ভূমিকা: মানুষ শুধু দেহ দিয়ে গঠিত নয়, তার দেহের মধ্যে রয়েছে আত্মা। শরীরের রোগ হলে যেমন চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, তেমনি আত্মাও পাপ, কুপ্রবৃত্তি ও খারাপ অভ্যাসে আক্রান্ত হলে তাকে পরিশুদ্ধ করার প্রয়োজন হয়। এই আত্মিক পরিশুদ্ধির পদ্ধতিকেই ইসলামে বলে ‘তাযকিয়াতুন নাফস’ বা ‘আত্মশুদ্ধি’। এটি ইসলামী ব্যক্তিত্ব গঠনেরও অন্যতম প্রধান স্তম্ভ।
আত্মশুদ্ধির পরিচয়: শাব্দিক অর্থ হলো নিজের আত্মাকে গুনাহ থেকে রক্ষা করা। পারিভাষিক অর্থে আত্মাকে পাপ, খারাপ গুণাবলি ও নফসের কুপ্রবৃত্তি থেকে পরিশুদ্ধ করে তাক্বওয়া, ইখলাছ ও আল্লাহভীতি অর্জন করা।
আত্মার রোগ ও চিকিৎসা: আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে দেহ ও আত্মা এই দুটির সমন্বয়ে সৃষ্টি করেছেন। দেহ কোনো রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত আমরা কোনো ডাক্তারের নিকটে গিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ ও ওষুধ গ্রহণ করি এবং তা সেবনের পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত হই। তেমনি আত্মা কোনো রোগে আক্রান্ত হলে তার জন্য কী দিকনির্দেশনা আছে, চলুন! তা দেখে নেওয়া যাক।
আল্লাহ তাআলা বলেন,لَقَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِنْ أَنْفُسِهِمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِنْ كَانُوا مِنْ قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ ‘অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদের উপর অনুগ্রহ করেছেন, যখন তিনি তাদের মধ্য থেকে তাদের প্রতি একজন রাসূল পাঠিয়েছেন, যিনি তাদের কাছে তাঁর আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করেন এবং তাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন আর তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন। যদিও তারা ইতিপূর্বে স্পষ্ট ভ্রান্তিতে নিপতিত ছিল’ (আলে ইমরান, ৩/৬৪)।
আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা: সুধী পাঠক! আমরা আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় সেই মহান সত্তা আল্লাহর নামে বিভিন্ন কসম করে থাকি। আল্লাহ তাআলা নিজেই কসম করে বলেন,
وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا - وَالْقَمَرِ إِذَا تَلَاهَا - وَالنَّهَارِ إِذَا جَلَّاهَا - وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَاهَا - وَالسَّمَاءِ وَمَا بَنَاهَا - وَالْأَرْضِ وَمَا طَحَاهَا - وَنَفْسٍ وَمَا سَوَّاهَا - فَأَلْهَمَهَا فُجُورَهَا وَتَقْوَاهَا - قَدْ أَفْلَحَ مَنْ زَكَّاهَا - وَقَدْ خَابَ مَنْ دَسَّاهَا
‘কসম সূর্যের ও তার কিরণের! কসম চাঁদের! যখন তা সূর্যের অনুগামী হয়। কসম দিবসের! যখন তা সূর্যকে প্রকাশ করে। কসম রাতের! যখন তা সূর্যকে ঢেকে দেয়। কসম আসমানের এবং যিনি তা বানিয়েছেন। কসম যমীনের এবং যিনি তা বিস্তৃত করেছেন। কসম নফসের এবং যিনি তা সুষম করেছেন। অতঃপর তিনি তাকে অবহিত করেছেন তার পাপসমূহ ও তার তাক্বওয়া সম্পর্কে। নিঃসন্দেহে সে সফলকাম হয়েছে, যে তাকে পরিশুদ্ধ করেছে এবং সে ব্যর্থ হয়েছে, যে তা (নফস) কলুষিত করেছে’ (আশ-শামস, ৯১/১-১০)।
উক্ত আয়াতগুলোর মূল বক্তব্য হলো আল্লাহ তাআলা আসমান-যমীন, সূর্য-চন্দ্র, দিন-রাত এবং মানুষের আত্মা সৃষ্টির সাক্ষ্য দিয়ে তার অসীম ক্ষমতা এবং তার ইচ্ছার প্রতিফলনকে তুলে ধরেছেন। এই আয়াতগুলো আত্মশুদ্ধি ও তার পরিণতির ওপর এক বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং সাথে সাথে মানবজীবনের মূল সাফল্য ও ব্যর্থতার মাপকাঠি নির্ধারণ করে দেয় আর তা হলো আত্মার পরিশুদ্ধি।
সারকথা হলো, তাযকিয়াহ বা আত্মশুদ্ধি ছাড়া কোনো মানুষ প্রকৃত সফলতা অর্জন করতে পারে না।
নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,أَلَا وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلُحَتْ صَلُحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ، وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ، أَلَا وَهِيَ الْقَلْبُ ‘সাবধান! শরীরে এমন একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে, যদি তা ঠিক থাকে, তবে সমস্ত শরীর ঠিক থাকবে আর তা যদি নষ্ট হয়, তবে সমস্ত শরীর বিপর্যস্ত হয়। জেনে রেখো! সেটি হচ্ছে অন্তর’।[1]
উক্ত হাদীছের মাধ্যমে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আত্মশুদ্ধির মূল কেন্দ্রস্থল অন্তরের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। অন্তর বিশুদ্ধ না হলে বাহ্যিক আমলও শুদ্ধ হয় না। তাই আমরা বলতে পারি যে, আত্মশুদ্ধি মানে হৃদয়ের সংশোধন, সেখান থেকে তওবা, ভয় ইত্যাদি গুণ প্রকাশ পায়।
আত্মশুদ্ধির কার্যকর উপায়সমূহ: আত্মশুদ্ধি (Self-Purification) হলো নিজের মানসিক, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং তা অর্জনের চেষ্টা করা। এটা ব্যক্তিগত উন্নতির একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক, যা আমাদের মানসিক শান্তি, শক্তি ও মূল্যবোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। নিম্নে আত্মশুদ্ধি অর্জনের উপায়সমূহ আলোচনা করা হলো।
১. আত্মজ্ঞান ও আত্মবিশ্লেষণ: নিজের শক্তি ও দুর্বলতা নিয়ে চিন্তা করা এবং নিজেকে গভীরভাবে জানার চেষ্টা করা আত্মশুদ্ধির প্রথম ধাপ। যেমন- (ক) আমি আজ কী কী ভালো কাজ করলাম? (খ) তার মধ্যে কোনো খারাপ কাজ ছিল কি? (গ) কীভাবে আমি আরও ভালো মানুষ হতে পারি?
২. নম্রতা অবলম্বন ও অহংকার ত্যাগ করা: অহংকার ছেড়ে বিনয়ী হওয়া, অন্যদের মতামতকে সম্মান করা এবং ভুল হলে তা স্বীকার করা।
৩. সততা ও ন্যায়পরায়ণতা: সত্যবাদিতা চর্চা করা, সৎ জীবনযাপন করা এবং ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো।
৪. ক্ষমা ও ধৈর্য: অন্যের ভুল মাফ করতে শেখা, পরিস্থিতির চাপ সামলানোর জন্য ধৈর্য ধরা।
৫.আত্মসংযম ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ: ক্রোধ, ঈর্ষা ও লোভের মতো নেতিবাচক আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা। নিজের চিন্তা ও আচরণের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করা।
৬.ধর্ম পালন ও আধ্যাত্মিক চর্চা:
(ক) ছালাত: আল্লাহ তাআলা বলেন,إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ ‘নিশ্চয় ছালাত অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে’ (আল-আনকাবূত, ২৯/৪৫)।
(খ) দু‘আ করা: রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,لَيْسَ شَيْءٌ أَكْرَمَ عَلَى اللَّهِ مِنَ الدُّعَاءِ ‘আল্লাহর কাছে দু‘আর চেয়ে মহানতম আর কিছু নেই’।[2]
(গ) তওবা ও ইসতিগফার করা: আল্লাহ তাআলা বলেন,وَأَنِ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُوا إِلَيْهِ ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চাও ও তাঁর দিকে তওবা করো’ (হূদ, ১১/৩)।
(ঘ) বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করা।
৭. দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন: দুনিয়ামুখী না হয়ে আখেরাতমুখী হওয়া।
৮. মানবিকতা ও পরোপকারিতা: অন্যের কল্যাণে কাজ করা এবং দয়া ও সহানুভূতি দেখানো। অসহায় বা দুর্বলদের সাহায্য করা আমাদের অন্তরকে আরও বেশি পবিত্র করে।
৯. সময়ের সঠিক ব্যবহার: সময়কে মূল্যায়ন করা, অলসতা পরিহার করে গঠনমূলক কাজে মনোযোগী হওয়া।
১০.নিজের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ ও ইতিবাচক মানসিকতা: জীবনের সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা, ইতিবাচক চিন্তা করা এবং ধীরে ধীরে উন্নতির পথে এগিয়ে চলা।
১১.ইসলামী জ্ঞান অর্জন: সঠিক বিশ্বাস ও আচরণের জন্য ধর্মীয় জ্ঞানে পারদর্শী হওয়া জরুরী।
১২. মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরণ: আমাদের চিন্তা-ভাবনা সর্বদা দুনিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। দম ফুরাবার পর সেই অনন্তকালের কথা আমাদের মনে পড়ছে না কেন?
সুধী পাঠক! ধরুন, আপনি ৫০-৬০ বছর বাঁচবেন। ৩০ বছর চলে গেছে, বাকি সময়টাকে ঘণ্টা, মিনিট, সেকেন্ড দিয়ে ভাগ দিয়ে দেখুন আপনি আর কতদিন এ দুনিয়াতে অবস্থান করবেন। এই হিসাবটা করার মতো কেউ আছে কি? কীভাবে থাকবে? আল্লাহ তাআলা বলেন,أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ - حَتَّى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ ‘প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে ভুলিয়ে রেখেছে, যতক্ষণ না তোমরা কবরে উপনীত হও’ (আত-তাকাছুর, ১০২/১-২)।
আল্লাহ তাআলা ক্বিয়ামতের দিন বলবেন,اقْرَأْ كِتَابَكَ كَفَى بِنَفْسِكَ الْيَوْمَ عَلَيْكَ حَسِيبًا ‘পাঠ করো তোমার কিতাব (আমলনামা), আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব-নিকাশকারী হিসেবে যথেষ্ট’ (বানী ইসরাঈল, ১৭/১৪)।
সেজন্য বলছি, আজই আমরা সেই হিসাবটি করে নিই যে, জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত কী কী ভালো কাজ করেছি, যে কাজটি আমার জান্নাতে যাওয়ার কারণ হবে? আর কী কী মন্দ কাজ করেছি বা আজও করছি, যার ফলশ্রুতিতে আমাকে জাহান্নামে যেতে হতে পারে?
আমাকে আজই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আগের পাপগুলোর জন্য তওবা করব। যার হক্ব তাকে ফিরিবে দেব। কাউকে গালি দিয়ে থাকলে তার কাছে যেয়ে ক্ষমা চেয়ে নিব। তাহলেই আমরা ইহকালে শান্তি ও পরকালে মুক্তি পাব, ইনশা-আল্লাহ।
আত্মশুদ্ধির উপকারিতা: আত্মশুদ্ধির উপকারিতা অনেক, তার মধ্যে কয়েকটি হলো— (ক) দুনিয়ায় শান্তি লাভ করা যায় এবং প্রশান্ত হৃদয় নিয়ে বাস করা যায়। (খ) ইবাদতে আন্তরিকতা আসে। (গ) পরকালে জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন,يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ - ارْجِعِي إِلَى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَرْضِيَّةً - فَادْخُلِي فِي عِبَادِي - وَادْخُلِي جَنَّتِي ‘হে প্ৰশান্ত আত্মা! তুমি তোমার রবের প্রতি সন্তুষ্টচিত্তে, সন্তোষভাজন হয়ে ফিরে এসো। অতঃপর আমার বান্দাদের মধ্যে শামিল হয়ে যাও। আর প্রবেশ করো আমার জান্নাতে’ (আল-ফাজর, (৮৯/২৭-৩০)। এই আয়াতটি আত্মশুদ্ধির পরিপূর্ণ ফলাফল النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ (প্রশান্ত আত্মা) হলো সেই আত্মা যা আল্লাহর যিকির, ইবাদত ও নেক আমলে শান্তি খুঁজে পায়। যার আত্মা পরিশুদ্ধ, তাকেই আল্লাহ তাআলা জান্নাতে আহ্বান করবেন।
আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে এই দু‘আটি বর্ণিত হয়েছে,اللَّهُمَّ آتِ نَفْسِى تَقْوَاهَا وَزَكِّهَا أَنْتَ خَيْرُ مَنْ زَكَّاهَا أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلاَهَا ‘হে আল্লাহ! আমার আত্মাকে তাক্বওয়া দান করুন এবং একে পরিশুদ্ধ করুন। আপনি সর্বোত্তম পরিশুদ্ধকারী, আপনি তার অভিভাবক এবং মালিক’।[3] এই দু‘আটি বিভিন্ন হাদীছে বর্ণিত হয়েছে এবং এটি একজন মুসলিমের আত্মশুদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দু‘আ। এতে প্রার্থনা করা হয় আল্লাহর কাছে যেন তিনি আমাদের আত্মাকে পবিত্র করেন এবং তাক্বওয়া প্রদান করেন। কারণ শুধু আল্লাহই আমাদের আত্মাকে সঠিকভাবে পবিত্র করতে পারেন।
উপসংহার: আত্মশুদ্ধি ইসলামী জীবনের একটি অপরিহার্য অনুশীলন, যা একজন মুমিনের ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির মূল চাবিকাঠি। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই সে সফলকাম হয়েছে, যে তার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে’ (আশ-শামস, ৯১/৯)। এই আত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জনের জন্য কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর নির্দেশিত পথে চলা আবশ্যক। তওবা, ইখলাছ, তাক্বওয়া, ধৈর্য, যিকির ও কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে আল্লাহর নৈকট্য লাভ সম্ভব। আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আমরা আমাদের অন্তরকে কলুষতা থেকে মুক্ত করে জান্নাতের পথ প্রশস্ত করতে পারি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই মহান গুণ অর্জনের তাওফীক্ব দান করুন- আমীন।
আব্দুল ওয়াদুদ বিন আবূ বকর
অধ্যয়নরত, আলিম ২য় বর্ষ, আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ, ডাঙ্গীপাড়া, পবা, রাজশাহী।
[1]. ছহীহ বুখারী, হা/৫২; ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৯; মিশকাত, হা/২৭৬২।
[2]. মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৭৪৮ ‘হাসান’।
[3]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৭২২; মিশকাত, হা/২৬৪০।