উত্তর: প্রথমত, বিশ্ব ভালবাসা দিবস পালন একটি রোমান জাহেলি উৎসব। রোমানরা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করার পরেও এ দিবস পালনের প্রথা অব্যাহত রাখে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৭০ খ্রিস্টাব্দে ভ্যালেন্টাইন নামক একজন পাদ্রির মৃত্যুদণ্ডের সাথে এ উৎসবটি সম্পৃক্ত। বিধর্মীরা এখনো এ দিবসটি পালন করে, ব্যভিচার ও অনাচারের মধ্যে তারা এ দিবসটি কাটিয়ে থাকে। দ্বিতীয়ত, কোন মুসলমানের জন্য কাফেরদের কোন উৎসব পালন করা জায়েয নয়। কেননা, ইসলামী শরীআতে উৎসব দিবস হিসেবে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা এ দুটি দিবস স্বীকৃত। আনাস রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় এসে দেখতে পেলেন যে, তারা দুদিনে খেলাধুলা-উৎসব পালন করছে। তিনি তাদের জিজ্ঞাসা কররেন, ‘এ দুটি কীসের দিবস? তারা বলল, আমরা জাহেলী যুগ থেকে এদুদিনে উৎসব পালন করে আসছি। তখন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ তাআলা তোমাদের এ দুদিনের পরিবর্তে উত্তম দুটি দিবস দান করেছেন, তা হলো- ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের দিন (আবূ দাঊদ, হা/১১৩৪; মিশকাত, হা/১৪৩৯)। আর কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো দ্বীন মনে করে পালন না করলেও তা পালন করা নিষিদ্ধ। কেননা সেগুলো বিধর্মীদের কৃষ্টি-কালচারের সাথে মিলে যায়। ইবনু উমার রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো জাতির সাথে সাদৃশ্যতা অবলম্বন করবে, সে তাদের দলভুক্ত’ (আবূ দাঊদ, হা/৪০৩১; মিশকাত, হা/৪৩৪৭)। আর ভালোসা দিবস নামে যে দিবস পালন করা হয় তা যেনার দ্বার উম্মোচন করে দেয় যা সম্পূর্ণ হারাম। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যিনার ধারে কাছে যেয়ো না। নিশ্চয় এটি অশ্লিল ও বেলেল্লাপনার কাজ ও নিকৃষ্ট পথ’ ( সূরা বনূ ইসরাঈল, ১৭/৩২)।
প্রশ্নকারী : নোমান
চট্টগ্রাম।