উত্তর : স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব হলো তার ভরণপোষণ থেকে শুরু করে সকল বৈধ চাহিদা সামর্থ্য অনুযায়ী পূরণ করা। অর্থাৎ স্বামী যা আহার করবে, যে মানের পরিধান করবে, যে মানের ঘরে বসবাস করবে স্ত্রীকেও তা প্রদান করবে। স্বামীর উপার্জন কত তা স্ত্রীকে জানানো জরুরী নয়। তবে যদি কোনো প্রয়োজনে জানাতে হয় তাহলে সঠিক তথ্য জানানো উচিত। অবশ্য সত্য তথ্য জানানোর ফলে যদি সংসারে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে সঠিক তথ্য গোপন রেখে কৌশলগত পথ অবলম্বন করাতে শারঈ কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। উম্মু কুলসুম বিনতে উক্ববা ইবনু আবী মুআয়ত রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, ‘সে ব্যক্তি মিথ্যাবাদী নয়, যে মানুষের মাঝে আপস-মীমাংসা করে দেয়। সে কল্যাণের জন্যই বলে এবং কল্যাণের জন্যই চোগলখোরি করে (ছহীহ বুখারী, হা/২৬৯২; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬০৫ ; মিশকাত, হা/৫০৩১)। ইবনু শিহাব রাহিমাহুল্লাহ বলেন, তিনটি ক্ষেত্র ব্যতীত কোনো বিষয়ে মিথ্যা বলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে আমি শুনিনি। ১. যুদ্ধক্ষেত্রে, ২. লোকদের মাঝে আপস-মীমাংসার জন্য এবং ৩. স্ত্রী-স্বামী পরস্পরের নিকট (ছহীহ মুসলিম, হা/২৬০৫; আবূ দাঊদ, হা/৪৯২১; মিশকাত, হা/৫০৩১-৩৩)। উল্লেখ্য যে, স্ত্রী যদি স্বামীর উপার্জন হালাল না-কি হারাম সে সম্পর্কে জানতে চায় আর স্বামী যদি তা প্রকাশ না করে হারাম পথে উপার্জন করতে থাকে তাহলে স্বামীই পাপী হবে, স্ত্রী নয়।
প্রশ্নকারী : ফরিদুল ইসলাম।
যশোর সদর।