উত্তর : ঈমান ভঙ্গের অনেক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১০টি কারণ উল্লেখ্য করা হলো যেগুলো কোনো ব্যক্তি করলে সে দ্বীন থেকে খারিজ হয়ে যাবে। হোক সে জেনে-বুঝে করুক কিংবা না জেনে করুক। সেই কাজগুলো হলো : ১. আল্লাহর ইবাদতে শরীক বা অংশীদার স্থাপন করা। ২. যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং বান্দার মাঝে কাউকে মাধ্যম তৈরী করে তাদেরকে ডাকে এবং তাদের নিকট শাফাআত কামনা করে। ৩. যদি কোনো মুসলিম ব্যক্তি মুশরিকদেরকে কাফের মনে না করে অথবা তাদের কুফরীর ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করে অথবা তাদের মতবাদসমূহ সঠিক মনে করে। ৪. যদি কোনো মুসলিম নবী করীম রযিয়াল্লাহু আনহু-এর দেখানো পথ ব্যতীত অন্য কোনো পথ পরিপূর্ণ অথবা ইসলামী হুকুমাত বা বিধান ব্যতীত অন্য কারো তৈরী হুকুমত উত্তম মনে করে। ৫. যদি কোনো মুসলমান আল্লাহর নবী রযিয়াল্লাহু আনহু-এর আনিত বিধানের কোনো অংশকে অপছন্দ করে তবে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে, যদিও সে ঐ বিষয়ে আমল করে। ৬. যদি কোনো মুসলিম মুহাম্মাদ রযিয়াল্লাহু আনহু আনিত ধর্মের কোনো বিষয়ে অথবা ধর্মীয় ছওয়াব বা শাস্তির ব্যাপারে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। ৭. যদি কেউ যাদুর মাধ্যমে ভাল কিছু অর্জন বা মন্দ কিছু বর্জন করতে চায় অথবা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সম্পর্ক স্থাপন বা ভাঙ্গন ধরাতে গোপন, প্রকাশ্য মন্ত্র-তন্ত্র করতে চায় অথবা কারো সাথে (ছেলে-মেয়ে) সম্পর্ক স্থাপন বা বন্ধুত্বে ফাটল ধরাতে চায়। ৮. মুসলমানদের বিরুদ্ধে মুশরিকদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা। ৯. যে ব্যক্তি মনে করে মুহাম্মাদ রযিয়াল্লাহু আনহু-এর শরীআত ব্যতীত অন্য কোনো ধর্মে জীবন পরিচালনা করলেও জান্নাত পাওয়া যাবে বা আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া সম্ভব। ১০. আল্লাহ মনোনীত দ্বীন ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া (আর-রাসাইলুস-ছাখসিয়্যা, ২১২-২১৪; মাজমুআতু রাসায়েল ফিত-তাওহীদে ওয়াল ঈমান, ৩৮৫ পৃ.; নাওয়াক্বিযুল ইসলাম, ২ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : আফতাব
জামালপুর।