কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (২৬):মহিলারা এক জেলা থেকে আরেক জেলায় ঘরোয়াভাবে তা‘লিম দিয়ে থাকেন। একজন মহিলা প্রধান থাকেন যার মাশোয়ারা মেনে চলেন। সেখানে বলা হয়, হিজরত করতে হবে তবে ইলম বৃদ্ধি পায়। সেখানে ফাযায়েলে আমল, মুন্তাখাব, মালফূজাত এই ধরনের বই পড়ানো হয়। আমি জানতে চাই এ বিষয়ে কুরআন হাদীছে কী বলা হয়েছে?

উত্তর: তা‘লীম দেওয়ার জন্য নারীদের সফর করা বৈধ নয়। বরং তারা নিজ বাড়িতে অবস্থান করবে, প্রতিবেশীদের মধ্যে যাদের কিছু জানার প্রয়োজন তারা এসে দ্বীনের মাসআলা-মাসায়েল জিজ্ঞাসা করে যাবে। যেমনটা মা আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা-এর কাছে এসে নারীরা জিজ্ঞাসা করে যেত (ছহীহ বুখারী, হা/৩২১)। দ্বিতীয়ত, নারীদের জন্য একদিনের বেশি দূরত্বের পথে মাহরাম ব্যতীত একাকী সফর করা জায়েয নয়। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো মুসলিম নারীর জন্য একদিনের পথ সফর করা বৈধ নয়, যদি না তার সাথে কোনো মাহরাম পুরুষ থাকে’ (আবূ দাঊদ, হা/১৭২৩)। তৃতীয়ত, প্রশ্নোল্লিখিত বইগুলোত প্রচুর পরিমাণে ছহীহ হাদীছ বিরোধী ভুল মাসআলা ও বানোয়াট কিচ্ছা-কাহিনীতে ভরা, যা শরীআতের নামে চালিয়ে দেওয়া ভয়াবহ অপরাধ। আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে কেউ আমার বরাত দিয়ে এমন কথা বর্ণনা করল, যার ব্যাপারে সে জানে যে সেটা মিথ্যা, সে মিথ্যুকের অন্তর্ভুক্ত’ (ইবনু মাজাহ, হা/৩৮)। সালামা রযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘যে আমার বরাত দিয়ে এমন কথা বলল, যা আমি বলিনি, সে যেন তার থাকার জায়গা জাহান্নামে বানিয়ে নেয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/১০৯)। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, ‘যে আমার উপর মিথ্যারোপ করবে, সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/১০৮)।


Magazine