কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৫) : কুরআন খতমের নিয়্যতে নিয়মিত ১/২ পৃষ্ঠা তেলাওয়াত করি। পাশাপাশি ফযীলতের সূরাগুলোও দিনে-রাতে বেশি বেশি তেলাওয়াত করি। এভাবে তেলাওয়াত করা কি বিদআত হবে?

উত্তর : এভাবে কুরআন তেলাওয়াত করলে বিদআত হবে না। বরং ফযীলতপূর্ণ আয়াতগুলো মাঝে মাঝে পাঠ করার জন্য নির্দেশনা আছে। যেগুলো নির্ধারিত সময়ে পড়াই উত্তম। যেমন, (ক) সূরা মূলক রাতে পড়লে কবরের আযাব মাফ হয় (ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৫৮৯, সনদ ছহীহ)। (খ) সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত রাতে পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারে না (ছহীহ বুখারী, হা/২৩১১, ৫০০৯)। (গ) ফরয ছালাতের পরে আয়াতুল কুরসী পড়লে তার ফলাফল জান্নাত (নাসাঈ, আল-কুবরা হা/৯৯২৮; সিলসিলা ছহীহা, হা/৯৭২)। (ঘ) বিপদাপদের সময় নাস, ফালাক্ব, ইখলাছ ইত্যাদি পড়া যায় (আবূ দাঊদ, হা/৫০৮২; নাসাঈ, হা/৫৪২৮; তিরমিযী, হা/৩৫৭৫; মিশকাত, হা/২১৬৩)। তবে স্বাভাবিকভাবে কুরআন তেলাওয়াতের জন্য এক মাস, দশ দিন, বা সাত দিনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি কুরআন মুখস্থ করেছি এবং তা প্রতি রাতে সম্পূর্ণ তেলাওয়াত করি। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমার আশঙ্কা যে, তুমি দীর্ঘজীবী হবে এবং বার্ধক্যে দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই তুমি এক মাস অন্তর কুরআন খতম করো। আমি বললাম, আমাকে আমার শক্তিমত্তা ও যৌবন দ্বারা উপকৃত হতে দিন। তিনি বলেন, তাহলে তুমি দশ দিন অন্তর কুরআন খতম করো। আমি বললাম, আপনি আমাকে আমার শক্তিমত্তা ও যৌবন দ্বারা উপকৃত হতে দিন। তিনি বলেন, তাহলে তুমি সাত দিন অন্তর খতম করো। আমি বললাম, আমার শক্তিমত্তা ও যৌবন দ্বারা আমাকে উপকৃত হতে দিন। তখন তিনি তা অস্বীকার করেন (ছহীহ বুখারী, হা/১৯৭৮; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৫১-১১৫২; তিরমিযী, হা/২৯৪৯; ইবনু মাজাহ, হা/১৩৪৬)।

প্রশ্নকারী : কুদরত-ই-এলাহী

লালপুর, নটোর।


Magazine