উত্তর: নিয়মিতভাবে এমন কাজ করা যাবে না। বরং উত্তম হলো, ফরয ছালাতের পরে ইমাম ও মুক্তাদী সকলেই মাসনূন যিকির-আযকার করবে। কেননা যেই সময়ে যেই যিকিরের কথা কুরআন ও হাদীছে বর্ণিত হয়েছে সেই সময়ে সেই যিকির করাই বেশি উত্তম (ফাতওয়া নূরুন আলাদ দারব, ইবনু উছায়মীন, ৮/২)। আর এভাবে হাদীছ পাঠ করার কারণে মাসবূক মুছল্লীদের ছালাতে সমস্যা হয়। ফলে এর মাধ্যমে যেন একরকম আল্লাহর স্মরণে বাধা দেওয়া হয়, যা নিষেধ (আল-বাকারা, ২/১১৫)। তবে মাসলাহাত তথা কল্যাণের দিকে লক্ষ করে মাঝে মাঝে মুছল্লীদেরকে কোনো হাদীছ শোনানো যেতে পারে। কেননা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম ফিরানোর সাথে সাথে প্রয়োজনে কথা বলেছেন (ছহীহ মুসলিম, হা/৫৩৭)।
প্রশ্নকারী : আনছার আলী
নাটোর।