ভূমিকা: সময় তার নিজ গতিতে চলতে থাকে। সময় কখনোই কারো আপন হয় না; বরং মানুষ নিজেরাই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চলতে তাকে আপন করে নেয়। এই চলতে থাকা তখনই সফলতা নিয়ে আসে, যখন মানুষ সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করে। সঠিক ব্যবহার হতে পারে বিভিন্ন অবস্থানভেদে ও নানান পরিস্থিতিতে। আল্লাহ তাআলা সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের পরীক্ষা করে থাকেন, কখনো নিঃস্ব করে আবার কখনো ক্ষমতা দিয়ে। সাময়িকভাবে কোনো কিছুর কর্তৃত্ব অর্জন করা বা মালিক হওয়াকে ক্ষমতা বলা হয়। এটি হতে পারে অনেক বড় বিষয়ে অথবা ছোট বিষয়ে। কিন্তু প্রতিটি মানুষ তার সামান্য থেকে সামান্যতম দায়িত্ব সম্পর্কেও জিজ্ঞাসিত হবে। এ ব্যাপারে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
أَلاَ كُلُّكُمْ رَاعٍ، وَكُلُّكُمْ مَسْؤُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، فَالإِمَامُ الَّذِى عَلَى النَّاسِ رَاعٍ وَهْوَ مَسْؤُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، وَالرَّجُلُ رَاعٍ عَلَى أَهْلِ بَيْتِهِ وَهْوَ مَسْؤُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، وَالْمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ عَلَى أَهْلِ بَيْتِ زَوْجِهَا وَوَلَدِهِ وَهِىَ مَسْؤُوْلَةٌ عَنْهُمْ، وَعَبْدُ الرَّجُلِ رَاعٍ عَلَى مَالِ سَيِّدِهِ وَهْوَ مَسْؤُوْلٌ عَنْهُ، أَلاَ فَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْؤُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ.
‘জেনে রেখো! তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল আর তোমরা প্রত্যেকেই নিজ অধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব, রাষ্ট্রনেতা জনগণের দায়িত্বশীল, তিনি তার অধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন। পুরুষ গৃহকর্তা তার পরিবারের দায়িত্বশীল; সে তার অধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। নারী তার স্বামীর পরিবার ও সন্তান-সন্ততির উপর দায়িত্বশীল, সে এসব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। কোনো ব্যক্তির দাস স্বীয় মালিকের সম্পদের দায়িত্বশীল, সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব, জেনে রেখো! প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বাধীন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে’।[1]
উক্ত হাদীছ থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, প্রত্যেক ব্যক্তি তার স্বস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। কেউ কোনো ক্ষমতা পেয়ে গেল বলে এই নয় যে, সে অপর কারো উপর নিজের ইচ্ছামতো কোনো কিছু চাপিয়ে দিবে। সুতরাং কোনো ক্ষমতাবান কারো প্রতি যুলম করতে পারবে না। কেউ কোনো বিষয়ে ক্ষমতাবান হলে তাকে কুরআন-হাদীছের আলোকে ন্যায়পরায়ণতার সাথেই সে বিষয় পরিচালনা করতে হবে। কারণ কুরআন-হাদীছের ভাষ্যমতে, যারা যুলম করে, তাদের জন্য রয়েছে দু’বার শাস্তি— (১) পৃথিবীর বুকে অপমান-লাঞ্ছনা এবং (২) পরকালে নির্ধারিত শাস্তি তথা জাহান্নাম। আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজীদে যুলমকারীদের সম্পর্কে বলেন,وَلَا تَحْسَبَنَّ اللَّهَ غَافِلًا عَمَّا يَعْمَلُ الظَّالِمُونَ إِنَّمَا يُؤَخِّرُهُمْ لِيَوْمٍ تَشْخَصُ فِيهِ الْأَبْصَارُ - مُهْطِعِينَ مُقْنِعِي رُءُوسِهِمْ ‘আর আপনি কখনো মনে করবেন না যে, যালেমরা যা করে সে বিষয়ে আল্লাহ গাফেল। তবে তিনি তাদেরকে সেদিন পর্যন্ত অবকাশ দেন, যেদিন তাদের চক্ষু হবে স্থির। ভীত-বিহ্বল চিত্তে উপরের দিকে তাকিয়ে তারা ছুটোছুটি করবে’ (ইবরাহীম, ১৪/৪২-৪৩)।
অতীতের স্বৈরাচারী ক্ষমতাবান এবং তাদের পরিণতি: ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, যুগে যুগে যারা পৃথিবীতে যুলম-নির্যাতন করেছে, তাদের অবস্থা হয়েছে অত্যন্ত ভয়াবহ। তাদেরকে পৃথিবীতে একবার শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং পরকালে তাদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে জাহান্নাম। পৃথিবীর বুকে সর্বপ্রথম সবচেয়ে বড় যুলম করেছিল আদম আলাইহিস সালাম-এর পুত্র কাবিল। সে নিজের কুরবানী কবুল না হওয়ায় বড় ভাই হাবিলকে হত্যা করেছিল। আল্লাহ তাকে পৃথিবীতে নিঃসঙ্গতা ও পেরেশানির শাস্তি দিয়েছিলেন আর পরকালে তার জন্য নির্ধারিত রয়েছে জাহান্নাম। আরেকজন স্বৈরাচারী শাসক নমরূদ, সে দীর্ঘ ৪০০ বছর যাবৎ রাজত্ব করায় উদ্ধত ও অহংকারী হয়ে উঠেছিল এবং নিজেকে একমাত্র উপাস্য ভেবেছিল। তাই সে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-কে জিজ্ঞেস করেছিল, বলো, তোমার উপাস্য কে? নমরূদ ভেবেছিল যে, তাকে হয়তো প্রভু বলে স্বীকার করবে। কিন্তু ইবরাহীম আলাইহিস সালাম বলেন, رَبِّيَ الَّذِي يُحْيِي وَيُمِيتُ ‘আমার পালনকর্তা তিনি, যিনি মানুষকে বাঁচান ও মারেন’ (আল-বাক্বারা, ২/২৫৮)। তার কথা অমান্য করায় সে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-কে আগুনে নিক্ষেপ করেছিল, কিন্তু আল্লাহর নির্দেশে তা শীতল হয়ে যায়। অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাকে দুনিয়াতে সামান্য মশা দ্বারা ধ্বংস করেন আর পরকালে তার জন্য রয়েছে জাহান্নাম। অপর একজন স্বৈরাচারী শাসক ফেরাউন, যে নিজেকে প্রভু দাবি করে এবং নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বনী ইসরাঈলের হাজারো শিশুকে হত্যা করে। আল্লাহ তাআলা তাকে তার দলবলসহ পানিতে ডুবিয়ে মেরেছিলেন।
ক্ষমতার বাহাদুরি এবং অহংকার করায় আল্লাহ তাআলা ‘আদ জাতিকে ধ্বংস করেন। প্রাথমিক গযব হিসেবে তাদের উপর টানা তিন বছর যাবৎ বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকে। তাদের শস্যক্ষেতসমূহ শুষ্ক বালুকাময় মরুভূমিতে পরিণত হয়। বাগ-বাগিচা জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। তাদের ব্যাপারে কুরআন মাজীদে আল্লাহ তাআলা বলেন,فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيحًا صَرْصَرًا فِي أَيَّامٍ نَحِسَاتٍ لِنُذِيقَهُمْ عَذَابَ الْخِزْيِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَلَعَذَابُ الْآخِرَةِ أَخْزَى وَهُمْ لَا يُنْصَرُونَ ‘অতঃপর আমি অশুভ দিনগুলোতে তাদের বিরুদ্ধে ঝঞ্ঝা বায়ু পাঠালাম, যাতে তারা দুনিয়ার জীবনে অপমানজনক শাস্তি আস্বাদন করে। আখেরাতের শাস্তি অবশ্যই অধিক লাঞ্ছনাদায়ক হবে আর তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না’ (ফুছছিলাত, ৪১/১৬)।
কওমে ‘আদের ন্যায় আল্লাহ তাআলা ছামূদ জাতির ৯ জন নেতাকে ধ্বংস করেন। ছালেহ আলাইহিস সালাম তাওহীদের দাওয়াত দেওয়ার পর তারা ৯ জন তাকে ও তার পরিবারকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে।
এভাবে প্রত্যেক যুলমকারী এবং স্বৈরাচারীকে আল্লাহ তাআলা ধ্বংস করে দিয়েছেন। পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কোনো যুলমকারীই তার শাস্তি থেকে রেহাই পাইনি। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, اتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ ، فَإِنَّهَا لَيْسَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللَّهِ حِجَابٌ ‘তোমরা মাযলূমের বদ-দু‘আ থেকে বেঁচে থাকো। কেননা এই বদ-দু‘আ এবং আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা নেই’।[2]
বর্তমান স্বৈরাচারী ক্ষমতাবান এবং তার পরিণতি: আল্লাহ তাআলার বাণী ও রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীছ যে চিরসত্য এবং আল্লাহ তাআলা অন্যায়ের বিরুদ্ধে শাস্তিদানে যে অত্যন্ত কঠোর তার প্রমাণ আমরা বর্তমান অবস্থার বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে জানতে পারি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আমাদের দেশে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে যাওয়া ঘটে যাওয়া ১ জুলাই থেকে ৩৬ জুলাই তথা ৫ আগস্ট পর্যন্ত রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী খুনি হাসিনার পদত্যাগ ও পলায়ন তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারিত হয় দ্বি-জাতি তত্ত্ব তথা ধর্মের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে যখন মুসলিমরা ইংরেজদের সাথে যুদ্ধ করে বিজয় লাভ করে তখন। উল্লেখ্য, ইংরেজরা ১৭৫৭-১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৯০ বছর ভারতবর্ষে শাসন চালায়।
তারপর ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করে নামমাত্র স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। এমন একটি দেশ কীভাবে স্বাধীন দেশ হতে পারে, যেখানে ভাষার জন্য এবং দেশের জন্য যুদ্ধ করে হাজারো প্রাণ দিয়ে বিজয় লাভ করেও ছিল না মানুষের কোনো বাকস্বাধীনতা? সেখানে মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে জেনেও যুলম-অত্যাচারের ভয়ে হয়ে পড়েছিল অক্ষম। মানুষ বলতে বাধ্য হচ্ছিল যে, নামমাত্র স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সকল মানুষই যেন ছিল শিকলবন্দি ও পরাধীন। এখন ফিরে যায় খুনি হাসিনার কথায়, ২০০৯ সাল থেকে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ সে কত মানুষকে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত ও নিপীড়িত করে এবং বিভিন্ন অন্যায় কাজ করতেই থাকে তা সত্যিই অবর্ণনীয়। যার ভোগান্তি আজও পরিপূর্ণভাবে কাটিয়ে উঠতে পারেনি অনেকেই। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তার উল্লেখযোগ্য অন্যায় কাজসমূহ হলো— ২০০৯ সালে পিলখানায় নির্মম হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালে হেফাজতের কর্মীদের শাপলা চত্বরে নির্মমভাবে হত্যা, ২০১৪ সালের একক নির্বাচন, ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকারীদের নির্মমভাবে হত্যা, নির্বাচনে গায়েবী ভোট, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গুম-হত্যা, আয়নাঘর, ১১ লক্ষ কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার, মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া, ২০২৪ সালে কোটা আন্দোলনে গণহত্যা ইত্যাদি।
১৬ বছরের রাজত্বে তিনি সব ধরনের অপকর্ম এবং দুর্নীতি করেছেন। নৃশংসভাবে ভিন্নমত দমন, প্রতিহিংসার রাজনীতি করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছেন তিনি। তার তৈরিকৃত আয়নাঘর নামক দুনিয়াবী জাহান্নামে তিনি ছয় শতাধিক মানুষকে গুম ও হত্যা করেছেন। তিনি বিদেশি একটি রাষ্ট্রের সাথে ষড়যন্ত্র করে পিলখানায় ৫৭ জন সেনা অফিসার ও ১৭ জন সিভিলিয়ানকে হত্যা করেছেন। মানুষ স্বাধীন দেশে থেকেও নির্যাতিত হয়েছে বিভিন্নভাবে। দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন, তার ক্ষমতা তার থেকে কেউ কেঁড়ে নিতে পারবে না। কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে আল্লাহর পরিকল্পনা অতি সূক্ষ্ম ও কঠিন। অবশেষে ১৫ বছরের রাজত্ব ছেড়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে খুনি হাসিনা পুরো পৃথিবীর সামনে অপমানিত ও লজ্জিত হয়ে পালিয়ে যায়। দুনিয়াতে যুলমকারীদের শাস্তি এমনই হয়, যা কুরআন-হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। কুরআন মাজীদে আল্লাহ তাআলা বলেন,وَأَنْذِرِ النَّاسَ يَوْمَ يَأْتِيهِمُ الْعَذَابُ فَيَقُولُ الَّذِينَ ظَلَمُوا رَبَّنَا أَخِّرْنَا إِلَى أَجَلٍ قَرِيبٍ نُجِبْ دَعْوَتَكَ وَنَتَّبِعِ الرُّسُلَ أَوَلَمْ تَكُونُوا أَقْسَمْتُمْ مِنْ قَبْلُ مَا لَكُمْ مِنْ زَوَالٍ ‘আর আপনি মানুষদেরকে সতর্ক করুন, যেদিন তাদের উপর আযাব নেমে আসবে। অতঃপর তখন যারা যুলম করেছে তারা বলবে, হে আমাদের রব! তুমি আমাদেরকে কিছু সময়ের জন্য অবকাশ দাও, আমরা তোমার ডাকে সাড়া দেব এবং রাসূলদের অনুসরণ করব। ইতঃপূর্বে তোমরা কি কসম করোনি যে, তোমাদের কোনো পতন নেই?’ (ইবরাহীম, ১৪/৪৪)।
উপসংহার: পৃথিবীর কোনো মানুষেরই নিজের অবস্থান বা কোনো ক্ষমতা নিয়ে অহংকার করা ঠিক নয়। কারণ দুনিয়াবী ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়; বরং দুনিয়া ও পরকালের চিরস্থায়ী ক্ষমতাবান একমাত্র আল্লাহ। যেহেতু দুনিয়া একটি পরীক্ষা কেন্দ্র, সুতরাং পরকালীন কল্যাণের আশায় প্রত্যেক দায়িত্বশীল বা ক্ষমতাবানকে নিজ নিজ অবস্থানের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। প্রকৃত কর্তৃত্বশীল তখনই হতে পারবে, যখন কেউ অন্যের জন্য যে বিধান বা আইন ধার্য করবে, নিজের জন্যও সেই একই বিধান গ্রহণ করবে। কেননা আল্লাহর রহমত যেমন ব্যাপক, তার গযবও তেমন ব্যাপক। সুতরাং যুলম থেকে বিরত থাকতে হবে, তা একটি বড় পাপ। যুলম সম্পর্কে হাদীছে এসেছে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,الظُّلْمُ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‘যুলম ক্বিয়ামতের দিন অন্ধকারের কারণ হবে’।[3] আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন- আমীন!
তাবাসসুম আরোবী
শিক্ষার্থী, কুল্লিয়্যাহ, আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ (বালিকা শাখা), ডাঙ্গীপাড়া, পবা, রাজশাহী।
[1]. ছহীহ বুখারী, হা/৭১৩৮।
[2]. ছহীহ বুখারী, হা/২৪৪৮।
[3]. ছহীহ বুখারী, হা/২৪৪৭।