কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (২৮) : মৃত বা জীবিত উভয় অবস্থায় মাতা-পিতার জন্য ‘রব্বির হামহুমা কামারব্বাইয়ানী ছগীরা’ দু‘আ পড়া যাবে কি? নাকিমৃত মাতা-পিতার জন্য পৃথক কোনো দু‘আ আছে?

উত্তর : ‘রব্বির হামহুমা কামা রব্বাইয়ানী ছগীরা’ দু‘আটি পিতা-মাতার জন্য সর্বাবস্থায় পড়া যাবে। কারণ আল্লাহ তাআলা উক্ত দু‘আ পিতা-মাতার জন্যই অবতীর্ণ করেছেন, চাই তারা মৃত হন বা জীবিত হন। পিতা-মাতা যখন বার্ধক্যে উপনীত হন তখন তারা অপারগতায় পরমুখাপেক্ষী হয়ে পড়েন। সে কারণ সন্তানকে তাদের সেবা করতে হবে এবং তাদের জন্য উক্ত দু‘আটি পড়তে হবে (বানী ইসরাঈল, ১৭/২৪)। তার মানে এই নয় যে, মৃত্যুর পরে তাদের জন্য আর এ দু‘আটি পড়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে তখন তিনটি আমল ব্যতীত তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়। তার মধ্যে একটি হলো, ঐ নেক সন্তান যে তার মৃত পিতা-মাতার জন্য দু‘আ করে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৬৩১; মিশকাত, হা/২০৩)। উক্ত দু‘আর পাশাপাশি তাদের জন্য নিচের দু‘আটিও পড়া যায়। যেমন, رَبَّنَا اغْفِرْ لِيْ وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ يَوْمَ يَقُوْمُ الْحِسَابُ ‘রব্বানাগফিরলী ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া ওয়া লিলমুমিনীনা ইয়াওমা ইয়াকূমুল হিসাব’ (ইবরাহীম, ১৪/৪১)। এছাড়া মৃত পিতা-মাতার জন্য জানাযায় পঠিত ‘আল্লাহুম্মাগফির লাহু ওয়ার হামহু..’ এবং ‘আল্লাহুম্মাগ ফির লি হাইয়িনা ...’ দু‘আগুলোও পড়া যাবে। উক্ত দু‘আগুলো ছালাতের মধ্যে তাশাহহুদ ও দরূদ পড়ার পর সালামের পূর্বে পাঠ করা যাবে। আবার ছালাতের বাইরে অন্য সময়েও একাকী হাত তুলে উক্ত দু‘আগুলোসহ নিজ ভাষাতেও পিতা-মাতার জন্য ক্ষমা চেয়ে দু‘আ করা যাবে। উল্লেখ্য, দু‘আ শেষে হাত দ্বারা মুখ মাসাহ করার হাদীছটি যঈফ (আবূ দাঊদ, হা/১৪৯২; মিশকাত, হা/২২৫৫)। তাই মুখে হাত না মুছে ছেড়ে দিবে।

প্রশ্নকারী : বাকী বিল্লাহ খান পলাশ

হাবেলী গোপালপুর, ফরিদপুর।


Magazine