জাহান্নামের অগ্নি থেকে রক্ষা করো,
নিজেদেরকে এবং পরিবার-পরিজন।
জাহান্নামের যোগ্য ব্যক্তি, আত্মরক্ষা করতে পারবে না,
কঠোরপ্রাণ ফেরেশতাদের কবল থেকে,
রেহাই পেতে পারবে না।
উমার ফারূক জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
আমরা গোনাহ থেকে বাঁচব তাঁর বিধান মানব,
তাওফীক্ব দিলে আল্লাহ।
জাহান্নামের অগ্নি থেকে, পরিবার-পরিজন কীভাবে বাঁচাব?
আল্লাহর আদেশ-নিষেধ তাদেরকে করো,
সেটাই হবে বাঁচানো।
স্ত্রী-সন্তানসন্ততিকে ফরয কর্মসমূহ শিক্ষা দিতে ফক্বীহগণ বলেন,
হালাল-হারামও শিক্ষা দেবে, তাতে স্বীয় কর্তব্য হবে পালন।
আল্লাহ সেই ব্যক্তির প্রতি রহম করেন, এক হাদীছে আছে,
যে বলে, হে আমার স্ত্রী-সন্তানগণ!
তোমাদের জান্নাত তোমাদের কাছে।
ক্বিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তি, সর্বাধিক আযাবে থাকবে,
যার পরিবার-পরিজন ধর্ম সম্পর্কে, মূর্খ ও উদাসীন হবে।
ভবে সন্তানসন্ততি সুখী হোক, শুধু এ চিন্তা করা ঠিক নয়,
তার চেয়েও বড় চিন্তা, যাতে তারা জাহান্নামের ইন্ধন না হয়।
রাসূল a বলেন, তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল,
প্রত্যেককে জবাবদিহি করতে হবে,
শাসক পরিবারের কর্তা স্ত্রীও খাদেম,
এরা জাবাবদিহির অন্তর্ভুক্ত রবে।
-মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক মাহমূদ
শিক্ষক (অব.), মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজ, মিরপুর, ঢাকা।