উত্তর : নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যুর পরে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে তাঁর নিকটে সালাম পৌঁছানোর কোনো বিধান বা প্রমাণ নেই। বরং দুনিয়ার যেখান থেকেই সালাম দেওয়া হোক সেটা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ফেরেশতা রয়েছে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা আমার কবরকে বার বার আসা-যাওয়ার জায়গা বানিয়ো না। তোমরা আমার উপর দরূদ পাঠ করো! কেননা তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তোমাদের দরূদ আমার নিকটে পৌঁছে দেওয়া হয়’ (আবূ দাঊদ, হা/২০৪২)। তিনি আরো বলেন, ‘নিশ্চয় দুনিয়াতে সদা ভ্রাম্যমাণ কিছু ফেরেশতা রয়েছে, যারা আমার উম্মতের সালাম আমার নিকটে পৌঁছে দেয়’ (নাসাঈ, হা/১২৮২)। উল্লেখ্য যে, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় কবরে শুয়ে আছেন এবং তাঁকে সালাম দিলে সালামের জবাব দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলমে বারযাখের সাথে সংশ্লিষ্ট। কোনোভাবেই দুনিয়ার জীবনের সাথে বারযাখী জীবনকে তুলনা করা যাবে না। কারণ তা সম্পূর্ণরূপে মানুষের জ্ঞানের বাইরে। আরও উল্লেখ্য যে, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবরের নিকটে গিয়ে দরূদ পাঠ করলে তিনি শুনতে পান মর্মে বায়হাক্বী বর্ণিত হাদীছটি জাল (সিলসিলা যঈফা, হা/২০৩; যঈফুল জামে‘, হা/৫৬৮২)। আর কারো মাধ্যমে সালাম পাঠানোর বিষয়টি মূলত জীবিত ব্যক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট। যেমন, উসামা ইবনু যায়েদ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জনৈকা কন্যা (যয়নাব) তাঁর নিকট লোক পাঠালেন যে, আমার এক পুত্র মরণাপন্ন অবস্থায় রয়েছে, তাই আপনি আমাদের নিকট আসুন। তিনি বলে পাঠালেন, (তাঁকে) সালাম দিবে এবং বলবে, যা কিছু আল্লাহ নিয়ে যান, যা কিছু তিনি দান করেন, সবকিছুই তারই অধিকারে। তাঁর নিকট সকল কিছুরই একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। কাজেই সে যেন ধৈর্যধারণ করে এবং ছওয়াবের অপেক্ষায় থাকে (ছহীহ বুখারী, হা/১২৮৪; ছহীহ মুসলিম, হা/৯২৩; নাসাঈ, হা/১৮৬৯; ইবনু মাজাহ, হা/১৫৮৮)।
প্রশ্নকারী : জুয়েল বিন মনিরুল ইসলাম
পত্নীতলা, নওগাঁ।