কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪২): শীতের মৌসুমে অনেকেই খেজুরের রস বিক্রি করতে আসে। এই খেজুরের রস দীর্ঘসময় এভাবে রেখে দিলে তাতে মাদকতা আসে। প্রশ্ন হলো, খেজুরের রস খাওয়া সম্পর্কে ইসলামের দিকনির্দেশনা কী?

উত্তর: যতক্ষণ না মাদকতা আসে, ততক্ষণ এটি খাওয়া জায়েয। কেননা খাবারসহ দুনিয়াবী বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে আসল হলো, হালাল হওয়া, যতক্ষণ না তা হারাম হওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট দলীল থাকে। তবে যদি দীর্ঘসময় রাখার জন্য তাতে মাদকতা আসে, তাহলে তখন আর সেটি খাওয়া জায়েয নয়। ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য রাতের প্রথম ভাগে নাবীয প্রস্তুত করা হতো। তিনি তা পান করতেন, সেদিন সকালে, আগামী রাতে, পরবর্তী দিনে, এর পরের রাতে এবং পরদিন আছর পর্যন্ত। তবে যদি কিছু অবশিষ্ট থেকে যেত, তা তিনি তাঁর সেবাদানকারীকে পান করাতেন কিংবা ফেলে দিতে নির্দেশ দিতেন (ছহীহ মুসলিম, হা/২০০৪)। আর নেশাজাত প্রত্যেক দ্রব্যই হারাম। ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘প্রত্যেক নেশাজাত দ্রব্য মদ এবং প্রত্যেক নেশাদার জিনিস হারাম’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২০০৩)।

প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।


 

Magazine