ভূমিকা: আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে জোড়ায় জোড়ায় (নারী-পুরুষ) সৃষ্টি করেছেন। সকল প্রাণী পুরুষ-নারীতে আলাদা হলেও তাদের মিলনেই সংগঠিত হয় ভালোবাসা। মানবস্বভাব বিরোধী অন্যতম গর্হিত কাজ সমকামিতা। বক্ষ্যমান প্রবন্ধে আমরা সমকামিতা সম্পর্কে জানব ইনশা-আল্লাহ।
সমকামিতার শাব্দিক অর্থ: বাংলা সমকামিতা শব্দটির গঠন সংস্কৃত হতে। সংস্কৃত শব্দ ‘সম’ এর অর্থ সমান অথবা অনুরূপ এবং ‘কাম’ শব্দের অর্থ যৌন চাহিদা, রতিক্রিয়া তথা যৌন তৃপ্তি। অতঃপর এই দুই শব্দের সংযোগে উৎপন্ন সমকামিতা শব্দ দ্বারা অনুরূপ, সমান বা একই লিঙ্গের মানুষের প্রতি যৌন আকর্ষণকে বুঝায়।
সমকামিতার ইংরেজি প্রতিশব্দ হোমোসেক্সুয়ালিটি (Homosexuality) তৈরি হয়েছে গ্রিক ‘হোমো’ এবং ল্যাটিন ‘সেক্সাস’ শব্দের সমন্বয়ে। গ্রিক ভাষায় ‘হোমো’ বলতে বুঝায় সমধর্মী বা একই ধরনের। আর ‘সেক্সাস’ শব্দটির অর্থ হচ্ছে যৌনতা।[1]
পরিভাষিক সংজ্ঞা: সমকামিতা (হোমোসেক্সুয়ালিটি) সমপ্রেম বলতে সমলিঙ্গের ব্যক্তির প্রতি রোমান্টিক আকর্ষণ, যৌন আকর্ষণ অথবা যৌন আচরণকে বুঝায়।[2]
সমকামিতার সূচনা: পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম সমকামিতায় লিপ্ত হয় লূত আলাইহিস সালাম-এর জাতি। আল্লাহ তাআলা বলেন,أَئِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ الرِّجَالَ وَتَقْطَعُونَ السَّبِيلَ وَتَأْتُونَ فِي نَادِيكُمُ الْمُنْكَرَ فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلَّا أَنْ قَالُوا ائْتِنَا بِعَذَابِ اللَّهِ إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ - قَالَ رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ ‘তোমরা পুরুষের উপর উপগত হচ্ছ এবং তোমরা রাহাজানি করে থাকো এবং তোমরা নিজেদের মজলিসে প্রকাশ্য ঘৃণ্য কাজ করে থাকো। উত্তরে তার সম্প্রদায় শুধু এই বলল, আমাদের উপর আল্লাহর শাস্তি আনয়ন করুন, যদি আপনি সত্যবাদী হন। তিনি বললেন, হে আমার রব! বিপর্যয় সৃষ্টিকারী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন’ (আল-আনকাবূত, ২৯/২৯-৩০)।
লূত আলাইহিস সালাম-এর জাতি শাস্তি সম্পর্কে কুরআনে বর্ণিত হয়েছে,فَلَمَّا جَاءَ أَمْرُنَا جَعَلْنَا عَالِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهَا حِجَارَةً مِنْ سِجِّيلٍ مَنْضُودٍ - مُسَوَّمَةً عِنْدَ رَبِّكَ وَمَا هِيَ مِنَ الظَّالِمِينَ بِبَعِيدٍ ‘অতঃপর যখন আমার হুকুম এসে পৌঁছল, আমি ঐ ভূখণ্ডের উপরিভাগকে নিচে করে দিলাম এবং তার উপর ঝামা পাথর বর্ষণ করতে লাগলাম, যা একাধারে ছিল (বর্ষিত হচ্ছিল), যা বিশেষ চিহ্নিত করা ছিল আপনার রবের নিকট; আর ঐ জনপদগুলো এই যালেমদের হতে বেশি দূরে নয়’ (হূদ, ১১/৮২-৮৩)। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,وَلُوطًا إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَتَأْتُونَ الْفَاحِشَةَ وَأَنْتُمْ تُبْصِرُونَ - أَئِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ الرِّجَالَ شَهْوَةً مِنْ دُونِ النِّسَاءِ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ تَجْهَلُونَ - فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلَّا أَنْ قَالُوا أَخْرِجُوا آلَ لُوطٍ مِنْ قَرْيَتِكُمْ إِنَّهُمْ أُنَاسٌ يَتَطَهَّرُونَ - فَأَنْجَيْنَاهُ وَأَهْلَهُ إِلَّا امْرَأَتَهُ قَدَّرْنَاهَا مِنَ الْغَابِرِينَ - وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ مَطَرًا فَسَاءَ مَطَرُ الْمُنْذَرِينَ ‘স্মরণ করুন লূতের কথা, তিনি তাঁর ক্বওমকে বলেছিলেন, তোমরা সজ্ঞানেই অশ্লীল কাজ করছ? তোমরা কি কামতৃপ্তির জন্য নারীদেরকে ছেড়ে পুরুষে উপগত হবে? তোমরা তো এক বর্বর সম্প্রদায়। উত্তরে তাঁর ক্বওম শুধু এ কথাটিই বলল, লূতপরিবারকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও। এরা তো এমন লোক, যারা শুধু পাকপবিত্র সাজতে চায়। অতঃপর তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে উদ্ধার করলাম তাঁর স্ত্রী ছাড়া। কেননা তার জন্য ধ্বংসপ্রাপ্তদের ভাগ্যই নির্ধারিত করেছিলাম। আমি ওদের উপর (শাস্তিস্বরূপ কঙ্কর) বর্ষণ করেছিলাম। ভীতি প্রদর্শিতদের জন্য কতই না নিকৃষ্ট ছিল এই বৃষ্টি!’ (আন-নামল, ২৭/৫৪-৫৮)।
বাংলাদেশের আইনে সমকামিতা: বাংলাদেশের সংবিধানে ৩৭৭ ধারায় বলা হয়, প্রকৃতিবিরুদ্ধ অপরাধ: কোনো ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় কোনো পুরুষ, নারী বা পশুর সঙ্গে প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে যৌনসংগম করে, তবে তাকে আজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে অথবা বর্ণনা অনুযায়ী নির্দিষ্টকালের কারাদণ্ড প্রদান করা হবে, যা ১০ বছর পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে। আর এর সাথে নির্দিষ্ট অংকের আর্থিক জরিমানাও দিতে হবে। এটার ব্যাখ্যা হলো, ধারা অনুযায়ী অপরাধ প্রমাণে যৌনসঙ্গমের প্রয়োজনীয় প্রমাণ হিসেবে লিঙ্গপ্রবেশের প্রমাণ যথেষ্ট হবে।
বাংলাদেশে সমকামিতা: ছোটবেলা ব্রিটেনে পড়াশুনা করা ভারতীয় শিবানন্দ নায উপমহাদেশে সমকামিতা সমাজ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেন নায ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও। তরুণ জনপ্রিয় লেখক আসিফ আদনানের ব্লগে জানা যায়, শিবানন্দের উৎসাহে সমকামী পুরুষদের ‘যৌন স্বাস্থ্যসেবা’ ও ‘সচেতনতা বৃদ্ধি’র লক্ষ্যকে সামনে রেখে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে তৈরি হয় বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। আর এই প্রতিষ্ঠানটি সরকারি রেজিস্ট্রেশন পায় ১৯৯৭ সালে।
গবেষক আদনান হোসেইনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নায ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি শুরুতে বন্ধু-কে সহায়তা করেছিল ফ্যামিলি হেলথ ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি আমেরিকান এনজিও। অন্যদিকে বন্ধু-র ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ১৯৯৬ সালে শিবানন্দ যে প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিল, সেটাতে সহায়তা দিচ্ছিল আমেরিকার ফোর্ড ফাউন্ডেশন।
১৯৯৯ সালে বাংলার মাটিতে সমকামিতাকে সমর্থন করে ‘গে বাংলাদেশ’ নামে অনলাইন গ্রুপ খুলেন রেংগ্যু নামক এক উপজাতীয় ব্যক্তি। ২০০২ সালে সমকামিতা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে বয়েজ অব বাংলাদেশ (Boys of Bangladesh), (যার সংক্ষিপ্ত রূপ BOB) যাত্রা শুরু করে। অনলাইনে পাওয়া তথ্যমতে, শুরু থেকেই সংগঠনটি একটি ওয়েবসাইট, একটি ইয়াহু গ্রুপ ও একটি ফেসবুক পেজকে প্রাথমিক নেটওয়ার্কিং এবং যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। বয়েজ অব বাংলাদেশ ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন এলজিবিটি সচেতনতাবর্ধক অনুষ্ঠান করে আসছে। এই সংগঠনটি বাংলার মাটিতে সমকামিতা বৈধ করার লক্ষ্যে জীবন বাজি রেখে কাজ করছে। ‘বাঙালি মানবতাবাদী ও মুক্তচিন্তার সমর্থকদের জন্য একটি ধর্মনিরপেক্ষ স্থান’ এই স্লোগান নিয়ে গঠিত হওয়া মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় ‘সমকামিতা: একটি বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন।
২০১৪ সালে সমকামি সমাজ গড়ার লক্ষ্যে ‘রূপবান’ নামে নযরকাড়া প্রচ্ছদে ৫৬ পৃষ্ঠার একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ হয়। সংবাদ সংস্থা এএফপি (AFP) এর বার্তায় ‘রূপবান’ ম্যাগাজিন প্রসঙ্গে বলা হয়, বাংলাদেশের নারী সমকামী, পুরুষ সমকামী, রূপান্তরকামী আর উভকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক পদক্ষেপ হিসেবে পত্রিকাটির প্রকাশ শুরু হয়েছে। সেই সময়ের সম্পাদক রাসেল আহমেদ বলেছিলেন, আমরা আশা করি এটা সমকামী সম্প্রদায়ের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে। রূপবান ম্যাগাজিনের সম্পাদকের প্রত্যাশা, সমকামীদের জীবনযাপন পদ্ধতি ও বিভিন্ন দিক নিয়ে ম্যাগাজিনটিতে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তা মানুষের মধ্যে সহনশীল দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে সক্ষম হবে। গে নেতারা এটাও বলেছিলেন, এ ম্যাগাজিনটি প্রকাশের অন্যতম কারণ প্রেম ও প্রেমের অধিকারকে সামনে নিয়ে আসা। উল্লেখ্য, রূপবানের যাত্রা শুরুর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া অতিথিদের মধ্যে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন এবং ব্যারিস্টার সারা হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
একটি পত্রিকার সংবাদ না উল্লেখ করলেই নয়, সংবাদটি হচ্ছে এমন, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে রাজধানীতে প্রথম প্রকাশ্যে র্যালি করেছে সমকামীদের একটি দল, যারা ইতিপূর্বে ‘রূপবান’ নামে সমকামীদের একটি পত্রিকা বের করে আলোচনায় আসে। সোমবার রাজধানীর শাহবাগে সকাল ৯.৩০ মিনিট এর দিকে মঙ্গল শোভাযাত্রার পরেই এই র্যালি বের করে ওই দল। সমকামীদের প্রতীক হিসেবে পরিচিত রংধনুর সাত রং এর সাথে মিল রেখে র্যালিটি শাহবাগ থেকে রূপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন) হোটেল পর্যন্ত গিয়ে আবার শাহবাগে ফিরে আসে। র্যালিতে সাতটি লাইনে বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা এবং লাল রঙের পাঞ্জাবি পরিহিত সমকামীরা কাগজের ফুল, পাখি আর বেলুন নিয়ে বের হয়। র্যালি শেষে তারা হাতের বেলুন আকাশে উড়িয়ে দেয়। ভিন্ন আয়োজনের ওই র্যালিটি উপস্থিত জনসাধারণের মধ্যে আগ্রহের সৃষ্টি করে। ফেসবুকে ‘রূপবান’ নামে সমকামীদের গ্রুপে বিষয়টি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বাস লক্ষ করা গেছে।[3]
দক্ষিণ এশিয়ায় সমকামিতা বাস্তবায়নে ‘সায়ান’ নামের সংগঠনের এক নিরলস কর্মী রয়েছে বাংলাদেশে। নানা আলোচনা-সমালোচনায় সকলে এই ধোঁকাবাজকে চিনে। সুস্থ পুরুষ থেকে কসমেটিক সার্জারি করে নারী হওয়া ট্রান্সজেন্ডার এর নাম হোচিমিন ইসলাম। বিশ্বের বড় বড় রাঘব গোয়ালরা এ হোচিকে সহযোগিতা করছে। হোচি নিজের সমকামিতা আন্দোলন সুগম করতে কখনো সরকারবিরোধী হয়, কখনো সরকারের পা চাটে। হোচি রূপবান পত্রিকার ইয়ুথ লিডার হিসেবে কাজ করছে। বয়েজ অব হোস্টেল এর বিভিন্ন সভা-অনুষ্ঠানে হোচি বক্তব্য রাখছে। আমার ব্যক্তিগত তথ্য মতে, বাংলাদেশে হোচিকে নিয়ে কেউ ভিডিও, অডিও, ব্লগ করলেই তা উধাও হয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ ২৭ মিনিটের একটি ভিডিও ফেসবুক থেকে সরান হোচি সমর্থিত সাইবার টিম।
ধর্মীয় দৃষ্টিতে সমকামিতা: ইসলাম ধর্মের সংবিধান তথা আল-কুরআনে সমকামিতা প্রসঙ্গে অনেক আয়াত নাযিল হয় (দ্রষ্টব্য: আন-নামল, ২৭/৫৪-৫৮; আল-আ‘রাফ, ৭/৮০-৮১ ও ৮৪; আশ-শুআরা, ২৬/১৬৫-১৬৬; আল-আনকাবূত, ২৯/৩১)। যা থেকে স্পষ্ট হয়, ইসলামের দৃষ্টিতে সমকামিতা হারাম। সমকামিতার শাস্তি কী হবে সে সম্পর্কে হাদীছে এসেছে— ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা কাউকে যদি লূত গোত্রের মতোই কুকর্মে লিপ্ত দেখতে পাও, তাহলে কর্তা ও যার সঙ্গে করা হয়েছে তাদের উভয়কে হত্যা করো’।[4] অন্য হাদীছে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে মানুষ লূত সম্প্রদায়ের কুকর্ম করে সে অভিশপ্ত’।[5]
মনুসংহিতার আইনে উল্লেখ আছে, যদি কোনো বয়স্কা নারী অপেক্ষাকৃত কম বয়সী নারীর (কুমারীর) সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে, তাহলে বয়স্কা নারীর মস্তক মুণ্ডন করে দুটি আঙুল কেটে গাধার পিঠে চড়িয়ে ঘুরানো হবে।[6]
যদি দুই কুমারীর মধ্যে সমকামিতার সম্পর্ক স্থাপিত হয়, তাহলে তাদের শাস্তি ছিল ২০০ মুদ্রা জরিমানা এবং ১০টি বেত্রাঘাত।[7] সে তুলনায় পুরুষদের মধ্যে সম্পর্কের শাস্তি তুলনামূলকভাবে অনেক কম। বলা হয়েছে, দুজন পুরুষ অপ্রাকৃতিক কার্যে প্রবৃত্ত হলে তাদেরকে জাতিচ্যুত করা হবে।[8] আর জামা পরে তাকে জলে ডুব দিতে হবে।[9] বাইবেলে উল্লিখিত উদ্ধৃতির সারমর্ম হলো, সমকামিতা এক রকমের পাপ।[10]
বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ: সর্বোপরি এই ভয়াবহ সমকামিতা বাস্তবায়নে বিশ্বের মাতব্বররা ভূমিকা রাখছে। কত কথা চাইলেও তো বলা যায় না। তাই তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ সমকামিতাময় বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখছে। সমকামিতা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিশ্বের বিভিন্ন স্তরে আসীন। যার ফলে সমকামিতা কর্মীরা বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে মাতব্বরদের পূজা করেই আইনসহ নানা বিষয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছে, লাল-সবুজের মাঝে কালো রেখা টানতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে বিশ্ব মাতব্বররা।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায়, সমকামিতা একটি মস্তিষ্কবিকৃত রোগ। পৃথিবীর কোনো ধর্ম, পথ, মতবাদ সমকামিতাকে সমর্থন করে না। তাই চলুন, আমরাও এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করি। আমাদের কোনো আপনজন যেন এর অতলে না হারায়। আল্লাহ! আপনি আমাদের ভয়াবহ সমকামিতা থেকে রক্ষা করুন- আমীন!
ইবনু মাসঊদ
শিক্ষার্থী, আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ, বীরহাটাব-হাটাব, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।
[1]. উইকিপিডিয়া।
[2]. উইকিপিডিয়া।
[3].http://www.priyo.com/files/story/201404/gay-rally.jpg[/img]
[4]. আবূ দাঊদ, হা/৪৪৬২, হাসান।
[5]. ইবনু মাজাহ, হা/২৫৬১, হাদীছ ছহীহ।
[6]. Manu Smriti chapter 8, verse 370.
[7]. Manu Smriti chapter 8, verse 369.
[8]. Manu Smriti Chapter 11, Verse 68.
[9]. Manu Smriti Chapter 11, Verse 175.
[10]. আদি পুস্তক ১৯:১-১৩; লেবীয় ১৮:২২; রোমীয় ১:২৬-২৭; ১ করিন্থীয় ৬:৯।