উত্তর: এগুলো خبائث এর অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেছেন এবং অপবিত্র বস্তু হারাম করেছেন (আল-আ‘রাফ, ৭/১৫৭)। সিগারেট তৈরির মূল উপাদান হলো তামাক। আর নিঃসন্দেহে তামাক নেশাদার দ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত। আর কোনো বস্তুর মধ্যে মাদকতা বা নেশা থাকলে সেটা সুস্পষ্ট হারাম বলে বিবেচিত হবে। এ ব্যাপারে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘প্রত্যেক নেশাদার দ্রব্যই হারাম’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬১২৪)। জাবের রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে বস্তুর বেশি পরিমাণ নেশার সৃষ্টি করে, তার অল্প পরিমাণও হারাম’ (তিরমিযী, হা/১৮৭১)। সুতরাং কোনো ব্যক্তি যদি ধূমপান করে তাহলে ৪০ দিন তার ছালাত কবুল হবে না। কেননা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মদ পান করে এবং মাতাল হয়, চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার ছালাত কবুল হয় না’ (ইবনু মাজাহ, হা/৩৩৭৭; তিরমিযী, হা/১৮৬২)। এমতাবস্থায় ছালাত কবুল না হলেও সে ছালাত ছেড়ে দিতে পারবে না; তাকে সময়মতো ছালাত আদায় করতে হবে এবং ধূমপান পরিহারের প্রাণপণ চেষ্টা করতে হবে।
প্রশ্নকারী: ফিরোজ কবীর
নওগাঁ সদর।