কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৫): আমার স্বামী সালাফী আক্বীদা মেনে চলে। ছালাত এবং হাদীছের ব্যাপারে উনি আপসহীন। কিন্তু আমার সাথে বেশিরভাগ সময়ই ব্যঙ্গ করে কথা বলে, কথায় কথায় আমার সাথে আমার আব্বাকেও মিলিয়ে কথা বলে। আমি যখনই বুঝাতে যাই যে, ভালো ব‍্যবহারও এক ধরনের ইবাদত; তখন তিনি কষ্ট পান এবং দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। রেফারেন্সসহ এর অপকারিতা এবং করণীয় জানাবেন।

উত্তর: একজন ব্যক্তির আক্বীদা সালাফী মতাদর্শের হওয়ার পাশাপাশি তার আমল-আখলাকও সালাফী মতাদর্শের হওয়া জরুরী। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে ঠাট্টা-বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর নারীরা যেন অন্য নারীদেরকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারিণীদের চেয়ে উত্তম। তোমরা একে অন্যের নিন্দা করো না, একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না’ (আল- হুজুরাত, ৪৯/১১)। ইসলাম সবসময় স্ত্রীর সাথে সদ্ভাবে জীবনযাপনের জন্য উৎসাহিত করেছে। আল্লাহ তাআলা স্বামীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আর তোমরা তাদের সাথে সদ্ভাবে জীবনযাপন করবে; তোমরা যদি তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে এমন হতে পারে যে, আল্লাহ যাতে প্রভূত কল্যাণ রেখেছেন তোমরা তাকেই অপছন্দ করছ’ (আন-নিসা, ৪/১৯)। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কোনো মুমিন পুরুষ (স্বামী) কোনো মুমিন নারীর (স্ত্রীর) প্রতি বিদ্বেষ-ঘৃণা পোষণ করবে না; কেননা সে তার কোনো অভ্যাসকে অপছন্দ করলে, অন্য কোনো অভ্যাসটি সে পছন্দ করবে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৩৫৪০)। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভাষ্য অনুযায়ী একজন পুরুষের উত্তমতার সত্যায়ন করবে তার স্ত্রী। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের মাঝে সে-ই ভালো, যে তার স্ত্রীদের নিকট ভালো’ (ছহীহুল জামে‘, হা/৩২৬৫)। সুতরাং একজন উত্তম স্বামী হিসেবে কখনই স্ত্রীর সাথে মন্দ আচরণ কাম্য নয়। এমনকি ইসলাম এ ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করেছে।

প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।



Magazine