কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪৪) : দ্বিগুণ লাভে বা তার বেশি মূল্যে কোনো পণ্য বিক্রয় করা যাবে কি? শারঈ দৃষ্টিতে লাভের কোনো নির্ধারিত পরিমাণ আছে কি?

উত্তর : লাভের কোনো নির্ধারিত সীমা নেই। চলতি বাজার দর হচ্ছে সীমা, যা চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। কোনো পণ্যের দাম বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি নিলে যুলুম করা হবে, যা হারাম। অনেক সময় ক্রয়মূল্যের চেয়ে বিক্রয়মূল্য দ্বিগুণও হতে পারে। একদা উরওয়া ইবনু আবিল জা‘দ আল-বারেক্বী নামক জনৈক ছাহাবীকে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি দীনার প্রদান করেন একটি ছাগল ক্রয়ের জন্য। ছাহাবী তা দিয়ে দুটি ছাগল ক্রয় করেন এবং একটি বিক্রয় করেন এক দীনারে। অতঃপর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে একটি ছাগল ও একটি দীনার ফেরত দেন। এতে খুশী হয়ে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ব্যবসায়ে বরকতের দু‘আ করেন। তাতে ফল হয়েছিল এই যে, ঐ ব্যক্তি মাটি কিনলেও তাতে লাভ হতো’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩৬৪২; আবূ দাঊদ হা/৩৩৮৪; মিশকাত, হা/২৯৩২)। কিন্তু এটি হলো সাধারণ বাজার দরের বিষয়। কিন্তু যখন ব্যবসায়ী ব্যক্তি বা সমিতি অন্যায়ভাবে মুনাফা লাভের জন্য একযোগে মূল্যবৃদ্ধি করবে, অন্যায় উদ্দেশ্যে মওজূদদারী করবে, প্রতারণামূলকভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়াবে, তখন সেটা যুলুম হবে, যা হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা অত্যাচার করো না এবং অত্যাচারিত হয়ো না’ (আল-বাক্বারা, ২/২৭৯)। উবাদা ইবনুছ ছমেত রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন যে, ‘কারো ক্ষতি করাও যাবে না, ক্ষতি সহাও যাবে না’ (ইবনু মাজাহ, হা/২৩৪০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৮৬৭)। তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতারণা করবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১০২; মিশকাত, হা/২৮৬০)।

প্রশ্নকারী : ফারিহা খাতুন

সিংড়া, নাটোর।


Magazine