কুরআন মাজীদের তেলাওয়াত ও সাথে সাথে বিশেষ কিছু সূরা বা আয়াতের প্রতি যত্নবান হওয়া মানুষকে অনেক বিপদাপদ, দুঃখ-কষ্ট, দুশ্চিন্তা-দুরাবস্থা এবং ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে রক্ষা করে। পৃথিবীতে সম্মানজনক, কল্যাণকর ও বরকতময় জীবন যাপনের ব্যবস্থা করে তাকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পোঁছিয়ে দেয়। কুরআন মাজীদ মূলত পৃথিবীর কঠিন ফিতনা, ভয়বহ বিপর্যয়, পাপ-পঙ্কিলতা ও অবক্ষয় থেকে মুক্তির নিরাপদ আশ্রয়স্থল, ভালো-মন্দের মাঝে শক্তিশালী ঢাল ও আদর্শময় জীবনের এক উত্তম পন্থা। যে তাকে জীবন চলার অবলম্বন হিসাবে গ্রহণ করবে, তার জন্য তা রহমতস্বরূপ হবে। আর যে তা প্রত্যাখ্যান করবে, নিঃসন্দেহে সে রহমত হতে বঞ্চিত হবে। কুরআনের এমন কিছু সূরা ও আয়াত আছে, যেগুলোর মাধ্যমে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতে খুব সহজেই সফল হতে পারে। নিম্নে এ সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো :
সূরা ফাতেহার ফযীলত :
সূরা ফাতেহার ন্যায় ফযীলতপূর্ণ সূরা উম্মাতে মুহাম্মাদীর পূর্বে অন্য কোনো উম্মতকে দেওয়া হয়নি।
عَنْ اُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ رضي الله عنه قَالَ قَالَ رَسُوْلُ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالَّذِىْ نَفْسِىْ بِيَدِهِ مَا اُنْزِلَتْ فِى التَّوْرَاةِ وَلَا فِى الْاِنْجِيْلِ وَلَا فِى الزَّبُوْرِ وَلَا فِى الْفُرْقَانِ مِثْلُهَا وَاِنَّهَا سَبْعُ مِنَ المَثَانِىْ وَالْقُرْاٰنُ الْعَظِيْمُ الَّذِىْ اَعْطِيْتُهُ.
উবাই ইবনে কা‘ব রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ঐ সত্তার কসম! যার হাতে আমার প্রাণ। সূরা ফাতেহার ন্যায় অন্য কোনো সূরা তাওরাতে, ইঞ্জীলে, যাবূরে এমনকি ফুরক্বান তথা আল-কুরআনে অবতীর্ণ হয়নি। আর এটা হলো, সাবয়ে মাছানী অর্থাৎ যা বার বার তেলাওয়াত করা হয়। আর এটাই কুরআনে আযীম, যা আমি প্রদত্ত হয়েছি’।[1]
সূরা ফাতেহা তেলাওয়াত করে আল্লাহর নিকট যা কিছু চাওয়া হয়, আল্লাহ তা দিয়ে থাকেন। আর সূরা ফাতেহা প্রত্যেক ছালাতের প্রত্যেক রাকআতে পড়তে হয়। যেমনটি হাদীছে এসেছে,
عَنْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ رضي الله عنه قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ قَالَ اللّٰهُ تَعَالَى قَسَمْتُ الصَّلاَةَ بَيْنِىْ وَبَيْنَ عَبْدِى نِصْفَيْنِ وَلِعَبْدِى مَا سَاَلَ فَاِذَا قَالَ الْعَبْدُ (اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ). قَالَ اللّٰهُ تَعَالَى حَمِدَنِىْ عَبْدِى وَاِذَا قَالَ (الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ). قَالَ اللّٰهُ تَعَالَى اَثْنَى عَلَىَّ عَبْدِى. وَاِذَا قَالَ (مَالِكِ يَوْمِ الدِّيْنِ). قَالَ مَجَّدَنِىْ عَبْدِىْ - وَقَالَ مَرَّةً فَوَّضَ اِلَىَّ عَبْدِى - فَاِذَا قَالَ (اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَاِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُ). قَالَ هَذَا بَيْنِىْ وَبَيْنَ عَبْدِى وَلِعَبْدِىْ مَا سَاَلَ...
আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি ছালাতকে আমার এবং আমার বান্দার মাঝে অর্ধেক করে ভাগ করেছি। আমার বান্দা যা চায়, তাকে তা দেওয়া হয়। বান্দা যখন বলে, اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ, তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। আর যখন বান্দা বলে, الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ, তখন আল্লাহ বলেন, বান্দা আমার গুণগান করেছে। আর বান্দা যখন বলে, مَالِكِ يَوْمِ الدِّيْنِ, আল্লাহ তখন বলেন, আমার বান্দা আমার মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছে। তিনি আরও বলেছেন, বান্দা তার সমস্ত কাজ আমার উপর সোপর্দ করেছে। আর বান্দা যখন বলে, اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَاِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُ, তখন আল্লাহ বলেন, এটা আমার এবং আমার বান্দার মাঝের বিষয়। আমার বান্দা যা চায়, তাকে তাই দেওয়া হবে...’।[2]
সূরা ফাতেহা পাঠ করে ঝাড়ফুঁক করলে অসুস্থতা হতে আরোগ্য লাভ করা যায়। হাদীছে এসেছে, আবু সাঈদ খুদরী রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘সফররত অবস্থায় আমরা এক জায়গায় অবতরণ করলাম। একটি মেয়ে এসে বলল, নিশ্চয় এই বংশের সরদারকে সাপে দংশন করেছে। আমাদের লোকেরা অনুপস্থিত। তোমাদের মাঝে কি এমন কেউ আছে, যে তাকে ঝাড়ফুঁক করবে? একজন তার সাথে চলে গেল অথচ আমরা কখনো জানতাম না যে, সে ঝাড়ফুঁক করে। কিন্তু সে ঝাড়ফুঁক করল এবং সরদার সুস্থ হলো। সরদার ঝাড়ফুঁককারীকে ৩০টি বকরি উপহার হিসাবে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিল; আমাদের দুধও পান করালো। যখন ঝাড়ফুঁককারী ফিরে আসল, তখন আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কি ভালো করে ঝাড়ফুঁক করতে জানো? বা বলা হলো যে, তুমি কি ঝাড়ফুঁক করো? সে বলল, না। আমি তো শুধু সূরা ফাতেহা পড়ে ঝাড়ফুঁক করেছি। বকরির ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে, এখন আমরা কিছু করব না, যতক্ষণ না আমরা এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করছি। যখন আমরা মদীনায় পৌঁছলাম, তখন আমরা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানালাম। তখন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি কী করে জানলে যে, সূরা ফাতেহা দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা যায়? ঐ বকরিগুলো নিজেদের মধ্যে বণ্টন করো এবং আমাকে একটি অংশ দাও’।[3]
সূরা বাক্বারা ও আলে ইমরানের ফযীলত :
ক্বিয়ামতের দিন সূরা বাক্বারা তার তেলাওয়াতকারীকে ক্ষমা করার জন্য আল্লাহর নিকট দাবি করবে। হাদীছে এসেছে,
عَنْ اَبِىْ اُمَامَةَ الْبَاهِلِىِّ رضي الله عنهرضي الله عنه قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللّٰهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ اِقْرَءُوا الْقُرْاٰنَ فَاِنَّهُ يَاْتِىْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيْعًا لِاَصْحَابِهِ اقْرَءُوا الزَّهْرَاوَيْنِ الْبَقَرَةَ وَسُورَةَ اٰلِ عِمْرَانَ فَاِنَّهُمَا تَاْتِيَانِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَاَنَّهُمَا غَمَامَتَانِ اَوْ كَاَنَّهُمَا غَيَايَتَانِ اَوْ كَاَنَّهُمَا فِرْقَانِ مِنْ طَيْرٍ صَوَافَّ تُحَاجَّانِ عَنْ اَصْحَابِهِمَا اِقْرَءُوا سُوْرَةَ الْبَقَرَةِ فَاِنَّ اَخْذَهَا بَرَكَةٌ وَتَرْكَهَا حَسْرَةٌ وَلاَ تَسْتَطِيْعُهَا الْبَطَلَةُ.
আবু উমামা বাহেলী রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘তোমরা কুরআন তেলাওয়াত করো। কেননা কুরআন তার তেলাওয়াতকারীর জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ করবে। দুটি আলোকময় সূরা তেলাওয়াত করো, আর তা হলো- সূরা বাক্বারা ও সূরা আলে ইমরান। ক্বিয়ামতের দিন এই সূরা দুটি বাদলের ন্যায় বা ছায়ার ন্যায় আসবে, অথবা তা উড়ন্ত দুই ঝাঁক পাখির ন্যায় আসবে; সূরাদ্বয়ের তেলাওয়াতকারীদের পক্ষ নিয়ে দাবি করবে। তোমরা সূরা বাক্বারা অবশ্যই তেলাওয়াত করবে। কেননা তা তেলাওয়াত করা বরকত লাভের কারণ। আর তা তেলাওয়াত না করা কষ্টের কারণ। আর এ ক্ষেত্রে অলস ব্যক্তিরা সক্ষম হবে না’।[4]
একই মর্মে নাওয়াস ইবনে সামআন আল-কিলাবী রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন,
يُؤْتَى بِالْقُرْآنِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَأَهْلِهِ الَّذِينَ كَانُوا يَعْمَلُونَ بِهِ تَقْدُمُهُ سُورَةُ الْبَقَرَةِ وَآلُ عِمْرَانَগ্ধ. وَضَرَبَ لَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَةَ أَمْثَالٍ مَا نَسِيتُهُنَّ بَعْدُ قَالَ كَأَنَّهُمَا غَمَامَتَانِ أَوْ ظُلَّتَانِ سَوْدَاوَانِ بَيْنَهُمَا شَرْقٌ أَوْ كَأَنَّهُمَا حِزْقَانِ مِنْ طَيْرٍ صَوَافَّ تُحَاجَّانِ عَنْ صَاحِبِهِمَا.
‘ক্বিয়ামতের দিন কুরআন মাজীদ আনা হবে। আর যারা কুরআন অনুযায়ী আমল করত, তাদেরকেও আনা হবে। সূরা বাক্বারা এবং সূরা আলে ইমরান আগে আগে থাকবে। এরপর রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দুটি সূরার তিনটি উদাহরণ দিয়েছেন, যা আমি আজও ভুলিনি। ১. এই উভয় সূরা বাদলের দুটি টুকরার ন্যায় হবে। ২. দুটি কালো রং এর ছায়া থাকবে, যা আলোক-উজ্জ্বল থাকবে। ৩. পাখিদের দু’টি ঝাঁক হবে আর তারা তাদের সাথীর পক্ষ হয়ে বিতর্ক করবে’।[5]
সূরা কাহফের ফযীলত :
জুমআর দিন সূরা কাহফ তেলাওয়াতকারীর জন্য দুই জুমআর মাঝে একটি আলো প্রজ্বলিত হয়। হাদীছে এসেছে,
عَنْ اَبِىْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِىِّ رضي الله عنهرضي الله عنه قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَرَاَ سُوْرَةُ الْكَهْفِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ اَضَاءَ لَهُ مِنَ النُّوْرِ مَا بَيْنَ الْجُمْعَتَيْنِ.
আবু সাঈদ খুদরী রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমআর দিন সূরা কাহফ তেলাওয়াত করবে, তার জন্য আল্লাহ দুই জুমআর মাঝে একটি আলো প্রজ্বলিত করবেন’।[6]
সূরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থকারী ব্যক্তি দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। হাদীছে এসেছে,
عَنْ اَبِى الدَّرْدَاءِ رضي الله عنهرضي الله عنه اَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ حَفِظَ عَشْرَ اٰيَاتٍ مِنْ اَوَّلِ سُورَةِ الْكَهْفِ عُصِمَ مِنَ الدَّجَّالِ.
আবু দারদা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে মুক্তি পাবে’।[7]
সূরা সাজদাহ ও সূরা দাহরের ফযীলত :
রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমআর দিন ফজর ছালাতের প্রথম রাকআতে সূরা সাজদাহ এবং দ্বিতীয় রাকআতে সূরা দাহর তেলাওয়াত করতেন। হাদীছে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رضي الله عنهرضي الله عنه اَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقْرَاُ فِىْ صَلاَةِ الْفَجْرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ (اَلٓمٓ تَنْزِيْلُ) السَّجْدَةِ وَ (هَلْ اَتَى عَلَى الْاِنْسَانِ حِيْنٌ مِنَ الدَّهْرِ) وَاَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقْرَاَ فِىْ صَلاَةِ الْجُمُعَةِ سُوْرَةَ الْجُمُعَةِ وَالْمُنَافِقِينَ.
ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমআর দিন ফজরের ছালাতে সূরা সাজদাহ এবং সূরা দাহর পড়তেন। আর জুমআর ছালাতে সূরা জুমআ এবং সূরা মুনাফিকূন তেলাওয়াত করতেন।[8]
সূরা জুমআর ফযীলত :
রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমআর ছালাতে সূরা জুমআ এবং সূরা মুনাফিকূন তেলাওয়াত করতেন। আগের হাদীছটিতে আমরা এ ব্যাপারে আলোচনা দেখে এসেছি।
সূরা আ‘লা ও গাশিয়ার ফযীলত :
রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের ছালাতে এবং জুমআর ছালাতের প্রথম রাকআতে সূরা আ‘লা এবং দ্বিতীয় রাকআতে সূরা গাশিয়াহ তেলাওয়াত করতেন। হাদীছে এসেছে,
عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيْرٍ رضي الله عنهرضي الله عنه قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللّٰهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَاُ فِى الْعِيْدَيْنِ وَفِى الْجُمُعَةِ بِـ(سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الاَعْلَى) وَ (هَلْ اَتَاكَ حَدِيْثُ الْغَاشِيَةِ) قَالَ وَاِذَا اجْتَمَعَ الْعِيْدُ وَالْجُمُعَةُ فِىْ يَوْمٍ وَاحِدٍ يَقْرَاَ بِهِمَا اَيْضًا فِى الصَّلاَتَيْنِ.
নু‘মান ইবনে বাশীর রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় ঈদের ছালাত এবং জুমআর ছালাতে ‘সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আ‘লা’ এবং ‘হাল আতাকা হাদীছুল গাশিয়া’ তেলাওয়াত করতেন। বর্ণনাকারী বলেন, যখন ঈদ এবং জুমআর ছালাত একই দিনে হতো, তখনো তিনি এই উভয় ছালাতে সূরাদ্বয় তেলাওয়াত করতেন।[9]
(ইনশা-আল্লাহ আগামী সংখ্যায় সমাপ্য)
মুহাম্মাদ গিয়াসুদ্দীন
শিবগঞ্জ, বগুড়া।
[1]. সুনানে তিরমিযী, হা/২৮৭৫, হাদীছ ছহীহ; মিশকাত, হা/২১৪২।
[2]. ছহীহ মুসলিম, হা/৯০৪।
[3]. ছহীহ বুখারী, হা/৫০০৭; ছহীহ মুসলিম, হা/২২০১।
[4]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮০৪।
[5]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮০৫।
[6]. জামেঊল আহাদীছ, হা/২৩৪৪০; বায়হাক্বী, হা/৩০৩৯।
[7]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮০৯।
[8]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮৭৯।
[9]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮৭৮।