بَابُ مَنْ سُئِلَ عِلْمًا وَهُوَ مُشْتَغِلٌ فِي حَدِيثِهِ، فَأَتَمَّ الحَدِيثَ ثُمَّ أَجَابَ السَّائِلَ.
পরিচ্ছেদ: ৩/২. শিক্ষক যখন কোনো কথায় ব্যস্ত থাকেন, তখন তাকে কিছু জিজ্ঞেস করা হলে কথা শেষ করে উত্তর দেওয়া:
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، ح وحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ المُنْذِرِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُلَيْحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: حَدَّثَنِي هِلاَلُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: بَيْنَمَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَجْلِسٍ يُحَدِّثُ القَوْمَ، جَاءَهُ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ: مَتَى السَّاعَةُ؟ فَمَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحَدِّثُ، فَقَالَ بَعْضُ القَوْمِ: سَمِعَ مَا قَالَ فَكَرِهَ مَا قَالَ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: بَلْ لَمْ يَسْمَعْ، حَتَّى إِذَا قَضَى حَدِيثَهُ قَالَ: أَيْنَ - أُرَاهُ - السَّائِلُ عَنِ السَّاعَةِ» قَالَ: هَا أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: فَإِذَا ضُيِّعَتِ الأَمَانَةُ فَانْتَظِرِ السَّاعَةَ»، قَالَ: كَيْفَ إِضَاعَتُهَا؟ قَالَ: إِذَا وُسِّدَ الأَمْرُ إِلَى غَيْرِ أَهْلِهِ فَانْتَظِرِ السَّاعَةَ»
৫৯. ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমাদেরকে মুহাম্মাদ বিন সিনান হাদীছ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে ফুলাইহ হাদীছ বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারী আরও বলেন, আমাকে ইবরাহীম বিন মুনযির হাদীছ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে মুহাম্মাদ বিন ফুলাইহ হাদীছ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমাকে আমার পিতা ফুলাইহ হাদীছ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমাকে হিলাল বিন আলী হাদীছ বর্ণনা করেছেন। তিনি আত্বা বিন ইয়াসার থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, ‘একদা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে লোকদেরকে হাদীছ শুনাচ্ছিলেন, এমতাবস্থায় একজন বেদুঈন এসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ক্বিয়ামত কখন (সংঘটিত হবে)?’ তখন রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় আলোচনা অব্যাহত রাখলেন। তখন কিছু মানুষ বললেন, ‘আল্লাহর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রশ্নটি শুনেছেন; কিন্তু তিনি তার কথা পছন্দ করেননি’। অপর কিছু মানুষ বললেন, ‘তিনি তার কথা শুনতে পাননি’। অতঃপর আল্লাহর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর আলোচনা শেষ করে বললেন, ‘ক্বিয়ামত সম্পর্কে প্রশ্নকারী ব্যক্তি কোথায়?’ বেদুঈন ব্যক্তি বললেন, ‘এই যে আমি, হে আল্লাহর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তখন রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেন, ‘যেদিন আমানত নষ্ট হয়ে যাবে, সেদিন ক্বিয়ামতের অপেক্ষা করবে’। বেদুঈন ব্যক্তি আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! কীভাবে আমানত নষ্ট হবে? তখন তিনি উত্তরে বললেন, ‘যখন অযোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তখনই ক্বিয়ামতের অপেক্ষা করবে’।
তাখরীজ: হাদীছটি ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ বর্ণনা করেছেন ইবরাহীম বিন মুনযির থেকে, তিনি মুহাম্মাদ বিন ফুলাইহ থেকে। হাদীছটি ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ আরও বর্ণনা করেছেন মুহাম্মাদ বিন সিনান থেকে। হাদীছটি আরও বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল[1] ইউনুস বিন মুহাম্মাদ আল-বাগদাদী ও সুরাইজ বিন নু‘মান আল-জাওহারী থেকে। হাদীছটি আরও বর্ণনা করেছেন ইমাম ইবনু হিব্বান[2] উমার আস-সামারকান্দী থেকে, তিনি আবূ মূসা আয-যামিন থেকে, তিনি উছমান বিন ফারেস থেকে।
তারা সকলেই (মুহাম্মাদ বিন ফুলাইহ, ইউনুস, সুরাইজ ও উছমান বিন ফারেস) হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ফুলাইহ থেকে। তিনি হিলাল বিন আলী থেকে, তিনি আত্বা বিন ইয়াসার থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে।
রাবীগণের সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
(১) মুহাম্মাদ বিন সিনান: তিনি একজন মযবূত রাবী। সকল ইমাম তার মযবূতির বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।[3]
(২) ইবরাহীম বিন মুনযির: তিনিও একজন মযবূত রাবী। সকল ইমাম তার মযবূতির বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।[4]
(৩) মুহাম্মাদ ফুলাইহ ও ফুলাইহ বিন সুলায়মান: তারা উভয়ে পিতা ও পুত্র। তাদের নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেছেন। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা নিম্নরূপ:
মুহাম্মাদ বিনফুলাইহ :
১. ইমাম ইয়াহইয়া বিন মাঈন (মৃত্যু: ২৩৩ হি.) বলেন, ليس بثقة ولا ابنه অর্থাৎ ফুলাইহ বিন সুলায়মান এবং তার ছেলে কেউই নির্ভরযোগ্য নয়।[5]
তাহক্বীক্ব: মীযানুল ই‘তিদাল গ্রন্থে আহমাদ বিন আবী খায়ছামা-এর রেওয়ায়েতে ইমাম ইবনু মাঈন থেকে উদ্ধৃতি করা হয়েছে। তিনি এই রাবীর বিষয়ে বলেন,أحمد بن أبي خيثمة عن ابن معين ثقة قد كتبت عنه অর্থাৎ রাবী নির্ভরযোগ্য রাবী, আমি তার থেকে হাদীছ লিখেছি।[6]
উল্লেখ্য, তারীখ ইবনু আবী খায়ছামা-তে ইমাম ইয়াহইয়া বিন মাঈন থেকে এই বর্ণনাটি এই রাবীর আলোচনায় আমরা পাইনি। তবে ইবনু আবী হাতিম তার আল-জারহ ওয়াত তা‘দীল গ্রন্থে এই মন্তব্যটি মুহাম্মাদ বিন কাসিম আল-আসাদী নামক রাবীর আলোচনায় পেশ করেছেন।[7] কিন্তু আসাদীকে অনেক মুহাদ্দিছ মিথ্যুক বলেছেন, এমনকি স্বয়ং ইমাম ইবনু মাঈনও মিথ্যুক বলেছেন।[8] সেই হিসেবে একই রাবীকে মিথ্যুক ও মযবূত বলা পরস্পর চরম বিরোধী মন্তব্য হয়ে দাঁড়ায়, যা অসম্ভব। হয়তো এজন্যই এই মন্তব্যটি ইমাম যাহাবী আমাদের আলোচিত রাবী মুহাম্মাদ বিন ফুলাইহের ক্ষেত্রে উল্লেখ করেছেন। ওয়াল্লাহু আ‘লাম।
২. ইমাম আবূ হাতিম রাহিমাহুল্লাহ (মৃত্যু: ২৭৭ হি.), তিনি ইমাম ইয়াহইয়া বিন মাঈন রাহিমাহুল্লাহ-এর উপরের মন্তব্যটি পেশ করার পর বলেন,كان يحيى بن معين يحمل على محمد ابن فليح بن سليمان فقلت لابي فما قولك فيه قال ما به بأس ليس بذاك القوى অর্থাৎ ইমাম ইয়াহইয়া বিন মাঈন মুহাম্মাদ বিন ফুলাইহকে ত্রুটিযুক্ত বলতেন। আমি আমার পিতা আবূ হাতিমকে জিজ্ঞেস করলাম, তার বিষয়ে আপনার কী মন্তব্য? তিনি বললেন, ‘তার মধ্যে কোনো সমস্যা নেই; তবে তিনি অতটা মযবূত নন’।[9]
ইমাম ইয়াহইয়া বিন মাঈনের মন্তব্যের ব্যাখ্যায় ইমাম আবূ হাতিমের এই মন্তব্যে বুঝা যায়, রাবী খুব শক্তিশালী নন; তবে তার হাদীছ গ্রহণ করাতে কোনো দোষ নেই।
৩. ইমাম আবূ যুরআ‘ আর-রাযী রাহিমাহুল্লাহ বলেন,قيل له فليح فحرك رأسه وقال واهي الحديث هو وابنه محمد ابن فليح جميعا واهيان অর্থাৎ তাকে জিজ্ঞেস করা হলো ফুলাইহ সম্পর্কে, তিনি তার মাথা ঝোঁকালেন এবং বললেন, ‘হাদীছের ক্ষেত্রে দুর্বল’। তিনি ও তার ছেলে উভয়েই ‘হাদীছের ক্ষেত্রে দুর্বল’।[10]
তাহক্বীক্ব: ‘ওয়াহিল হাদীছ’ শব্দটি সাধারণভাবে কঠিন দুর্বলতা বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হলেও ইমাম আবূ যুরআ‘ রাহিমাহুল্লাহ ২য় স্তরের দুর্বলতা-বাচক শব্দ হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন তথা তার নিকটে ‘ওয়াহিল হাদীছ’ শব্দটি হালকা দুর্বলতার দিকে ইশারা করে। এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ড. সাদী হাশমী।[11]
৪. ইমাম উকাইলী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, لَا يُتَابَعُ فِي حَدِيثِهِ অর্থাৎ তার হাদীছের মুতাবি‘ (অনুগামী বর্ণনা) পাওয়া যায় না।[12]
ব্যাখ্যা: ইমাম যাহাবী রাহিমাহুল্লাহ এই মন্তব্য উল্লেখ করার পর বলেন,كثير مِن الثَّقات قد تفردوا فيصحّ أن يقال فيهم لا يُتابَعُون عَلَى بعض حديثهم অর্থাৎ অনেক নির্ভরযোগ্য রাবীই এককভাবে হাদীছ বর্ণনা করেছেন। কাজেই তাদের কিছু হাদীছের ক্ষেত্রে এরকম বলা শুদ্ধ যে, ‘এগুলোর কোনো অনুগামী বর্ণনা পাওয়া যায় না’।[13] ইমাম যাহাবী এখানে ইমাম উকাইলীর মন্তব্যের সার্থকতা বুঝাতে এবং যারা রাবীকে সরাসরি দুর্বল বলেছেন তাদের মন্তব্যের সংশোধনীস্বরূপ মন্তব্যটি করেছেন।
রাবী যখন কোনো হাদীছ এককভাবে বর্ণনা করেন, যা অন্য কেউ বর্ণনা করেছেন জানা যায় না; তখন সেই রাবীর ক্ষেত্রে বলা হয় ‘তার হাদীছের মুতাবি‘ বা অনুগামী বর্ণনা পাওয়া যায় না’। কিন্তু অনেক সময় অনেক মযবূত রাবীর প্রায় হাদীছেই মুতাবি‘ বর্ণনা আছে। কিন্তু তিনি কিছু হাদীছ এমন বর্ণনা করেছেন, যা অন্য কেউ বর্ণনা করেননি; তখন তাকে নির্ভরযোগ্য রাবীদের কাতার থেকে বের করে দেওয়া উচিত নয়। কোনো নির্ভরযোগ্য মুহাদ্দিছ কোনো হাদীছ এককভাবে বর্ণনা করলে, উছূলে হাদীছের নীতিমালা অনুসারে সেই মুহাদ্দিছকে মোটেও দুর্বল বিবেচনা করা হয় না।
৫. ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ তাঁর আত-তারীখুল কাবীরে মুহাম্মাদ বিন ফুলাইহ সম্পর্কে চুপ থেকেছেন।[14]
৬. ইমাম ইবনু হিব্বান রাহিমাহুল্লাহ মুহাম্মাদ বিন ফুলাইহকে তার কিতাবুছ ছিক্বাত-এর অন্তর্ভুক্ত করেছেন।[15] তথা রাবী তার নিকট নির্ভরযোগ্য।
৭. ইমাম দারাকুত্বনী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘তিনি নির্ভরযোগ্য রাবী’।[16]
৮. ইমাম যাহাবী রাহিমাহুল্লাহ তাকে মযবূত বলেছেন।[17]
৯. ইবনু হাজার আসক্বালানী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, صدوق يهم অর্থাৎ সত্যবাদী, কিন্তু ভুল করেন।[18]
সারমর্ম: ইমাম ইয়াহইয়া বিন মাঈনের মন্তব্যের যে ব্যাখ্যা ইমাম আবূ হাতিম দিয়েছেন এবং ইমাম উকাইলীর মন্তব্যের যে ব্যাখ্যা ইমাম যাহাবী দিয়েছেন, তা সামনে রাখলে বুঝা যায়, রাবীর ন্যায়পরায়ণতাজনিত কোনো সমস্যা নেই। রাবী সত্যবাদী, কিন্তু হাদীছ বর্ণনায় মাঝে মাঝে ভুল করেন। তাই তো হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, সত্যবাদী; কিন্তু ভুল করেন।
ফুলাইহ বিন সুলায়মান:
ইনি উপরে আলোচিত রাবী মুহাম্মাদ বিন ফুলাইহ-এর পিতা।
১. আব্দুল্লাহ বিন মুবারক রাহিমাহুল্লাহ তার থেকে হাদীছ বর্ণনা করতেন।[19]
২. ইয়াহইয়া বিন মাঈন রাহিমাহুল্লাহ (মৃত্যু: ২৩৩ হি.) বলেন, ضعيف الحديث ‘যঈফুল হাদীছ’ তথা দুর্বল।[20]
তাহক্বীক্ব: ইমাম উকাইলী তার ‘কিতাবুয-যুআফাউল কাবীর’ গ্রন্থে ইয়াহইয়া বিন মাঈন থেকে আরও কয়েকটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন, যার সবগুলোতেই ইয়াহইয়া বিন মাঈন এই রাবীকে দুর্বল বলেছেন।[21] কিন্তু ইমাম ইবনু শাহীন তার ‘তারীখ আসমাউছ ছিক্বাত’ বইয়ে ইমাম ইয়াহইয়া বিন মাঈন থেকে উল্লেখ করেছেন যে, ইমাম ইয়াহইয়া বিন মাঈন ফুলাইহকে ছিক্বাহ বা নির্ভরযোগ্য বলেছেন।[22] যদিও এই ফুলাইহ দ্বারা কে উদ্দেশ্য তা স্পষ্ট নয়। তবে ইমাম আবুল ওয়ালিদ আল-বাজি ইয়াহইয়া বিন মাঈন থেকে আরও একটি মন্তব্য পেশ করেছেন, যা রাবীর অবস্থাকে স্পষ্ট করে দেয়। ইমাম ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন,فليح صالح وليس حديثه بذاك الجائز অর্থাৎ ফুলাইহ সৎ; কিন্তু তার হাদীছ অতটা গ্রহণযোগ্য নয়।[23]
উল্লেখ্য, কিছু বইয়ে এই বাক্যের আরবী শব্দে ভুল রয়েছে। শেষ শব্দটি জাবের লেখা আছে, কিন্তু সঠিক হচ্ছে জায়েয।
৩. আলী বিন মাদিনী রাহিমাহুল্লাহ (মৃ. ২৩৪ হি.) বলেন,كَانَ فليح وَأَخُوهُ عبد الحميد ضعيفين অর্থাৎ ফুলাইহ এবং তার ভাই আব্দুল হামিদ উভয়ই দুর্বল।[24]
৪. ইমাম যাকারিয়া আস-সাজী রাহিমাহুল্লাহ (মৃ. ২৩৪ হি.) বলেন, يَهِمُ وَإِنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصِّدْقِ অর্থাৎ তিনি ভুল করতেন, যদিও তিনি সত্যবাদী।[25]
৫. ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ (মৃ. ২৫৬ হি.) তাঁর তারীখুল কাবীরে ফুলাইহ বিন সুলায়মান বিষয়ে চুপ থেকেছেন।[26]
৬. ইমাম মুসলিম ফুলাইহের বর্ণিত হাদীছকে গ্রহণ করেছেন।[27] তথা ফুলাইহ শুধু ইমাম বুখারীর নিকট নির্ভরযোগ্য তা নয়, বরং ইমাম মুসলিমের নিকটেও নির্ভরযোগ্য।
৭. আবূ যুরআ‘ আর-রাযী রাহিমাহুল্লাহ (মৃ. ২৬৪ হি.) বলেন, فليح بن سليمان ضعيف الحديث অর্থাৎ ফুলাইহ বিন সুলায়মান ‘যঈফুল হাদীছ’ বা দুর্বল।[28]
৮. ইমাম আবূ হাতিম রাহিমাহুল্লাহ (মৃ. ২৭৭ হি.) বলেন, সে মযবূত নয়।[29]
৯. ইমাম তিরমিযী রাহিমাহুল্লাহ (মৃ. ২৭৯ হি.) ফুলাইহ বিন সুলায়মানের হাদীছকে তার ই‘লালে হাসান বলেছেন।[30]
১০. ইমাম নাসাঈ রাহিমাহুল্লাহ (মৃ. ৩০৩ হি.) বলেন, ‘তিনি মযবূত নন’।[31]
ব্যাখ্যা: ইমাম নাসাঈ, আবূ যুরআ‘, আবূ হাতিম ও আলী বিন মাদিনী রাহিমাহুমুল্লাহ এই রাবীর বিষয়ে যে দুর্বলতা-বাচক শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন, সেগুলো হচ্ছে লায়সা বিল ক্ববী, যঈফুল হাদীছ, যঈফ। এই শব্দগুলো ১ম স্তর ও ২য় স্তরের দুর্বলতা-বাচক শব্দ।[32] যা হালকা দুর্বলতা বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
১১. ইমাম ইবনু হিব্বান রাহিমাহুল্লাহ (মৃ. ৩৫৪ হি.) ফুলাইহ বিন সুলায়মানকে তার ‘কিতাবুছ ছিক্বাত’-এর অন্তর্ভুক্ত করেছেন।[33] তথা তার নিকটে রাবী মযবূত।
১২. ইমাম দারাকুত্বনী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, لا بَأْسَ بِهِ অর্থাৎ তার মধ্যে কোনো সমস্যা নেই।[34] অন্যত্র তিনি ছিক্বাহ বা মযবূত বলেছেন।[35]
১৩. ইমাম ইবনু আদী রাহিমাহুল্লাহ (মৃ. ৩৬৫ হি.) ফুলাইহ সম্পর্কে দুর্বলতা নির্দেশক মন্তব্যগুলো বর্ণনা করার পর তার আল-কামিল গ্রন্থে বলেন,
ولفليح أحاديث صالحة يرويها يروي عن نافع عنِ ابن عُمَر نسخة ويروي عن هلال بن علي عَنْ عَبد الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عمرة عَن أَبِي هريرة أحاديث ويروي عن سائر الشيوخ من أهل المدينة مثل أَبِي النضر وغيره أحاديث مستقيمة وغرائب وقد اعتمده البُخارِيّ فِي صحيحه وَهو عندي لا بأس به.
অর্থাৎ ফুলাইহ এর অনেক সঠিক হাদীছ রয়েছে, যা তিনি নাফে‘ থেকে, তিনি ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-থেকে কিতাব থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি হিলাল বিন আলী থেকে, তিনি আব্দুর রহমান থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু-থেকে বেশ কিছু হাদীছ বর্ণনা করেছেন। এছাড়াও তিনি মদীনার অন্যান্য শায়খগণ যেমন: আবুন নাযর ও অন্যদের থেকে বেশ কিছু সঠিক ও দুর্লভ হাদীছ বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারী তাকে ছহীহ বুখারীর জন্য নির্ভরযোগ্য গণ্য করেছেন। আর তার বিষয়ে আমার মন্তব্য হচ্ছে, তার মধ্যে কোনো সমস্যা নেই’।[36]
১৪. ইমাম হাকেম বলেন, اتفاق الشيخين عليه يقوي أمره অর্থাৎ ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম রাহিমাহুমাল্লাহ-এর তার বিষয়ে একমত হওয়া তার বিষয়টিকে শক্তিশালী করে।[37]
১৫. ইমাম যাহাবী বলেন, الحَافِظُ أَحَدُ أَئِمَّةِ الأَثَرِ অর্থাৎ হাফেয হাদীছের একজন বড় ইমাম।[38] ইমাম যাহাবী আরও বলেন, كان ثقة مشهوداً كثير العلم لينه ابن معين অর্থাৎ তিনি নির্ভরযোগ্য, তার পক্ষে অনেকেই সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাকে ইবনু মাঈন হালকা দুর্বল বলেছেন।[39] তিনি আরও বলেন, وكان صادقا عالما صاحب حديث وما هو بالمتين অর্থাৎ তিনি সত্যবাদী ছিলেন, হাদীছের বিষয়ে জ্ঞানী ছিলেন, হাদীছ বর্ণনাকরী ছিলেন, তবে তিনি স্মৃতিশক্তির দিক দিয়ে মযবূত নন।[40] তিনি আরও বলেন,وَلَيْسَ فُلَيْحٌ فِي الْإِتْقَانِ كَمَالِكٍ وَلَا هُوَ فِي اللِّينِ كَإِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي يَحْيَى অর্থাৎ ফুলাইহ মযবূত হওয়ার দিক দিয়ে ইমাম মালেকের মতো নয় এবং দুর্বল হওয়ার দিক দিয়ে ইবরাহীম বিন আবী ইয়াহইয়ার মতো নয়।[41]
ব্যাখ্যা: ইমাম মালেকের বিষয়ে একটি বক্তব্যই যথেষ্ট, তিনি হিফযের পাহাড়। ইবরাহীম বিন আবী ইয়াহইয়াকে মুহাদ্দিছগণ মাতরূক বা পরিত্যক্ত বলেছেন।[42] যা চতুর্থ স্তরের দুর্বলতা-বাচক শব্দ, যা কঠিন দুর্বলতা নির্দেশ করে। অতএব, ইমাম যাহাবীর এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট ফুলাইহ হালকা দুর্বল।
ইমাম যাহাবী আরও বলেন,حَدِيثُهُ مِنَ الْقِسْمِ الثَّانِي مِنْ أَقْسَامِ الصَّحِيحِ وَأَشْرَاطِهِ অর্থাৎ ফুলাইহের হাদীছ, ছহীহ হাদীছের শর্ত ও প্রকারসমূহ হতে ২য় পর্যায়ের হাদীছ।[43] তিনি আরও বলেন, كَانَ مِنْ كِبَارِ عُلَمَاءِ الْعَصْرِ অর্থাৎ তিনি তৎকালীন যুগের অন্যতম বড় আলেম ছিলেন। তিনি আরও বলেন, وَغَيْرُهُ أَوْثَقُ مِنْهُ অর্থাৎ অন্যরা তার চেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য।[44]
এই মন্তব্যটি ১ম স্তরের দুর্বলতা-বাচক শব্দ, যা অত্যন্ত হালকা দুর্বলতা বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।[45]
১৬. হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, صدوق كثير الخطأ অর্থাৎ সত্যবাদী, কিন্তু অত্যধিক ভুলকারী।[46]
তাহক্বীক্ব: মদীনার বিখ্যাত মুহাদ্দিছ মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রদ্ধেয় উস্তায মুহাম্মাদ বিন হাদী আল-মাদখালী হাফিযাহুল্লাহ আমাদের দারসে বলেন, এই রাবীর উপর হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানীর এই মন্তব্য গবেষণার মুখাপেক্ষী। তার ধারণা এই রাবী অত্যধিক নয়; বরং অল্প ভুল করেন।[47]
১৭. ইমাম আলবানী রাহিমাহুল্লাহ বলেন,فليح بن سليمان فيه ضعف من قبل حفظه অর্থাৎ ফুলাইহ বিন সুলায়মান তার ভিতরে স্মৃতিশক্তিগত দুর্বলতা রয়েছে।[48] অন্যত্র তিনি বলেছেন,فهو ثقة ولكنه كثير الخطأ অর্থাৎ তিনি নির্ভরযোগ্য, কিন্তু অত্যধিক ভুল করেন।[49] তিনি আরও বলেন, فلا ضير على أصل حديثه ما دام أنه لم يتفرد به অর্থাৎ মূল হাদীছের উপর কোনো প্রভাব পড়বে না, যতক্ষণ তিনি হাদীছটি বর্ণনা না করবেন।[50]
আলবানী রাহিমাহুল্লাহ-এর মন্তব্যগুলো থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, রাবীর দুর্বলতা স্মৃতিশক্তিজনিত। আর তার হাদীছ তখনই গ্রহণ করা হবে না, যখন তিনি হাদীছটি বর্ণনায় একা হবেন তথা তার কোনো মুতাবাআত বা শাওয়াহেদ থাকবে না।
সারমর্ম: ইমাম ইবনু আদীর মন্তব্যকে সামনে রাখলে রাবীর অবস্থা স্পষ্ট হয়। রাবীর ন্যায়পরায়ণতাজনিত কোনো ত্রুটি নেই। রাবী সত্যবাদী ও সৎ, কিন্তু তিনি কিছু হাদীছ বর্ণনায় ভুল করেছেন। যার কারণে অনেকেই তাকে দুর্বল বলেছেন।
(৪) হিলাল বিন আলী: সকল ইমামের নিকট তিনি একজন গ্রহণযোগ্য রাবী।[51]
(৫) আত্বা বিন ইয়াসার: তার পরিচয় পূর্বে চলে গেছে।
(৬) আবূ হুরায়রা: তার পরিচয় পূর্বে চলে গেছে।
সনদের সূক্ষ্মতা:
১. দ্বিতীয় সনদের সকল রাবী মদীনার অধিবাসী।
২. ح (হা)-শব্দটি তাহবীল বা সনদ পরিবর্তনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
তাহবীল কী ও কেন?
এক সনদ থেকে আরেক সনদের দিকে যাওয়ার জন্য মধ্যখানে (ح) হা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। যার দ্বারা তাহবীল (تحويل) উদ্দেশ্য। মূল মাদ্দাহ ح-و-ل থেকে বাবে তাফঈল-এর মাছদার হচ্ছে তাহবীল (تحويل)। যার শাব্দিক অর্থ পরিবর্তন করা। তাহবীলের পরিবর্তে তার সংক্ষিপ্ত রূপ হা (ح) ব্যবহার করা হয়। হাদীছ পড়ার সময় উক্ত হা (ح)-এর জায়গায় তাহবীল পুরোটাই উচ্চারণ করা যায় অথবা শুধু (حاء) হাউন তানবীনসহ পুরো বর্ণ উচ্চারণ করা যায়। তবে বর্তমানে হাদীছ পড়ার সময় যেটা প্রচলিত আছে, তা হচ্ছে শুধু হা (ح) উচ্চারণ করা। শুধু হা (ح) উচ্চারণ শুনলেই ছাত্ররা বুঝে ফেলে যে, এখানে সনদ পরিবর্তন হচ্ছে। তবে হা (ح) উচ্চারণের পরপরই সবসময় একটা শব্দ অতিরিক্ত করা উচিত আর তা হচ্ছে ‘ওয়া বিহি ক্বলা’ (وبه قال)। তথা একত্রে হা (ح وبه قال حدثنا) ‘ওয়া বিহি ক্বলা হাদ্দাছানা’। এখানে ‘ওয়া বিহি’ দ্বারা আমরা যে সনদে মূল লেখক তথা ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছেছে সেই সনদ উদ্দেশ্য। আর ‘ক্বলা’ (قال) দ্বারা ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন উদ্দেশ্য।
কেউ কেউ হা (ح) দ্বারা হায়েল (حائل) উদ্দেশ্য নিয়েছেন। যার অর্থ হচ্ছে দুটি বিষয়ের মাঝে আড় সৃষ্টি করা। তথা এখানে দুটি সনদ যেন একত্রিত না হয়ে যায় এই জন্য হা (ح) দেওয়া হয়েছে। যারা হা (ح) দ্বারা হায়েল উদ্দেশ্য নিয়েছেন তারা হাদীছ পড়ার সময় এখানে কোনো কিছু উচ্চারণের কথা বলেননি, বরং তাদের মতে এখানে চুপ থাকতে হবে।
পশ্চিমা বা স্পেনের উলামায়ে কেরাম হা (ح) দ্বারা হাদীছ উদ্দেশ্য গ্রহণ করেন এবং হা-এর জায়গায় সবসময় হাদীছ পড়ে থাকেন তারা।
কেউ কেউ এখানে হা-এর পরিবর্তে (صح) ‘ছহ’ ব্যবহার করেছেন, যার অর্থ হচ্ছে সঠিক। তথা কেউ যেন মনে না করে যে, এখানে কোনো সমস্যা আছে বা কোনো রাবী বা শব্দ বিলুপ্ত হয়েছে; বরং যেভাবে আছে সেভাবেই বিশুদ্ধ আছে।[52]
(ইনশা-আল্লাহ চলবে)
[1]. আহমাদ, হা/৮৮৫০।
[2]. ইবনু হিব্বান, হা/১০৪।
[3]. তাহযীবুত তাহযীব, ৩/৫৮১।
[4]. তাহযীবুত তাহযীব, ১/৮৭।
[5]. আব্দুর রহমান বিন আবী হাতিম, আল-জারহু ওয়াত-তা‘দীল, ৮/৫৯।
[6]. মীযানুল ই‘তিদাল, রাবী নং ৮০৬৩।
[7]. আব্দুর রহমান বিন আবী হাতিম, আল-জারহু ওয়াত-তা‘দীল, ৮/৫৯।
[8]. বাশশার আওয়াদ, মাওসূয়া আক্বওয়ালি ইয়াহইয়া বিন মাঈন, রাবী নং ৩৫৫৭।
[9]. ইবনু আবী হাতিম, আল-জারহ ওয়াত-তা‘দীল, দায়িরাতুল মাআরিফ আল-উছমানিয়্যাহ, রাবী নং ২৬৯।
[10]. আবূ যুরআ‘ আর-রাযী, কিতাবুয যুআফা (মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়), ২/৪২৫।
[11]. ড. সাদী হাশেমী, আবূ যুরআ‘ ওয়া জুহূদুহু ফীস সুন্নাহ আন-নাবাবিয়্যাহ, পৃ. ২৯৪।
[12]. আবূ জা‘ফর উকায়লী, আয-যুআফাউল কাবীর, রাবী নং ১৬৮২।
[13]. ইমাম যাহাবী, তারীখুল ইসলাম (দারুল কিতাব: বৈরূত), ১৩/৩৭৭।
[14]. ইমাম বুখারী, আত-তারীখুল কাবীর, রাবী নং ৬৫৭।
[15]. কিতাবুছ ছিক্বাত, দায়িরাতুল মাআরিফ আল-উছমানিয়্যাহ, রাবী নং ১০২৮২।
[16]. সুয়ালাত আল-হাকেম লিদ দারাকুত্বনী, রাবী নং ৪৬৫।
[17]. ইমাম যাহাবী, দিওয়ানুয যুআফা, রাবী নং ৩৯৩২; মান তুকুল্লিমা ফীহি, রাবী নং ৩১২।
[18]. আসক্বালানী, তাকরীবুত তাহযীব, রাবী নং ৬২২৮।
[19]. ইমাম মিযযী, তাহযীবুল কামাল, ২৩/৩১৯।
[20]. ইয়াহইয়া বিন মাঈন, সুয়ালাত ইবনুল জুনাইদ (মাকতাবাতুদ দার), রাবী নং ৮১৭, পৃ. ৪৭৩; তারীখ ইয়াহইয়া বিন মাঈন, ১/৬৯।
[21]. ইমাম উকায়লী, আয-যুআফাউল কাবীর, রাবী নং ১৫২২।
[22]. ইবনু শাহীন, তারীখ আসমাউছ ছিক্বাত (আদ-দার আস-সালাফিয়্যাহ), রাবী নং ১১৪২।
[23]. আবুল ওয়ালীদ আল-বাজী, আত-তা‘দীল ওয়াত তাজরীহ (দারুল লিওয়া: রিয়াদ), ৩/১০৫৪, রাবী নং ১২৩৪।
[24]. আলী বিন মাদিনী, সুয়ালাত ইবনু আবী শায়বা, রাবী নং ১৩৭।
[25]. ইমাম যাহাবী, সিয়ারু আলামিন নুবালা।
[26]. আত-তারীখুল কাবীর, রাবী নং ৬০১।
[27]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৩৮২, ২৭৭০, ২৪০, ৮৩৯।
[28]. যুআফা, আবূ যুরআ‘ (মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়), ২/৩৬৭।
[29]. ইবনু আবী হাতিম, আল-জারহ ওয়াত তা‘দীল, ৭/৮৫, রাবী নং ৪৭৯।
[30]. ইমাম তিরমিযী, আল-ই‘লালুল কাবীর (মাকতাবাতুন নাহযা: বৈরূত), পৃ. ৩৬, হা/২৫।
[31]. ইমাম নাসাঈ, আয-যুআফা ওয়াল মাতরূকীন, রাবী নং ৪৮৬।
[32]. ড. আব্দুল আযীয, যওয়াবেতুল জারহ ওয়াত তা‘দীল, পৃ. ২২৫।
[33]. কিতাবুছ ছিক্বাত, দায়িরাতুল মাআরিফ আল-উছমানিয়্যাহ, রাবী নং ১০৮৮২।
[34]. ইমাম যাহাবী, তারীখুল ইসলাম (দারুল কিতাব: বৈরূত), ১০/৩৯৯; মীযানুল ই‘তিদাল, ৩/৩৬৬।
[35]. ইমাম দারাকুত্বনী, আয-যুআফা ওয়াল মাতরূকীন, রাবী নং ৩৪৮।
[36]. ইবনু আদী, আল-কামিল ফী যুআফাইর রিজাল, ৭/১৪৪, রাবী নং ১৫৭৫।
[37]. আসক্বালানী, তাহযীবুত তাহযীব, ৮/৩০৪।
[38]. ইমাম যাহাবী, সিয়ারু আলামিন নুবালা।
[39]. ইমাম যাহাবী, আল-ইবারু ফী খাবারি মান গবার (দারুল কিতাব আল-ইলমিয়্যাহ), ১/১৯৬।
[40]. ইমাম যাহাবী, তাযকিরাতুল হুফফায, ১/১৬৪।
[41]. ইমাম যাহাবী, আল-মু‘জামুল মুখতাস (মাকতাবাতুছ ছিদ্দীক্ব: তায়েফ), ‘হারফুল আলিফ’ অধ্যায়, পৃ. ৮।
[42]. তাক্বরীবুত তাহযীব, রাবী নং ২৪১।
[43]. ইমাম যাহাবী, আল-মু‘জামুল মুখতাস (মাকতাবাতুছ ছিদ্দীক্ব: তায়েফ), ‘হারফুল আলিফ’ অধ্যায়, পৃ. ৮।
[44]. ইমাম যাহাবী, তারীখুল ইসলাম (দারুল কিতাব: বৈরূত), ১০/৩৯৭, রাবী নং ৩২২।
[45]. ড. আব্দুল আযীয, যওয়াবেতুল জারহ ওয়াত তা‘দীল, পৃ. ২২৫।
[46]. আসক্বালানী, তাক্বরীবুত তাহযীব, রাবী নং ৫৪৪৩।
[47]. মুহাম্মাদ বিন হাদী আল-মাদখালী, মুযাক্কিরা সুনানি আবী দাঊদ, খিদমাতুত ত্বলিব, পৃ. ১৩।
[48]. ইমাম আলবানী, ইরওয়াউল গালীল, ২/১৬, হা/৩০৯।
[49]. ইমাম আলবানী, ইরওয়াউল গালীল, ৬/৩৩৩।
[50]. সিলসিলা ছহীহা, হা/৪৭৮।
[51]. তাহযীবুল কামাল, ৩০/৩৪৩।
[52]. তাহযীবুত তাহযীব, ১/২৩১।