কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (১০) : আমি যে এলাকায় থাকি সে এলাকার অধিকাংশ মানুষ হানাফী মাযহাবের অনুসারী। তাদের মসজিদে শুক্রবারে আযানের অনেক পর জুমআর খুতবা শুরু হয়। প্রশ্ন হলো- শুক্রবারে মসজিদে আগে যাবার যে ফযীলত, হানাফী মসজিদে কোন সময় গেলে আমি তা অর্জন করতে পারব?

উত্তর: বিশুদ্ধ হাদীছে সূর্য ঢলে যাওয়ার পর যারা সকাল সকাল মসজিদে গমন করে তাদের জন্য কুরবানীর নেকীর কথা বর্ণিত হয়েছে। (ছহীহ বুখারী, হা/৯২৯; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৫০; মিশকাত, হা/১৩৮৪)। তবে উক্ত বর্ণনায় সে সময়টি কখন থেকে শুরু আর কোন সময় থেকে কোন সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে কে কী কুরবানী করার নেকী পাবে তা স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়নি। তবে উক্ত বর্ণনায় সময়ের নির্দিষ্ট ভাগ বুঝানো হয়েছে। সুতরাং প্রথম সময়ের মধ্যে যতজন প্রবেশ করবে, সবাই উট কুরবানীর ছওয়াবের অধিকারী হবে। অনুরূপভাবে দ্বিতীয় সময়ে যতজন প্রবেশ করবে, সবাই গরু কুরবানীর ছওয়াবের অধিকারী হবে। অন্যান্যগুলোর ক্ষেত্রে একই কথা। তবে এই সময়টা কীভাবে নির্ধারিত হবে, এ ব্যাপারে সঠিক কথা হল, সূর্যোদয় থেকে শুরু করে আযান পর্যন্ত এই সময়টুকুকে পাঁচ ভাগে ভাগ করে যা হয়, তার প্রথম ভাগ হবে প্রথম সময়, দ্বিতীয় ভাগ হবে দ্বিতীয় সময়। এভাবে চলতে থাকবে (মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল লি-ইবন উছায়মীন, ১৬/১৪০ পৃ.)। সুতরাং কেউ যদি সময় মতো মসজিদে যায় তাহলে সে এ ফযীলত পাবে যদিও তা হানাফী মসজিদ হয়।

প্রশ্নকারী : সুমন আহমেদ

হলুদ ঘর, নলডাঙ্গা, নাটোর।

 

Magazine