সারশূন্য আমি, বক্ষে নেই স্বাধীনতার শ্বাস
আহা! কোনোভাবে বেঁচে রব এই মোদের আশ।
শোনো! উঠিছে আঁধার সোনালির বুকে মহারবে
ক্ষণে-ক্ষণে বিপদ-নাকাড়া বাজিছে বজ্র রবে।
বিজাতীয় মন্ত্রের জয়ধ্বনি আজ দিকে দিকে
ঘনীভূত গোলামীর বিজয়-রব সরব চারিদিকে।
নির্ভীক হও, হাজার কণ্ঠে আওয়াজ উঠাও
নূতন উষার সূর্য উঠিবে, উঠাও!
কেন, কার ভয়ে সমর্পণ করিবে কার চরণ তলে?
দেশ, দ্বীন, সব তোমার, ভয় পাও কুকুরের কলরোলে?
চাহে জীবন যাবে, দ্বীন-অধিকার বুকে নিয়ে রব
দাড়ি রেখেই যেথা ছিলাম সেথা কাজ করে যাব।
অনশনে, ভুখ হরতালে মাসের পর মাস পড়ে রব
নিজ দেশে অধিকার না আদায়ে পরাধীন হব?
নতুন অপশনের খোঁজে অন্যের দ্বারে কেন যাব?
নয় মিছিল! যদি আনো ফৎওয়া এক সুরে, এক রবে।
হানাফী, আহলেহাদীছ ভেদাভেদ না রবে
‘হারাম ঐ ব্রান্ড’ দেখব তবে কোন পথে ফেরার হবে।
স্কুল, কলেজ দ্বীন মানার প্রতিবন্ধকতা যেথায় হবে
আলেম সমাজের সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ কেন না হবে?
চাকরি ছাড়ার ফৎওয়া যদি আসে কোনো কণ্ঠে
দ্বীন অনুসরণে যে দিল বাধা তাঁর হুকুম কার কণ্ঠে?
শোনো হে জাতি! ভুলে যাও ‘অতীত ভুলে যাওয়া’
ইংরেজ এসেছিল বণিকের বেশে, ছিল সামান্য চাওয়া।
ভাবছ তুমি দাড়িই বা কী এসব তো ছিটেফোঁটা
বলে রাখি! একদিন চাইবে তোমার এরা রক্ত ফোঁটা।
ভুলে যাবে জাতি ঈমান কারে কয়, সয়ে যাবে সব
নীরব রবে সেই দিন, দ্বীন ভুলে বেদ্বীন হবে সব।
শত হোঁচটে মলিন মৃত্যু হবে, তুমি কোথাও না রবে
মসজিদে যাবে দ্বীন, বাহ্যিকরূপে কিছু না রবে।
এখনো সময় আছে হও আগুয়ান প্রাণপণে
হয়ে যাবে যা কিছু হয়ে যাক ‘মরিসকো’ না হব ক্ষণে।
বোরখা, চাহে দাড়ি, চাহে কুরবানীর ছুরি বা আর কিছু
অধিকার হাছিলে সোচ্চার হও ভুলে সব কিছু।
-আব্দুর রহমান বিন আব্দুর রাযযাক
ফারেগ, আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ,
বানারাস, ভারত।