহান উদ্দেশ্য নিয়ে সাজানো এক পরীক্ষা। আল্লাহ তাআলা আমাদের দিয়েছেন জ্ঞান, ইচ্ছাশক্তি ও স্বাধীনতা। তিনি পাঠিয়েছেন রাসূল ও কিতাব। লক্ষ্য একটাই- কে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে চলে আর কে বিপথে চলে। এই দুনিয়ার প্রতিটি পরিস্থিতি, সুখ-দুঃখ, প্রাপ্তি-বঞ্চনা সবই আমাদের পরীক্ষা করার উপকরণ।
যে আল্লাহর দেওয়া পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, সেই সফল আর যিনি ব্যর্থ হন, তার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। আল্লাহ তাআলা বলেন,الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا ‘যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন, যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম হয়’ (আল-মুলক, ৬৭/২)।
এই আয়াতে আল্লাহ আমাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মৃত্যু ও জীবন উভয়ই পরীক্ষা। এখানে সফল হতে হলে আমল হতে হবে উত্তম أَحْسَنُ عَمَلًا। শুধু সংখ্যা নয়, বরং নিয়্যত ও পদ্ধতিও হতে হবে বিশুদ্ধ। এজন্য মুমিন প্রতিটি কাজেই চিন্তা করেন, আল্লাহ এতে সন্তুষ্ট কি-না।
৬. মুমিনের জন্য দুনিয়া এক কারাগার: দুনিয়া মুমিনের জন্য সহজ নয়। তিনি জানেন, এখানে স্বাধীনতা সীমিত। তিনি আল্লাহর নির্দেশের বাইরে যেতে পারেন না। তার নাফস বারবার তাকে টানে গাফেল হওয়ার দিকে, কিন্তু ঈমান তাকে টেনে আনে হেদায়াতের পথে। এই জীবন মুমিনের কাছে ত্যাগ, সংযম ও আত্মনিয়ন্ত্রণের নাম।
তাই মুমিন কখনো পুরোপুরি দুনিয়াবী সুখে ডুবে যেতে পারেন না; বরং তিনি নিজেকে বিধিনিষেধের জালে আটকে রাখেন। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, الدُّنْيَا سِجْنُ الْمُؤْمِنِ وَجَنَّةُ الْكَافِرِ ‘দুনিয়া হলো মুমিনের জন্য কারাগার আর কাফেরের জন্য জান্নাত’।[2]
এই হাদীছ আমাদের চোখ খুলে দেয় যে, মুমিনের জীবনে কষ্ট ও সংগ্রাম থাকতেই পারে। কারণ তিনি নিজের নাফসকে লাগাম দিচ্ছেন, যা সহজ নয়। কিন্তু কাফের তার নাফসের ইচ্ছা পূরণে বাধাহীন, তাই সে এখানে জান্নাত অনুভব করে। আখেরাতের চিত্র হবে বিপরীত, যেখানে মুমিন পাখির মতো মুক্ত থাকবে আর কাফের আটকে পড়বে চিরবন্দিত্বে।
৭. প্রকৃত জীবন আখেরাত: আমরা আজ যে জীবন কাটাচ্ছি, তার প্রতিটি মুহূর্ত ক্ষণস্থায়ী। জন্ম থেকে মৃত্যু, এই পথটা যত দীর্ঘই হোক, তার পরেই শুরু হয় চিরস্থায়ী এক জীবন। সেই জীবন হবে জান্নাতের শান্তিময় জীবন অথবা জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি দিয়ে ঘেরা এক জীবন। এই বাস্তবতা হৃদয়ে গভীরভাবে ধারণ না করলে আমরা শুধু দুনিয়াকে একমাত্র জীবন ভেবে ভুল করতেই থাকব।
আখেরাতের জীবন শুরু হওয়ার পর, তখন সবাই বলবে, এটাই তো আসল জীবন! আমরা দুনিয়ায় কতটা ভুলে ছিলাম! আল্লাহ তাআলা বলেন,وَمَا هَذِهِ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا لَهْوٌ وَلَعِبٌ وَإِنَّ الدَّارَ الْآخِرَةَ لَهِيَ الْحَيَوَانُ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ ‘আর এ দুনিয়ার জীবন অসার ও খেল-তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয় এবং নিশ্চয় আখেরাতের নিবাসই হলো প্রকৃত জীবন, যদি তারা জানত’ (আল-আনকাবূত, ২৯/৬৪)।
আল্লাহ তাআলা এই আয়াতে আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, আখেরাত চিরস্থায়ী ও বাস্তব জীবন। এটি কোনো কল্পনা নয়, বরং চরম বাস্তবতা। যারা দুনিয়াকেই আসল জীবন ভেবে নেয়, তারা আখেরাতে চরম আফসোস করবে। মুমিনের উচিত আজই প্রস্তুতি নেওয়া সেই অনন্ত জীবনের জন্য।
৮. দুনিয়ার মোহ থেকে নিজেকে রক্ষা করাই প্রকৃত বুদ্ধিমত্তা: এই দুনিয়া আমাদের সামনে অসংখ্য প্রলোভন, আনন্দ ও বিকল্পের দরজা খুলে দেয়। বাহ্যিক চাকচিক্য, স্বার্থপরতা আর বিলাসের হাতছানি আমাদের দৃষ্টি সরিয়ে নিতে চায় মূল লক্ষ্য থেকে। কিন্তু প্রকৃত বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি, যে এসব বাহ্যিক মোহের পেছনে না ছুটে নিজের নাফসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, কবর ও আখেরাতের কথা স্মরণ করে এবং এই দুনিয়ার সুখ-সুবিধাকে চূড়ান্ত লক্ষ্য মনে করে না। সে জানে, এ পৃথিবী হচ্ছে এক পরীক্ষার ময়দান ও প্রস্তুতির জায়গা, যেখানে আখেরাতের শস্য বপন করতে হয়। নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এই দুনিয়ার প্রকৃত মর্যাদা ও অবস্থান কীভাবে দেখতে হবে, তা অত্যন্ত গভীর ও সংক্ষিপ্ত কথায় শিখিয়ে দিয়েছেন। ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার শরীরের এক অংশ ধরে বললেন,كُنْ فِى الدُّنْيَا كَأَنَّكَ غَرِيبٌ أَوْ عَابِرُ سَبِيلٍ وَعُدَّ نَفْسَكَ فِى أَهْلِ الْقُبُورِ ‘পৃথিবীতে অপরিচিত মুসাফির অথবা পথযাত্রীর মতো জীবন-যাপন করো। আর প্রতিনিয়ত নিজেকে কবরবাসী মনে করো’।[3]
এই হাদীছটি আমাদের একটি স্পষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা স্মরণ করিয়ে দেয়— আমরা এই পৃথিবীর চিরস্থায়ী বাসিন্দা নই। পথিক যেমন জানে, সে এখানে অল্প সময়ের জন্য এসেছে, তেমনি মুমিনকেও মনে রাখতে হবে—আসল গন্তব্য হচ্ছে আখেরাত। অতএব, যে ব্যক্তি আখেরাতের চিন্তায় আত্মাকে গড়ে তোলে, কবরকে স্মরণ করে, প্রতিটি কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি বিবেচনায় নেয়—সেই প্রকৃত বুদ্ধিমান।
উপসংহার: দুনিয়া এক রঙিন ধোঁকা। দুনিয়া তার বাহ্যিক সৌন্দর্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাখে, কিন্তু তার গভীরে লুকিয়ে থাকে শূন্যতা। এই দুনিয়া কাঙ্ক্ষিত না হলেও তার মধ্য দিয়ে পাড়ি দিতে হয়। তবে দুনিয়ার মোহে পড়ে গেলে আখেরাতের সফলতা অসম্ভব।
আমরা যদি আল্লাহর বাণী ও রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীছগুলো গভীরভাবে উপলব্ধি করি, তাহলে দুনিয়ার আসল রূপ স্পষ্ট হয়ে যাবে। তখন আমরা দুনিয়াকে ব্যবহার করব আখেরাত গড়ার উপকরণ হিসেবে আর না হলে জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে। আসুন! আজই নিজেকে প্রশ্ন করি, আমি কি রঙিন ধোঁকার পেছনে ছুটছি নাকি চিরস্থায়ী জীবনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি? আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন- আমীন!
আব্দুল্লাহ আল-নুমান
শিক্ষার্থী, আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়্যাহ আস-সালাফিয়্যাহ, জোরবাড়িয়া কোনাপাড়া, ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ।
[1]. তিরমিযী, হা/২৩২০, হাদীছ ছহীহ।
[2]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৯৫৬।
[3]. ছহীহ বুখারী, হা/৬৪১৬; মিশকাত, হা/৫২৭৪।