কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

তাক্বওয়া জান্নাত লাভের মাধ্যম

ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম মানে আনুগত্য এবং আত্মসমর্পণ। একমাত্র আল্লাহর প্রতি আনুগত্য এবং আত্মসমর্পণ করাই ইসলাম। একজন মুমিন বিশ্বাস করে সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলা, নিয়ন্ত্রণকারীও তিনি এবং সবই একমাত্র তাঁর অধীনে। এজন্য একজন মুসলিম আল্লাহর ইচ্ছায় বাঁচতে আগ্রহী এবং তার সন্তুষ্টির জন্য মরতেও আগ্রহী। সে মনে করে, তার নিজের দখলে যা আছে এবং অন্য মানুষের দখলে যা আছে সবকিছুর মালিক একমাত্র আল্লাহ। মানুষের কাছে এ সবকিছু আল্লাহর আমানত। আমানত থেকে ব্যয় করার স্বাধীনতা তাকে দেওয়া হয়েছে। তবে আখেরাতে জবাবদিহি করতে হবে। জবাবদিহিতার ভয়ের নামই তাক্বওয়া।

জবাবদিহিতার ভয়ে ‘তাক্বওয়া’ তথা আল্লাহভীতি নিয়ে যে ব্যক্তি দুনিয়ায় বেঁচে থাকে তার চরিত্র নির্মল ও নিষ্কলুষ না হয়ে পারে না। সে কুচিন্তা হতে তার মনকে দূরে রাখে। মস্তিষ্ককে খারাপ চিন্তা থেকে বাঁচিয়ে রাখে। চোখ ও কানকে কুদৃষ্টি ও অসৎ শ্রবণ থেকে সংযত রাখে। সে কখনো অশ্লীল কথা বলে না। হারাম খাদ্য না খেয়ে উপবাসকে প্রাধান্য দেয়। যুলুমের প্রতি তার হাত ওঠে না, অন্যায়ের পথে পা চলে না। অসত্যের কাছে মাথা নত করে না। তার ভেতরে ঘটে সততা, মহত্ত্ব ও মানবতার সমাবেশ।

একজন মুসলিম সর্বাবস্থায় আশাবাদী। কখনই সে নিরাশ ও হতাশ হয় না। আল্লাহর উপর থেকে নির্ভরশীলতা হারায় না। সে শোকর করে, ছবর করে। এ বিশ্বাসই তাকে মুত্তাক্বী তথা আল্লাহভীরু করে তোলে। সে প্রকাশ্যে-গোপনে সর্বাবস্থায় আল্লাহর উপস্থিতি অনুভব করে। এ অনুভূতি মানুষকে সবরকম পাপচিন্তা ও পাপকাজ থেকে বিরত রাখে। প্রকৃতপক্ষে ‘তাক্বওয়া’ থেকে উৎসারিত সৎগুণাবলিই সত্যিকারের সৎগুণ। যার মধ্যে ‘তাক্বওয়া’ থাকে তার মধ্যে— (ক) সত্যবাদিতা (খ) সহিষ্ণুতা (গ) শোকর (ঘ) ইহসান (ঙ) কর্তব্যপরায়ণতা প্রভৃতি সৎগুণের সমাবেশ ঘটে থাকে।

তাক্বওয়ার পরিচয় :

‘তাক্বওয়া’ শব্দের অর্থ আল্লাহভীতি, পরহেযগারিতা, আত্মশুদ্ধি, পরিশুদ্ধি, নিজেকে সব রকম বিপদ ও অকল্যাণ থেকে রক্ষা করা। ইসলামী শরীআতের পরিভাষায়, আল্লাহ তাআলার ভয়ে সবরকম অন্যায়, অনাচার, পাপাচার বর্জন করে কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশমতো পূত-পবিত্র জীবনযাপন করাকে ‘তাক্বওয়া’ বলে।

যার মধ্যে ‘তাক্বওয়া’ আছে সে আল্লাহর ভয়ে পাপকাজ, পাপচিন্তা থেকে দূরে থাকে। আল্লাহ তাআলা বলেন,وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوَى - فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوَى ‘পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার রবের সামনে দণ্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশি থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে, তার ঠিকানা হবে জান্নাত’ (আন-নাযিআত, ৭৯/৪০-৪১)

মুত্তাক্বীর পরিচয় :

যে ব্যক্তি তাক্বওয়ার গুণে গুণান্বিত হয়, তাকেই মুত্তাক্বী বলে। তাক্বওয়া মুমিন জীবনের ভূষণ। আজকের সমাজে মুত্তাক্বীদের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে। জাহেলিয়াত মিশ্রিত ছূফীবাদই এ বিভ্রান্তির জন্য অনেকাংশে দায়ী। এরা তাক্বওয়ার অধিকারী বলতে এমন একদল মানুষকে হাযির করে, যারা এক বিশেষ ধরনের পূতিগন্ধময় বস্ত্র শরীরে জড়িয়ে রেখেছে, হাতে রয়েছে মোটা দানাযুক্ত তাসবীহর একটি ছড়া, যাদের চক্ষুগুলো অর্ধ-মুদিত, ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের প্রতিরোধের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের ব্যাপারে তারা নির্লিপ্ত। এমনকি সমাজের জঘন্য পাপাচারে লিপ্ত ত্বাগূতেরা এদের খাদেম। তারা কীসের মুত্তাক্বী!

মুত্তাক্বীদের পরিচয় প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজীদের সূরা আল-বাক্বারার শুরুতেই ইরশাদ করেছেন,ذَلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِلْمُتَّقِينَ - الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ - وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ وَبِالْآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ - أُولَئِكَ عَلَى هُدًى مِنْ رَبِّهِمْ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ ‘এই সেই কিতাব যাতে কোনোই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী মুত্তাক্বীদের জন্য। যারা গায়েবের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং ছালাত ক্বায়েম করে। আর আমি তাদেরকে যে রিযিক্ব দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে। আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে। তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথপ্রাপ্ত আর তারাই যথার্থ সফলকাম’ (আল-বাক্বারা, ২/২-৫)

উপর্যুক্ত আয়াতে কারীমা থেকে বুঝা যায়, হেদায়াত গ্রহণ করা সেসব মুত্তাক্বীর পক্ষেই সম্ভব, যাদের গুণাবলি হবে— (ক) গায়েবের উপর বিশ্বাস করা, (খ) ছালাত ক্বায়েম করা, (গ) আল্লাহর দেওয়া রিযিক্ব থেকে তাঁর পথে ব্যয় করা, (ঘ) পূর্বের ও পরের কিতাবসমূহে বিশ্বাস করা এবং (ঙ) পরকালের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস করা।

তাক্বওয়ার সোপান বা স্তর :

গাযালী রাহিমাহুল্লাহ তাক্বওয়ার ৪টি সোপান বা স্তর উল্লেখ করেছেন। যেমন—

(১) হারাম বর্জন : ইসলামী শরীআতে যেসব বস্তু হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলোকে বর্জন করা। যেমন— মদ, জুয়া, সূদ, ঘুষ ইত্যাদি। এই শ্রেণির তাক্বওয়া অবলম্বনকারীকে মুমিন বলে।

(২) সন্দেহযুক্ত হালাল বর্জন : হারাম বস্তু বর্জন করার পর সন্দেহযুক্ত হালাল বর্জন করা। কারণ এটা থেকে বিরত না থাকলে হারামে পতিত হওয়ার ভয় থাকে। মহানবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তুমি সন্দেহযুক্ত বস্তু বর্জন করো এবং সন্দেহবিহীন বস্তু গ্রহণ করো’।[1] এ স্তরের তাক্বওয়া অবলম্বনকারীকে ছলেহ বলে।

(৩) সন্দেহবিহীন হালাল বর্জন : সব রকম হারাম ও সন্দেহযুক্ত বস্তু বর্জন করার পর, সন্দেহবিহীন অনেক হালাল বস্তুও বর্জন করা। যেমন— অনেক আল্লাহর বান্দাহ আছেন, যারা ইচ্ছা করেই বেশি সুস্বাদু খাদ্য ও বেশি মূল্যবান পোশাক গ্রহণ করেন না এবং অন্যের নিকট হতে নিজের প্রাপ্য আদায় করার সময় কিছু কম এবং অন্যের প্রাপ্য দেওয়ার সময় কিছু বেশি দিয়ে থাকেন।

(৪) ইবাদতে সহায়কহীন বস্তু বর্জন করা : সেই সকল হালাল বস্তু বর্জন করা, যা ইবাদতে সহায়তা করে না। এই স্তরের তাক্বওয়া অবলম্বনকারীকে ছিদ্দীক্বীন বলা হয়। এটি তাক্বওয়ার সর্বোচ্চ স্তর।

তাক্বওয়া থেকে উৎসারিত গুণাবলি :

তাক্বওয়া থেকে উৎসারিত গুণাবলি নিম্নরূপ :

(১) সত্যকথা বলা : সত্য কথা বলা তাক্বওয়ার একটি গুণ।

আল্লাহ তাআলা বলেছেন,يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اتَّقُواْ اللّهَ وَكُونُواْ مَعَ الصَّادِقِينَ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সাথে থাকো’ (আত-তওবা, ৯/১১৯)

(২) মিথ্যা কথা না বলা : তাক্বওয়ার অধিকারী ব্যক্তির আরেকটি গুণ মিথ্যা কথা না বলা। মিথ্যা বলা মহাপাপ। মিথ্যাবাদী আল্লাহর কাছে ঘৃণিত ব্যক্তি। দুনিয়ার মানুষের কাছেও নিন্দিত। কেউ তাকে বিশ্বাস করে না।

বাহয ইবনু হাকীম রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ধ্বংস ও বিফলতা সে ব্যক্তির জন্য যে লোকদের হাসাবার উদ্দেশ্যে মিথ্যা কথা বলে। তার জন্য রয়েছে ধ্বংস, তার জন্য রয়েছে অমঙ্গল’।[2]

(৩) ছবর বা ধৈর্যধারণ করা : ছবর তাক্বওয়া অর্জনকারীর আরেকটি গুণ। গাযালী রাহিমাহুল্লাহ ছবরকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করেছেন। যেমন—

ক. ইবাদতে ছবর : নিয়মিত ইবাদত করা সত্যিই কষ্টকর ব্যাপার। ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ ইত্যাদি ইবাদতে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়।

খ. বিপদাপদে ছবর : সুখ-দুঃখ, বিপদাপদ মানবজীবনের নিত্য সঙ্গী। ধৈর্যের সাথে বিপদাপদের মোকাবিলা করতে পারলে মুমিনের মর্যাদা বাড়ে।

গ. পাপ কাজ পরিত্যাগে ছবর : শয়তান মানুষকে পাপ কাজের দিকে প্রলুব্ধ করে। এসময় ধৈর্যের খুবই প্রয়োজন।

ঘ. যুলুম-অত্যাচারে ছবর : সত্য, ন্যায় ও ধর্মের পথে নানা রকম যুলুম-অত্যাচার ও বাধা-বিপত্তি আসে। ধৈর্যের সাথে এসবের মোকাবিলা করাই প্রকৃত মুমিনের কাজ।

ঙ. সুখে ও আনন্দে ছবর : অনেক সময় মানুষ সুখ ও সফলতার আনন্দে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে নানা রকম অপকর্মে লিপ্ত হয়। এসময় ছবর করা একান্ত কর্তব্য।

কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اصْبِرُوا وَصَابِرُوا وَرَابِطُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা অভ্যন্তরীণ কুপ্রবৃত্তি ও বাইরের শত্রুর মোকাবেলায় ধৈর্যধারণ করো। ধৈর্যধারণে প্রতিযোগিতা করো এবং সীমান্তের শত্রুদের মোকাবেলার জন্য সবসময় প্রন্তুত থাকো। আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা তোমাদের লক্ষ্য অর্জনে সফল হতে পার’ (আলে ইমরান, ৩/২০০)

(৪) ইহসান করা : কারো সাথে ভালো ব্যবহার করা ও কারো উপকার করাকে ইহসান বলে। তাক্বওয়া যাদের আছে তারাই এটা করতে পারে।

(৫) যিকিরকারী হওয়া : যিকির শব্দের অর্থ স্মরণ করা। অর্থাৎ সবরকম কাজ-কর্ম, আচার-আচরণ, ভাব-ভাষা এবং মনে ও মুখে আল্লাহর স্মরণকে যিকির বলা হয়। তাছাড়া বলা যায়, আল্লাহর বিধান মেনে চলাই প্রকৃত যিকির। যার ভিতরে আল্লাহর স্মরণ আছে তার তাক্বওয়া আছে। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, فَاذْكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ وَاشْكُرُوا لِي وَلَا تَكْفُرُونِ ‘অতএব তোমরা আমাকেই স্মরণ করো, আমিও তোমাদের স্মরণ করব, তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও এবং আল্লাহর বিরুদ্ধাচারী হয়োও না’ (আল-বাক্বারা, ২/১৫২)

(৬) শোকরকারী হওয়া : আল্লাহর দেওয়া নেয়ামত ভোগ করে বিনয়ের সাথে তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। এটা মুত্তাক্বী ব্যক্তির দ্বারাই সম্ভব। আল্লাহ বলেন,وَآتَاكُم مِّن كُلِّ مَا سَأَلْتُمُوهُ وَإِن تَعُدُّواْ نِعْمَتَ اللّهِ لاَ تُحْصُوهَا إِنَّ الإِنسَانَ لَظَلُومٌ كَفَّارٌ ‘যে সকল বস্তু তোমরা চেয়েছো, তার প্রত্যেকটি থেকেই তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন। যদি আল্লাহর নেয়ামত গণনা করো, তবে গুণে শেষ করতে পারবে না। নিশ্চয় মানুষ অত্যন্ত অন্যায়কারী, অকৃতজ্ঞ’ (ইবরাহীম, ১৪/৩৪)

(৭) কর্তব্যপরায়ণ হওয়া : তাক্বওয়া থেকে উৎসারিত আরেকটি গুণ হলো কর্তব্যপরায়ণতা। মানুষের জন্য, সৃষ্টির জন্য যা কল্যাণকর তা করা। স্বামী-স্ত্রী, ছোট-বড়, আত্মীয়-অনাত্মীয়, প্রতিবেশী, পিতা-মাতা, ভাই-বোনের প্রতি যা কর্তব্য আছে, তা পালন করা।

(৮) হালাল উপার্জন : হালাল উপার্জনকারী ব্যক্তিই প্রকৃতপক্ষে নিজেকে তাক্বওয়াবান বা মুত্তাক্বী দাবি করতে পারে। যার উপার্জন হারাম সে আর যাই হোক তাক্বওয়ার অধিকারী হতে পারে না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেছেন,يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ ‘হে মানবজাতি! পৃথিবীতে যা কিছু বৈধ ও পবিত্র খাদ্য আছে, তা তোমরা আহার করো, তবে শয়তানের পথ অনুসরণ করো না, নিঃসন্দেহে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু’ (আল-বাক্বারা, ২/১৬৮)

(ইনশা-আল্লাহ আগামী সংখ্যায় সমাপ্য)


[1]. তিরমিযী, হা/২৫১৮; আহমাদ, হা/১২৫৫০।

[2]. আবূ দাঊদ, হা/৪৯০৫; তিরমিযী, হা/২৩১৫।

Magazine