কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

হালাল রূযী উপার্জনের গুরুত্ব

post title will place here

নিজের ও পোষ্যদের ভরণপোষণের জন্য বৈধ পন্থায় উপার্জিত সম্পদকে শরীআতের পরিভাষায় كَسْبُ الْحَلَالِ বা হালাল উপার্জন বলে। হালাল বা বৈধ উপায়ে রূযী উপার্জন করা প্রতিটি মুসলিমের ওপর অপরিহার্য। কারো রূযী উপার্জন করার প্রয়োজনীয়তা না থাকলেও তাকে অবশ্যই হালাল রূযী ভক্ষণ, পরিধান ও ভোগ করতে হবে। ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য পূর্বশর্ত হচ্ছে হালাল রূযী। কেননা আল্লাহ তাআলা নিজে যেমন পবিত্র, তেমনি তিনি পবিত্র ভিন্ন অন্য কিছু গ্রহণ করেন না। হালাল বা বৈধ হওয়া দুই দিক দিয়ে হতে পারে— ১. শরীআতে যাকে হালাল ঘোষণা করা হয়েছে ও ২. হালাল উপায়ে উপার্জন করা।

সম্পদ অর্জনের বৈধ পদ্ধতিসমূহের মধ্যে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত, নিজ জমিতে উৎপাদিত ফসল, বৈধ ব্যবসায়ের মাধ্যমে অর্জিত মুনাফা ও শ্রমের বিনিময়ে অর্থ অন্যতম।

নিজের ও পোষ্যদের ভরণপোষণের জন্য বৈধ উপার্জনের পন্থা অবলম্বন করা অন্যান্য ফরয ইবাদতের মতোই ফরয। মহান আল্লাহ বলেন,يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ ‘হে মানবজাতি! ভূমণ্ডলে বিদ্যমান বস্তুগুলো হতে হালাল ও পবিত্র জিনিস খাও এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। বস্তুত, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু’ (আল-বাক্বারা, ২/১৬৮)। মহান আল্লাহ জুমআর দিনের ব্যাপারে বলেন,فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانْتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِنْ فَضْلِ اللَّهِ ‘অতঃপর যখন ছালাত শেষ হয়ে যায়, তখন তোমরা যমীনে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (রূযীর) সন্ধান করো’ (আল-জুমুআহ, ৬২/১০)। এখানে আল্লাহ তাআলা রূযী উপার্জনের জন্য ছালাত শেষে বের হতে বলেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, طَلَبُ كَسْبِ الْحَلَالِ فَرِيضَةٌ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ ‘হালাল উপার্জন অন্বেষণ করা, ফরযের পর আরেকটি ফরয’।[1]

রূযী প্রাপ্তির ও বৃদ্ধির হালাল ও বৈধ কিছু পথ:

(-) ঈমান আনা ও তাক্বওয়া অর্জন করা: আল্লাহ তাআলা বলেন,وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَى آمَنُوا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَرَكَاتٍ مِنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ ‘জনপদের অধিবাসীগণ যদি ঈমান আনত এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের জন্য আকাশ ও পৃথিবীর বরকতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম’ (আল-রাফ, ৭/৯৬)। মহান আল্লাহ আরো বলেন,وَمَنْ يَتَّقِ اللهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا - وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ ‘আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার পথ ‍সুগম করে দিবেন আর তাকে তার ধারণাতীত উৎস হতে রূযী দান করবেন’ (আত-ত্বলাক, ৬৫/১-২)

() দু‘আ-প্রার্থনা করা: মহান আল্লাহ বলেন,وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ ‘আর তোমাদের প্রভু বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব’ (আল-মুমিন, ৪০/৬০)। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, لَا يَرُدُّ القَضَاءَ إِلَّا الدُّعَاءُ ‘দু‘আ ছাড়া অন্য কিছু তাক্বদীরকে ফিরাতে পারে না’।[2]

() আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল বা ভরসা করা: আল্লাহ তাআলা বলেন, وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللهِ فَهُوَ حَسْبُهُ ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তার জন্য তিনি যথেষ্ট’ (আত-তালাক, ৬৫/৩)। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,لَوْ أَنَّكُمْ كُنْتُمْ تَوَكَّلُونَ عَلَى اللهِ حَقَّ تَوَكُّلِهِ لَرُزِقْتُمْ كَمَا يُرْزَقُ الطَّيْرُ تَغْدُو خِمَاصًا وَتَرُوحُ بِطَانًا ‘যদি তোমরা আল্লাহর ওপর যথাযথ ভরসা করতে, তবে আল্লাহ তোমাদেরকে পাখির ন্যায় রূযী দান করতেন। পাখি সকাল বেলায় খালি পেটে বাসা থেকে বের হয়ে যায় এবং সন্ধ্যায় উদরপূর্তি করে ফিরে আসে’।[3]

() ইস্তিগফার বা ক্ষমা চাওয়া ও তওবা করা: আল্লাহ তাআলা বলেন,فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا- يُرْسِلِ السَّمَاءَ عَلَيْكُمْ مِدْرَارًا- وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَلْ لَكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَلْ لَكُمْ أَنْهَارًا ‘(নূহ আলাইহিস সালাম বলেন) আমি (আমার জাতিকে) বলেছি, তোমরা তোমাদের প্রভুর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই তিনি মহাক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য মুষলধারে বৃষ্টিবর্ষণ করবেন। তিনি তোমাদেরকে সাহায্য করবেন ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি দ্বারা এবং তোমাদের জন্য সৃষ্টি করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করবেন নদীনালা’ (নূ, ৭১/১০-১২)

() আল্লাহর পথে ব্যয় করা: আল্লাহ তাআলা বলেন,قُلْ إِنَّ رَبِّي يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَيَقْدِرُ لَهُ وَمَا أَنْفَقْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَهُوَ يُخْلِفُهُ وَهُوَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ ‘বলুন! নিশ্চয়ই আমার পালনকর্তা তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা প্রশস্ত রূযী দেন এবং পরিমিত রূযী দান করেন। তোমরা যা কিছু ব্যয় করো, তিনি তার বিনিময় দেন। তিনি উত্তম রিযিক্বদাতা’ (সাবা, ৩৪/৩৯)

শিক্ষা: রূযীর প্রশস্ততা এবং রূযীর সংকীর্ণতা সম্পূর্ণ আল্লাহর হাতে। আল্লাহ তাআলা ধনী-গরীব করেছেন এই জন্য যে, যাতে করে একজন আরেকজনের কাজ করে দিতে পারে। এতে করে পৃথিবীর ভারসাম্য বজায় থাকবে। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,مَا مِنْ يَوْمٍ يُصْبِحُ العِبَادُ فِيهِ، إِلَّا مَلَكَانِ يَنْزِلاَنِ، فَيَقُولُ أَحَدُهُمَا: اللَّهُمَّ أَعْطِ مُنْفِقًا خَلَفًا، وَيَقُولُ الآخَرُ: اللَّهُمَّ أَعْطِ مُمْسِكًا تَلَفًا ‘যখনই বান্দাগণ প্রভাত করে, তখন দুজন ফেরেশতা অবতরণ করেন, তার মধ্যে একজন বলেন, হে আল্লাহ! যে ব্যক্তি তোমার পথে ব্যয় করে, তাকে উত্তম প্রতিদান দাও। অপরজন বলেন, হে আল্লাহ! কৃপণের মাল ধ্বংস করো’।[4]

() আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখা: রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُبْسَطَ لَهُ فِي رِزْقِهِ، وَيُنْسَأَ لَهُ فِي أَثَرِهِ، فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ ‘যে ব্যক্তি নিজের রূযী প্রশস্ত হওয়া এবং নিজের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি হওয়া পছন্দ করে, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে’।[5]

() পর পর হজ্জ ও উমরা পালন করা: রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,تَابِعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَإِنَّهُمَا: يَنْفِيَانِ الْفَقْرَ وَالذُّنُوبَ كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ: خَبَثَ الْحَدِيدِ وَالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ ‘তোমরা পর পর হজ্জ ও উমরা আদায় করো। কেননা এ দুটি ইবাদত দারিদ্র্য ও গুনাহ দূর করে, যেভাবে হাপর লোহা এবং সোনা-রূপার ময়লা দূর করে’।[6]

() নেয়ামতপ্রাপ্তির পর শুকরিয়া আদায় বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা: আল্লাহ তাআলা বলেন,وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِنْ شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ وَلَئِنْ كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٌ ‘যখন তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দিব আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর’ (ইবরাহীম, ১৪/)

হারাম উপার্জন করা হতে সাবধান ও সতর্কতা অবলম্বন করা: নু‘মান ইবনু বাশীর রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,الْحَلَالُ بَيِّنٌ وَالْحَرَامُ بَيِّنٌ وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبِهَاتٌ لَا يَعْلَمُهُنَّ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ فَمَنِ اتَّقَى الشبهاب استبرَأَ لدِينهِ وعِرْضِهِ ومَنْ وقَعَ فِي الشبُّهَاتِ وَقَعَ فِي الْحَرَامِ كَالرَّاعِي يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى يُوشِكُ أَنْ يَرْتَعَ فِيهِ أَلَا وَإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمًى أَلَا وَإِنَّ حِمَى اللهِ مَحَارِمُهُ أَلَا وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَتْ صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُله أَلا وَهِي الْقلب ‘হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট আর উভয়ের মাঝে আছে সন্দেহপূর্ণ বিষয়, যা অনেক মানুষই জানে না। যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ বিষয় হতে বেঁচে থাকল, সে তার দ্বীন ও সম্মান হেফাযত করল। আর যে ব্যক্তি সন্দেহের মধ্যে পতিত হলো, সে মূলত হারামের মধ্যেই পতিত হলো। যেমন কোনো রাখাল সংরক্ষিত এলাকার পার্শ্বে পশু চারণ করলে তার পশু সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করার আশঙ্কা থাকে। সাবধান! প্রত্যেক বাদশাহর একটি সংরক্ষিত এলাকা থাকে। সাবধান! আল্লাহ তাআলার সংরক্ষিত এলাকা হলো তাঁর হারামকৃত বিষয়সমূহ। সাবধান! নিশ্চয় শরীরের মধ্যে এক টুকরা গোশত আছে, যখন তা পরিশুদ্ধ থাকে, তখন সমস্ত শরীর পরিশুদ্ধ থাকে। আর যখন তা বিনষ্ট হয়, তখন সমস্ত শরীর বিনষ্ট হয়। সাবধান! তা হলো ক্বলব বা অন্তঃকরণ’।[7]

উক্ত হাদীছে সন্দেহপূর্ণ বিষয় পরিহার করা ও অন্তঃকরণ পরিশুদ্ধ রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

হারাম পন্থায় রূযী কামায় ইবাদত কবুলে অন্তরায়:

আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ فَقَالَ: يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ ‘হে মানবকুল! নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা পবিত্র; তিনি পবিত্র ভিন্ন অন্য কিছু গ্রহণ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা মুমিনগণকে তাই আদেশ করেছেন, যা তিনি রাসূলগণকে আদেশ করেছেন, তিনি বলেন, ‘হে রাসূলগণ! আপনারা পবিত্র খাদ্য হতে ভক্ষণ করুন এবং ভালো কাজ করুন। নিশ্চয়ই আপনারা যা আমল করেন, সে সম্পর্কে আমি সম্যক অবগত’ (আল-মুমিনূ, ২৩/৫১)। তিনি আরও বলেছেন, (আল্লাহ তাআলার বাণী) يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ ‘হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যা পবিত্র রিযিক্ব প্রদান করেছি, তা হতে তোমরা ভক্ষণ করো’ (আল-বাক্বারা, ২/১৭২)। তারপর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন,يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ يَا رَبِّ، يَا رَبِّ وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ ‘জনৈক ব্যক্তি দীর্ঘ সফর করে এলোমেলো কেশ ও ধুলোমলিন অবস্থায় তিনি আসমানের দিকে দুহাত তুলে ইয়া রব! ইয়া রব! বলে দু‘আ করে। অথচ তার খাদ্য হারাম, তার পানীয় হারাম, তার পোশাক হারাম এবং তার জীবিকাও হারাম। তাহলে কীভাবে তার দু‘আ কবুল হতে পারে?’[8]

উক্ত হাদীছে এমন এক ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে দু‘আ কবুলের অনেক শর্ত থাকা সত্ত্বেও শুধু তার সাথে হারাম মালের সম্পর্ক থাকার কারণে তার দু‘আ প্রত্যাখ্যাত হলো। তাই হালাল উপার্জনকে ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত করা হয়েছে।

হারাম উপার্জনের কুফল: রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,مَنْ نَبَتَ لَحْمُهُ مِنَ السُّحت فَالنَّار أولى بِهِ ‘যার গোশত হারাম দিয়ে তৈরি, তার জন্য জাহান্নামই বেশি উপযোগী’।[9]

আল্লাহ আমাদেরকে হারাম উপার্জন হতে রক্ষা করুন- আমীন!


[1]. ইবনু মাজাহ, হা/২২৪।

[2]. তিরমিযী, হা/২১৩৯, হাসান।

[3]. তিরমিযী, হা/২৩৪৪, হাদীছ ছহীহ।

[4]. ছহীহ বুখারী, হা/১৪৪২; ছহীহ মুসলিম, হা/১০১০।

[5]. ছহীহ বুখারী, হা/৫৯৮৬; ছহীহ মুসলিম, হা/২৫৫৭।

[6]. নাসাঈ, হা/২৬৩১; তিরমিযী, হা/৮১০, হাসান ছহীহ।

[7]. ছহীহ বুখারী, হা/৫২; ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৯।

[8]. ছহীহ মুসলিম, হা/১০১৫; মিশকাত, হা/২৭৬০।

[9]. হাকেম, হা/৭১৬৪; মিশকাত, হা/২৮২৫, হাদীছ ছহীহ।

Magazine