কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন : (৩) কোনো মুসলিম ঈসা আলাইহিস সালাম (যিশু খ্রিষ্টের) -এর জন্মদিন (বড় দিন) উদযাপন করলে তাকে ঈমানদার বলা যাবে কি?

উত্তর : ইসলামে নবী-রাসূল, আলেম-উলামা বা যে কোনো ব্যক্তির জন্মদিন পালনের কোনো বিধান বর্ণিত হয়নি। আর দলীল ছাড়া ইবাদত বিদ’আত বলে গন্য হবে। আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার এ দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু আবিষ্কার করল যা আমাদের শরীয়ার মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৬৯৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১৭১৮)। তা ছাড়া বড় দিন পালন করা এটা খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় অনুষ্টান। আর বিধর্মীদের যে কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করা, পূজার প্রসাদ খাওয়া, গান-বাজনায় অংশগ্রহণ করা সম্পূর্ণ হারাম। অন্য ধর্মের কোনো শিআর বা প্রতিকের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অংশ গ্রহন করা স্পষ্ট কুফরী। আর মনে ঘৃণা পোষণ করে শরীক হলে হারাম হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা বিধর্মীদের অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহন করো না, তারা চায় তোমরা তোমাদের দ্বীন থেকে বিচ্ছুত হও’ (আলে ইমরান, ৩/১১৮)। তিনি আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য দ্বীন তালাশ করে, তার কোনো আমল গ্রহণ করা হবে না। সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে’ (আলে ইমরান, ৩/৮৫)।

বর্তমানে একটি স্লোগান প্রচলিত আছে, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’। মূলত এ স্লোগান সামনে রেখেই অনেক মুসলিম নামধারীরা বিধর্মীদের উৎসবে শরীক হয় যা ঈমান ধ্বংসের দারপ্রান্তে পৌছে দেয়। আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আসলেন তখন দেখতে পেলেন মদিনাবাসীরা দুইটি দিনে উৎসব পালন করছে। এ দেখে তিনি তাদের বললেন, ‘এই দুইটি কীসের দিন? তারা বলল, জাহেলী যুগ থেকে আমরা এ দুই দিনে উৎসব পালন করে থাকি। তিনি বললেন, ‘আল্লাহ তা’আলা তোমাদের এ দুই দিনের পরিবর্তে উত্তম দুটি দিন দান করেছেন। সে দিন দুটি হলো ঈদুল আযহা এবং ঈদুল ফিতর’ (মিশকাত, হা/১৪৩৯)।

-আব্দুর রহমান

দিনাজপুর।


Magazine