কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪৮): ‘কোনো পুরুষ যদি কোনো নারীকে দুনিয়াতে ভালোবাসে, কিন্তু তাকে বিবাহ করতে না পারে, তারপর তার মোহরানা পরিমাণ দান করে দিয়ে আল্লাহর কাছে তাকে আখেরাতের জন্য স্ত্রী হিসেবে চায়; তাহলে আল্লাহর কাছে সে এটা পেয়ে যাবে আশা করা যায়’ (আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা, ৫/৪৬১)-শরীআতে এর কোনো ভিত্তি আছে কি?

উত্তর: মোহরানা পরিমাণ দান করা নিয়ে যে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে, এটা বানোয়াট কথা। এক্ষেত্রে সঠিক মাসআলা হলো, স্বামী-স্ত্রী উভয়ে যদি জান্নাতে যায়, তাহলে সে তার দুনিয়ার স্বামীর স্ত্রী হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ও তোমাদের স্ত্রীরা জান্নাতে প্রবেশ করো…’ (আয-যুখরুফ, ৪৩/৭০)। একাধিক স্বামী বিশিষ্ট স্ত্রী হলে আর সকলেই জান্নাতে গেলে শেষ স্বামীর সাথেই সে জান্নাতে থাকবে। হুযায়ফা রাযিয়াল্লাহু আনহু তার স্ত্রীকে বলেন, তুমি যদি আমার সাথে জান্নাতে স্ত্রী হিসেবে থাকতে চাও; তাহলে আমার পর আর কাউকে বিয়ে করো না। কেননা মহিলা তার শেষ স্বামীর সাথে জান্নাতে থাকবে। এজন্যই তো আল্লাহ নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীদের উপর তাঁর মৃত্যুর পর অন্য কাউকে বিবাহ করা হারাম করেছেন। কেননা তারা জান্নাতে তাঁর স্ত্রী হিসেবে থাকবে (আস-সুনানুল কুবরা, হা/১৩৪২১)। আর যদি কোনো ছেলেমেয়ের বিবাহ না হয়, তাহলে আল্লাহ জান্নাতে বিয়ে দিয়ে দিবেন। কেননা জান্নাতে অবিবাহিত কেউ থাকবে না। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জান্নাতে কোনো অবিবাহিত থাকবে না’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৩৬৯)। সুতরাং অবিবাহিত অবস্থায় দুনিয়ার পছন্দনীয় কন্যাটি যদি জান্নাতে যায় আর সে তাকে বিবাহ করতে চায়, তাহলে আল্লাহ চাহে তো তার সাথে তার বিবাহ পড়িয়ে দিবেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মন যা চায় তাই সেখানে তোমাদের জন্য থাকবে’ (ফুছছিলাত, ৪১/৩১)।
প্রশ্নকার : আয়াত উল্যা
মোহাম্মদপুর, ঢাকা।


Magazine