উত্তর : কুরআন মাজীদ পুরাতন ও পড়ার অনুপযোগী হলে তা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। কুরআন ও হাদীছ অতীব পবিত্র ও সম্মানের বস্তু। এগুলোর ছিন্ন পাতা বা কিতাব কোনোভাবে যাতে অসম্মানিত না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই সম্ভবত ছাহাবায়ে কেরাম এগুলো পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মূল কুরায়শী ভাষা আরবীতে কুরআন নাযিল হয়েছিল। পরে অন্য উপভাষাতেও কুরআন পাঠের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তাতে শব্দ ও মর্মগত বিপত্তি দেখা দিলে ৩য় খলীফা উছমান রাযিয়াল্লাহু আনহু কুরআনের মূল কুরায়শী কপি রেখে বাকী সব কপি পুড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। বর্তমানে কেবল সেই কুরআনই সর্বত্র পঠিত হয় (ছহীহ বুখারী, হা/৪৯৮৭-৪৯৮৮; মিশকাত হা/২২২১)।
প্রশ্নকারী : নাজনীন পারভীন
জয়পুরহাট।