উত্তর: একজন ব্যক্তির আক্বীদা সালাফী মতাদর্শের হওয়ার পাশাপাশি তার আমল-আখলাকও সালাফী মতাদর্শের হওয়া জরুরী। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে ঠাট্টা-বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম। আর নারীরা যেন অন্য নারীদেরকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারিণীদের চেয়ে উত্তম। তোমরা একে অন্যের নিন্দা করো না, একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না’ (আল- হুজুরাত, ৪৯/১১)। ইসলাম সবসময় স্ত্রীর সাথে সদ্ভাবে জীবনযাপনের জন্য উৎসাহিত করেছে। আল্লাহ তাআলা স্বামীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আর তোমরা তাদের সাথে সদ্ভাবে জীবনযাপন করবে; তোমরা যদি তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে এমন হতে পারে যে, আল্লাহ যাতে প্রভূত কল্যাণ রেখেছেন তোমরা তাকেই অপছন্দ করছ’ (আন-নিসা, ৪/১৯)। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কোনো মুমিন পুরুষ (স্বামী) কোনো মুমিন নারীর (স্ত্রীর) প্রতি বিদ্বেষ-ঘৃণা পোষণ করবে না; কেননা সে তার কোনো অভ্যাসকে অপছন্দ করলে, অন্য কোনো অভ্যাসটি সে পছন্দ করবে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৩৫৪০)। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভাষ্য অনুযায়ী একজন পুরুষের উত্তমতার সত্যায়ন করবে তার স্ত্রী। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের মাঝে সে-ই ভালো, যে তার স্ত্রীদের নিকট ভালো’ (ছহীহুল জামে‘, হা/৩২৬৫)। সুতরাং একজন উত্তম স্বামী হিসেবে কখনই স্ত্রীর সাথে মন্দ আচরণ কাম্য নয়। এমনকি ইসলাম এ ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করেছে।
প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।