কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

নফল ছিয়ামের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

post title will place here

ফরয ছিয়াম রামাযান মাসে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার উপর ধার্যকৃত। যা পালন করা সকল মুসলিম নর-নারীর উপর ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য। ছিয়াম ইসলামী শরীআতের অন্যতম বুনিয়াদী শক্তি, যা ব্যতীত ইসলাম প্রতিষ্ঠিত থাকা অসম্ভব। আর এই বিধানের ক্ষেত্রে ক্বিয়ামতের মাঠে বান্দা জবাবদিহিতার সম্মুখীন হবে। যেহেতু ফরয ইবাদত, তাই সেক্ষেত্রে জবাবদিহিতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে এটা স্বাভাবিক। ঠিক এই ফরয ছিয়ামের পাশাপাশি নফল তথা অতিরিক্ত ছিয়ামের বিধান ইসলামী শরীআতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ফরয ছিয়াম কিংবা ফরয ইবাদত হলো ইসলামী শরীআতে মূল ভিত্তি, যা ছাড়া ইসলাম অচল। আর নফল ছিয়াম কিংবা নফল ইবাদত হলো এই সকল ফরয ইবাদতের প্রস্তুতির রসদ। যার আদায় দ্বারা ফরয ইবাদত আদায়ে অভ্যস্থ হ‌ওয়া যায় এবং এর মাধ্যমে ইবাদতের প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায়। নফল ইবাদতের উদাহরণ যদি বলা হয় একটা ফলের খোসার মতো, তাহলে খুব সম্ভব ভুল হবে না বলে মনে হয়। কারণ ফরয ইবাদত হলো একটি পরিপূর্ণ ফল সদৃশ আর নফল ইবাদত হলো ওই ফলের খোসা, যার দ্বারা ফলের নিরাপত্তা ও সৌন্দর্য অর্জন হয়। বান্দার ফরয ছিয়াম হোক কিংবা নফল ছিয়াম, ইবাদতের ছওয়াব আল্লাহ তাআলা ইনছাফের সাথে প্রদান করবেন। যেহেতু ছিয়াম কেবল মহান আল্লাহর জন্য পালন করা হয়, সেজন্য মহান আল্লাহ তাঁর প্রতিদান নিজ হাতে দিবেন বলে হাদীছে ঘোষণা‌ও করেছেন। আল্লাহ তো চাইলে বান্দার জন্য শুধু ফরয ছিয়াম কিংবা ফরয ইবাদতের মধ্যে সীমাবদ্ধতা রেখে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে ফরযের পাশাপাশি নফলের ব্যবস্থাও রেখেছেন, যেন বান্দা ফরয ইবাদতের ত্রুটিকে নফল ইবাদতের দ্বারা পূর্ণ করতে পারে। এজন্য হাদীছে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন মানুষের আমলসমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম তাদের ছালাতের হিসাব নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমাদের মহান রব জানা সত্ত্বেও বান্দার ছালাত সম্পর্কে ফেরেশতাদের জিজ্ঞেস করবেন, দেখো তো, সে তা পরিপূর্ণভাবে আদায় করেছে, না-কি তাতে কোনো ত্রুটি রয়েছে? অতঃপর বান্দার ছালাত পূর্ণাঙ্গ হলে পূর্ণাঙ্গই লেখা হবে। আর যদি তাতে ত্রুটি থাকে, তাহলে মহান আল্লাহ ফেরেশতাদের বলবেন, দেখো তো, আমার বান্দার কোনো নফল ছালাত আছে কিনা? যদি থাকে তাহলে তিনি বলবেন, আমার বান্দার ফরয ছালাতের ঘাটতি তার নফল ছালাত দ্বারা পূর্ণ করে দাও। অতঃপর সকল আমলই এভাবে গ্রহণ করা হবে’।[1]

যেহেতু আমাদের জীবন চলার পথ ভুলে ভরা। ভুলকে পাশ কাটিয়ে চলার মতো ক্ষমতা কিংবা ত্রুটিমুক্ত জীবন গড়ে তোলা মানবীয় গুণের বহির্ভূত এবং এটা সম্ভব‌ও নয়, তাই বুদ্ধিমান লোকেরা ফরয ইবাদতের ঘাটতিকে নফল ইবাদতের নেকী দ্বারা পূর্ণ করার চেষ্টা করে। সেজন্য আমাদের নফল ইবাদতের দিকে লক্ষ রাখতে হবে এবং মানবজীবনে নফল ইবাদতের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে হবে। বক্ষমান প্রবন্ধে ‘নফল ছিয়ামের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা’ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বিবরণ পেশ করা হলো।

(১) শাওয়ালের ছয়টি ছিয়াম: রামাযান পরবর্তী মাস হলো শা‌ওয়াল মাস। দীর্ঘ এক মাস ছিয়াম সাধনার পর শাওয়ালের ছয়টি ছিয়াম পালনের ব্যাপারে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীছে সুসংবাদ দিয়ে বলেছেন,مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ ‘যে ব্যক্তি রামাযানে ছিয়াম রাখে অতঃপর শাওয়ালের ছয়টি ছিয়াম রাখে, সে যেন গোটা বছর ছিয়াম রাখল’।[2]

() মুহাররমের ছিয়াম: মুহাররম মাসের ছিয়াম ইসলামী শরীআতে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। মুস্তাহাব হলো এই মাসে ছিয়াম পালন করা। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ ‘রামাযান মাসের ছিয়ামের পর শ্রেষ্ঠ ছিয়াম হলো মুহাররম মাসের ছিয়াম। আর ফরয ছালাতের পর শ্রেষ্ঠ হলো তাহাজ্জুদের ছালাত’।[3]

খুবই গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ হলো— মুহাররম মাসের ১০ তারিখে ছিয়াম রাখা। এর ফযীলত সম্পর্কে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,صِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِى قَبْلَهُ ‘আশূরার দিনের ছিয়ামের দ্বারা আমি আল্লাহর কাছে বিগত বছরের গুনাহ মাফের আশা রাখি’।[4] মুস্তাহাব হলো মুহাররম মাসের ছিয়াম নয় ও দশ তারিখ অথবা দশ ও এগারো তারিখে রাখা। কেননা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশম তারিখে ছিয়াম পালন করেন। এবং তিনি বেঁচে থাকলে নবম তারিখে ছিয়াম থাকার আশা ব্যক্ত করে বলেন, إِنْ شَاءَ اللَّهُ صُمْنَا الْيَوْمَ التَّاسِعَ ‘ইনশা-আল্লাহ (আগামী বছর) আমরা নবম তারিখেও ছিয়াম পালন করব’। অতঃপর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগামী বছর আসার পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন।[5]

(৩) শা‘বান মাসের ছিয়াম রাখা: শা‘বান মাসের ছিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রামাযান মাসের পূর্ববর্তী মাস এবং এই মাস হলো রামাযান মাসকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর প্রস্তুতিস্বরূপ ইবাদত করার অনন্য মাস। বান্দার আমল মহান আল্লাহর নিকটে পেশ করার মাসই মূলত এই মাস। এজন্য এই মাসকে ‘ফসল ফলানোর’ মাস বললে ভুল হবে না। কেননা এই মাসের পরই বান্দার দরবারে হাযির হয় প্রত্যাশিত মহিমান্বিত মাস রামাযান। এজন্য আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই শা‘বান মাসে বেশি বেশি ছিয়াম রাখতেন। হাদীছে এসেছে, ছাহাবী উসামা বিন যায়েদ রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনাকে শা‘বান মাসে যত বেশি ছিয়াম রাখতে দেখি, তত ছিয়াম অন্য মাসে রাখতে দেখি না, তার কারণ কী? রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘এটা সেই মাস, যে মাসে বান্দার আমলসমূহ আল্লাহর নিকটে পেশ করা হয়। আর আমি আশা করি যে, আমার আমল ছিয়াম থাকাবস্থায় আল্লাহর নিকটে পেশ করা হোক’।[6] ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শা‘বান মাসে রামাযান ব্যতীত সবচেয়ে বেশি এই মাসে ছিয়াম রাখতেন। ছাহাবীগণ বলছেন, যখন তিনি ছিয়াম ধরতেন, মনে হতো আর তিনি হয়তো ছিয়াম ছাড়বেন না। আর যখন ছিয়াম ধরতেন না, মনে হতো আর হয়তো তিনি ছিয়াম রাখা শুরু করবেন না।[7]

তাহলে উক্ত হাদীছগুলো দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শা‘বান মাসে অধিক ছিয়াম রাখার অভ্যাস করতেন মাহে রামাযানকে সুন্দরভাবে ইবাদত সম্পন্ন করার জন্য।

(৪) সোমবার ও বৃহস্পতিবার ছিয়াম রাখা: মা আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবার ও বৃহস্পতিবার ছিয়াম রাখতেন।[8] আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সোমবার ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমলসমূহ আল্লাহর নিকটে পেশ করা হয়। তাই আমি ভালোবাসি আমার ছিয়াম থাকাবস্থায় মহান আল্লাহর নিকটে আমার আমল পেশ করা হোক’।[9]

সুধী পাঠক! সোমবার ও বৃহস্পতিবার ছিয়াম থাকাবস্থায় মহান আল্লাহর নিকটে আমল পেশ করার বিষয়টি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দ করেছেন। তিনি আমাদের উত্তম আদর্শ। তিনি আমাদেরকে তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত করার জন্য সর্বোৎকৃষ্ট ইবাদতের নমুনা পেশ করেছেন। এই সোমবার ও বৃহস্পতিবার ছিয়ামের দিনে আমল আল্লাহর নিকটে পেশ করার অর্থ হলো— সাপ্তাহিক দিবসের আমলনামা পেশ করা। আর শা‘বান মাসে আমলনামা পেশ করার অর্থ হলো বাৎসরিক আমলনামা। আল্লাহ সর্বাধিক অবগত।

(৫) আরাফার দিনে ছিয়াম থাকা: আরাফার দিন ছিয়াম রাখা। কেননা এই ছিয়াম থাকার বদৌলতে মহান আল্লাহ আগের ও পরের বছরের পাপ ক্ষমা করে দেন। হাদীছে এসেছে,صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِى قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِى بَعْدَهُ ‘আরাফার দিনের ছিয়ামের বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী, তিনি এর দ্বারা আগের এক বছরের ও পরের এক বছরের গুনাহ মাফ করবেন’।[10]

(৬) মাসে তিনটি ছিয়াম রাখা: প্রতিমাসে আল্লাহর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনটি ছিয়াম থাকার মাধ্যমে আমাদের জন্য ছিয়ামের উত্তম নমুনা পেশ করেছেন। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,مَنْ صَامَ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَذَلِكَ صِيَامُ الدَّهْرِ ‘যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিন দিন ছিয়াম রাখে, তা যেন সারা বছর ছিয়াম রাখার সমান’।[11]

চান্দ্রমাসের এই তিন ছিয়াম রাখাকে বলা হয় আইয়ামে বীযের ছিয়াম। প্রতিমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে ছিয়াম রাখাই হলো রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসৃত আমল।

(৭) দাঊদ আলাইহিস সালাম-এর মতো ছিয়াম রাখা: মহান আল্লাহর নিকটে পছন্দনীয় আমল হলো দাঊদ আলাইহিস সালাম-এর ছিয়াম। হাদীছে এসেছে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মহান আল্লাহর নিকটে পছন্দনীয় ছালাত হলো দাঊদ আলাইহিস সালাম-এর ছালাত। আর পছন্দনীয় ছিয়াম হলো দাঊদ আলাইহিস সালাম-এর ছিয়াম। তিনি অর্ধেক রাত ঘুমাতেন এবং এক-তৃতীয়াংশ ক্বিয়াম করতেন আর একদিন ছিয়াম রাখতেন আর আরেক দিন ছিয়াম রাখতেন না’।[12]

পরিশেষে বলতে চাই, ছিয়াম হলো মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ গোপন ইবাদত। বান্দা ও স্রষ্টার মধ্যে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো ছিয়াম। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বান্দা আমার জন্যই খাদ্য, পানীয় ও প্রবৃত্তির চাহিদা ত্যাগ করেছে। তাই ‘ছিয়াম আমার জন্য। ফলে এর প্রতিদান আমিই দিব’।[13]

যেহেতু ছিয়ামের নানাবিধ গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা মানব জীবনে বিভিন্ন আঙ্গিকে প্রতিফলিত হয়, তাই ফরয ছিয়ামের পাশাপাশি নফল ছিয়াম পালন একজন মুসলিমকে পরিশীলিত, পরিমার্জিত ও সচেতন করে গড়ে তুলে। সেই সাথে তাঁকে দায়িত্বশীল হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। যেহেতু আমাদের জীবন চলার পথে ভুলের, পাপের শেষ নেই, পাপের তুলনায় পুণ্যের পাল্লা খুবই নগণ্য, তাই একজন মুসলিমের উচিত হলো, ফরয ইবাদত আদায়ের সাথে নফল ইবাদত গুরুত্ব দিয়ে মহান আল্লাহর রেযামন্দি হাছিলের চেষ্টা করা। আল্লাহ আমাদের তাওফীক্ব দান করুন- আমীন!

মাযহারুল ইসলাম

 দাওরায়ে হাদীছ, মাদরাসা দারুস সুন্নাহ, মিরপুর, ঢাকা;
শিক্ষক, হোসেনপুর দারুল হুদা সালাফিয়্যাহ মাদরাসা, খানসামা, দিনাজপুর।


[1]. আবূ দাঊদ, হা/৮৬৪, হাদীছ ছহীহ।

[2]. ছহীহ মুসলিম, হা/১১৬৪; মিশকাত, হা/২০৪৭।

[3]. ছহীহ মুসলিম, হা/১১৬৪; মিশকাত, হা/২০৩৯।

[4]. ছহীহ মুসলিম, হা/১১৬২; মিশকাত, হা/২০৪৪।

[5]. ছহীহ মুসলিম, হা/১১৩৪।

[6]. নাসাঈ, হা/২৩৫৭, হাসান।

[7]. ছহীহ বুখারী, হা/১৯৬৯; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৫৬।

[8]. ছহীহ মুসলিম, হা/১১৬২।

[9]. তিরমিযী, হা/৭৪৭।

[10]. ছহীহ মুসলিম, হা/১১৬২।

[11]. তিরমিযী, হা/৭৬২, হাদীছ ছহীহ।

[12]. ছহীহ বুখারী, হা/১১৩১; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৫৯।

[13]. ছহীহ বুখারী, হা/১৮৯৪।

Magazine