উত্তর : ‘মাযহাব’ আরবী শব্দ। এর অর্থ চলার পথ। শরীআতে ‘মাযহাব’ একটিই। সেটা হলো আল্লাহ ও রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পথ, পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের পথ (আল-আনআম ৬/১৫৩; আহমাদ, নাসাঈ, মিশকাত, হা/১৬৬ ও ১৬৫, ‘কিতাব ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ)। এছাড়া দ্বিতীয় কোনো মাযহাব নেই। যে সমস্ত মাযহাব মুসলিম সমাজে প্রচলিত আছে তার সবই স্বর্ণযুগের বহু পরে সৃষ্ট। যেমন- শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহিমাহুল্লাহ তাঁর বিশ্ববিখ্যাত গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা’র মধ্যে লিখেছেন, ৪র্থ শতাব্দী হিজরীর পূর্বে কোনো মুসলমান নির্দিষ্টভাবে কোনো একজন বিদ্বানের মাযহাবের তাক্বলীদের উপরে সংঘবদ্ধ ছিল না (হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা, ১/১৫২-৫৩, ‘চতুর্থ শতাব্দী ও তার পরের লোকদের অবস্থা বর্ণনা’ অনুচ্ছেদ)। সুতরাং সমাজে প্রচলিত এসব মাযহাব মানা ফরয নয়। এমনকি মাযহাব না মানলে কেউ কাফেরও হবে না, বরং এ সমস্ত মাযহাব মানলেই মানুষের মাঝে সংকীর্ণতার সৃষ্টি হয়। মুসলিম মাত্রই স্বাধীনভাবে কেবল পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের উপর আমল করবে। এছাড়া কোনো মাযহাব বা তন্ত্রের অনুসরণ করতে পারে না। যেমন ৪র্থ শতাব্দী হিজরীর পূর্বের কোনো মানুষ মাযহাবের অনুসারী ছিলেন না।
প্রশ্নকারী : এবিএম ফাহিম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।