উত্তর : ইসলামী শরীআতে বিড়াল পোষা জায়েয। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু নিজে বিড়াল পুষতেন (তাদরীবুর রাবী, ৭৭২ পৃ.)। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তা থেকে কখনো নিষেধ করেননি। এছাড়াও বিভিন্ন হাদীছ দ্বারা বিড়াল পালনের বৈধতা পাওয়া যায়। যেমন, দাঊদ ইবনু ছালেহ ইবনু দ্বীনার আত-তাম্মার হতে তার মাতার সূত্রে বর্ণিত, একদা তাঁর মনিব তাকে আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা-এর নিকট ‘হারিসাহ’-সহ প্রেরণ করেন। অতঃপর আমি তাঁর নিকট পৌছে দেখতে পাই যে, তিনি ছালাতরত আছেন। তিনি আমাকে হারিসার পাত্রটি রাখার জন্য ইশারা করলেন। ইত্যবসরে সেখানে একটি বিড়াল এসে তা হতে কিছু খেয়ে ফেলল। আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা ছালাত শেষে বিড়ালটি যে স্থান হতে খেয়েছিল সেখান হতেই খেলেন এবং বললেন, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘বিড়াল অপবিত্র নয়। এরা তোমাদের আশেপাশেই ঘুরাফেরা করে’। অতঃপর আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহু আরো বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিড়ালের উচ্ছিষ্ট পানি দ্বারা ওযূ করতে দেখেছি (আবূ দাঊদ, হা/৭৬; মিশকাত, হা/৪৮৩)। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, কাবশা বিনতু কা‘ব ইবনু মালেক রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, আবূ ক্বাতাদা রযিয়াল্লাহু আনহু একদিন তাঁর নিকট আগমন করেন। তারপর কাবশা কিছু কথা বলেন, যার অর্থ হচ্ছে, আমি আবূ কাতাদা রযিয়াল্লাহু আনহু-এর জন্য ওযূর পানি রাখি। ইত্যবসরে একটি বিড়াল এসে পাত্র থেকে পানি পান করে। আবূ ক্বাতাদা রযিয়াল্লাহু আনহু পাত্রটি কাত করে দিলে বিড়ালটি পানি পান করে। কাবশা বলেন, আবূ ক্বাতাদা রযিয়াল্লাহু আনহু আমাকে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, হে ভাতিজী! (আমি বিড়ালকে পাত্র থেকে পানি পান করিয়েছে দেখে) তুমি আশ্চর্যান্বিত হয়েছ কি? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, ‘বিড়াল অপবিত্র নয়। কারণ যেসব প্রাণী প্রতিনিয়ত তোমাদের আশে পাশে থাকে, তাদের মধ্যে বিড়ালও একটি’ (আবূ দাঊদ, হা/৭৫; তিরমিযী, হা/৯২)।
প্রশ্নকারী : সাখাওয়াত
কালিয়াকৈর গাজিপুর।