শাহাদাত আল্লাহর রাস্তায় নিজের প্রাণ বিলিয়ে দেওয়ার নাম। শাহাদাত অর্জন সাধারণ কোনো বিষয় নয়। এর জন্য থাকতে হয় ইস্পাতের মতো অটল ঈমান। হতে হয় ঈমানী শক্তিতে বলীয়ান। সামনে ধেয়ে আসা ভয়ংকর অস্ত্র আর রক্তের স্রোত দেখেও এগিয়ে যাওয়ার অদম্য সাহস থাকতে হয়। দুনিয়ার সব সুখ আর মায়া ত্যাগ করে হতে হয় ভীষণ আত্মত্যাগী। থাকতে হয় মরণকে আলিঙ্গন করার স্পর্ধা। বুকে ধারণ করতে হয় এই বাক্য— ‘আমি মুসলিম চির রণবীর, মরণকে করি না ভয়। মরলে শহীদ বাঁচলে গাজি, এই আমার পরিচয়’। তবেই পাওয়া যায় শহীদী মর্যাদা। মরেও হওয়া যায় অমর। এরকমই কয়েকজন শহীদ ছাহাবীর খণ্ডচিত্র দেখব আমরা নিচের গল্পগুলোতে। হয়তো চিত্রগুলো আমাদের ভাবনার উদ্রেক করতে পারবে।
১. আত্মারসংশোধনেকবিতারচরণ:
আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রাযিয়াল্লাহু আনহু। তিনি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এক বিশিষ্ট কবি ছিলেন। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুতার যুদ্ধের জন্য তিনজন সেনানায়ক নিযুক্ত করেছিলেন। তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, ‘প্রথমে যায়েদ থাকবে। তাঁর কিছু হলে জা‘ফর এগিয়ে যাবে। তাঁরও যদি কিছু হয়, তাহলে ইবনে রাওয়াহা সেনানায়ক হবে’। একসময় প্রথম দুই সেনানায়ক শহীদ হয়ে গেলেন। এবার সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর। তিনি পতাকা হাতে নিলেন। ঘোড়ায় চড়ে এগিয়ে যেতে লাগলেন। ঠিক এ সময় তিনি তাঁর মনকে দুর্বল পেলেন ও যুদ্ধে এগোনোতে দ্বিধা করতে লাগলেন। মনকে বোঝাতে তিনি কবিতা আবৃত্তি শুরু করলেন,
أَقْسَمْتُ بِاللهِ لَتَنْزِلِنَّهْ … طَائِعَةً أَوْ لَا لَتُكْرَهِنَّهْ
إن أجلب الناس وشدوا الرنه … مالي أَرَاكِ تَكْرَهِيْنَ الجَنَّهْ
قَدْ طَالَ مَا قَدْ كُنْتِ مُطْمَئِنَّهْ … هَلْ أَنْتِ إلَّا نُطْفَةٌ فِي شنه
তিনি নিজের সাথে কথোপকথনে আরও বলেন,
يَا نَفْسُ إِنْ لَا تُقْتَلِي تَمُوْتِي … هَذَا حِمَامُ المَوْتِ قَدْ لَقِيْتِ
وَمَا تَمَنَّيْتِ فَقَدْ أُعْطِيْتِ … إِنْ تَفْعَلِي فِعْلَهُمَا هُدِيْتِ
এরপর তিনি তেজস্বী মনে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং শাহাদাত বরণ করেন।[1]
২. নববধূকে রেখে যুদ্ধের মাঠে গেলেন যে যুবক:
নববিবাহিতা প্রিয়তমা স্ত্রীর চেয়ে সে সময়ে ভালোবাসার আর কি কিছু হতে পারে একজন যুবকের কাছে! অবশ্যই হতে পারে। এরকমই এক আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত হয়ে আছেন হানযালা ইবনু আবি আমের রাযিয়াল্লাহু আনহু। নতুন বিয়ে করেছেন তিনি। বাসর রাতটি অর্ধাঙ্গিনীর সাথে কাটিয়ে ফজর হতে না হতেই শুনতে পান উহুদ যুদ্ধের আহ্বান। তিনি আর এক মুহূর্তও দেরি করেননি। প্রেয়সীর মায়ার বাঁধন তাঁকে ঘরে আটতে রাখতে পারেনি। নববধূর প্রেমময় আঁচল ফেলে তিনি চলে গিয়েছিলেন জিহাদের মাঠে। কারণ, তাঁর কাছে ঈমান ছিল সবচেয়ে বড় ভালোবাসা। গোসল না করেই সরাসরি যুদ্ধের মাঠে চলে যান। বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করতে করতে একসময় তিনি শহীদ হয়ে যান। যুদ্ধে দেরি হবে বলে ফরয গোসলের সময় পাননি তিনি, কিন্তু তাঁকে সেই গোসল করিয়েছেন স্বয়ং ফেরেশতামণ্ডলী।[2] আত্মত্যাগের বিনিময়ে তিনি পেয়ে যান غسيل الملائكة (গাসীলুল মালায়িকা)[3] উপাধি (তথা: যাকে ফেরেশতামণ্ডলী গোসল দিয়েছেন)। হানযালা রাযিয়াল্লাহু আনহু বুঝেছিলেন, ভালোবাসার প্রকৃত পরিণতি তখনই অর্থবহ, যখন তা আল্লাহর পথে বিলীন হয়।[4]
৩. খেজুর খেতে গেলে তো জান্নাতে যেতে দেরি হয়ে যাবে!:
রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদর যুদ্ধের উদ্দেশ্যে বের হলেন। মুশরিকদের আগেই চলে আসলেন বদর প্রান্তরে। তাঁর সাথে আছেন ছাহাবীদের একটি দল। ইসলামের জন্য যাদের এটিই প্রথম বড় যুদ্ধ। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদেরকে সম্বোধন করে বললেন, ‘তোমাদের কেউ যেন কোনো কাজে এগিয়ে না যায়, যতক্ষণ না আমি নিজে আগে থাকি’। মুশরিকদের বিশাল বাহিনীও চলে এসেছে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাহাবীদের মন থেকে ভয় দূর করতে আর জিহাদে আগ্রহী করতে বললেন, ‘তোমরা উঠে দাঁড়াও সেই জান্নাতের দিকে, যার প্রস্থ আসমান ও জমিনের সমান’। অর্থাৎ, ‘তোমরা আল্লাহর রাস্তায় জান দিয়ে দিতে তাড়াতাড়ি এগিয়ে চলো’। এ কথা শুনে উমায়ের ইবনু হুমাম রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আসমান ও জমিনের সমান জান্নাত!’ তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ। এবার উমায়ের ইবনু হুমাম রাযিয়াল্লাহু আনহু অতি উৎসাহে বলে উঠলেন, ‘বাখ বাখ! তথা- ওয়াও ওয়াও’। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তুমি বাখ বাখ— বাহ, চমৎকার!’ কেন বলছ? উত্তরে তিনি বললেন, ‘জান্নাতে যাওয়ার আশায় বলে ফেলেছি, হে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’। তাঁর এমন আগ্রহ দেখে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুসংবাদ দিয়ে বললেন, ‘তুমি জান্নাতী’। সুসংবাদে চোখ-মুখ ঝলমল করে উঠল উমায়ের রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর। থলে থেকে খেজুর বের করে তিনি খেতে লাগলেন। কয়েকটা খেজুর মুখে দিতেই তিনি বলে উঠলেন, ‘খেজুরগুলো খাওয়া পর্যন্ত দেরি করলে তো অনেক সময় চলে যাবে! জান্নাতে যেতে দেরি হয়ে যাবে!’ এই বলে তিনি খেজুরগুলো ফেলে দিলেন এবং যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকলেন যতক্ষণ না শহীদ হন।[5]
৪. একটাও সিজদা না দিয়েই জান্নাতী:
উছাইরিম রাযিয়াল্লাহু আনহু। যার আসল নাম আমর ইবনু ছাবেত ইবনু ওয়াকশ। ইসলাম নিয়ে দীর্ঘ সময় তিনি দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহুদ যুদ্ধে বের হয়ে যাওয়ার পর তাঁর হৃদয়ে ইসলামের আলোর উদয় হয়। তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং একটি ছালাত আদায়ের সুযোগ না পেয়েও সরাসরি তরবারি হাতে যুদ্ধে চলে যান। এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর আহত হয়ে পড়ে থাকেন। যুদ্ধ শেষে বানূ আব্দিল আশহালের লোকেরা নিজেদের শহীদদের খুঁজছিল, তখন তাঁকে দেখে তারা অবাক হয়ে বলাবলি করতে লাগলেন, ‘এ তো উছাইরিম! আমরা তো জানতাম সে ইসলাম স্বীকার করেনি!’ তারা জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি এখানে কেন এসেছ? আত্মীয়তার কারণে, নাকি ইসলামের প্রতি ভালোবাসায়?’
তিনি বললেন, ‘ইসলামের প্রতি ভালোবাসায় এসেছি আমি। আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছি, ইসলাম গ্রহণ করেছি এবং তরবারি হাতে রাসূলের সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নিয়েছি। তারপর আমি আহত হয়েছি’।
এই কথাগুলো বলেই তিনি তাদের হাতের উপরেই মারা গেলেন। তারা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঘটনা খুলে বললেন। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘নিশ্চয়ই সে জান্নাতবাসী’।[6]
৫. আমীর যুবকের গল্প:
মুছআব ইবনু উমায়ের রাযিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন মক্কার সবচেয়ে সুদর্শন যুবক। মক্কার এক অভিজাত পরিবারে ছিল তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা-মাতা ছিল খুবই সম্ভ্রান্ত। তাঁকে তারা সবসময় সবচেয়ে উত্তম পোশাকে সাজাতেন। শহরের সবচেয়ে দামী আতর তিনি ব্যবহার করতেন। ফ্যাশনে অগ্রগামী ছিলেন তিনি। এরপর তিনি যখন ইসলাম গ্রহণ করেন, তখন পার্থিব সব সুখ তিনি বিসর্জন দেন।[7]
মুছআব রাযিয়াল্লাহু আনহু উহুদ যুদ্ধে শহীদ হয়ে গেলেন। কাফনে জড়ানোর সময় দেখা গেল আরবের সবচেয়ে ধনী এই যুবকটি শুধু একটা খাটো নামীরা চাদর ছাড়া কিছুই দুনিয়াতে রেখে যাননি। যেই চাদরে মাথা ঢাকলে পা বের হয়ে যায়, পা ঢাকলে মাথা বের হয়ে যায়। সেই চাদরে তাঁর মাথা ঢাকা হলো আর পা ঢাকা হলো ইদখীর নামক ঘাসে।[8]
৬. ডানাওয়ালা যোদ্ধা:
মু‘তার যুদ্ধে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জা‘ফর ইবনে আবূ তালেব রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে অন্যতম সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত করেন। যেই যুদ্ধে মুসলিমরা মুখোমুখি হয়েছিল শক্তিশালী রোমান সাম্রাজ্যের বিশাল বাহিনীর সাথে। প্রথম সেনাপতি যায়েদ শহীদ হলে তিনি তাঁর ডান হাতে ইসলামের পতাকা উঁচিয়ে ধরে যুদ্ধ করতে থাকেন। কাফেররা তাঁর দিকে এগিয়ে এসে তাঁর ডান হাতে আঘাত করে। ডান হাত ছিন্ন হয়ে গেলে তিনি বাম হাতে পতাকা নেন। নরপিশাচরা তাঁর বাম হাতও কেটে ফেলে। এরপরও তিনি শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত বীর বিক্রমে যুদ্ধ চালিয়ে যান। বুকে দম থাকা অবধি তিনি পতাকা মাটিতে পড়তে দেননি। পুরো যুদ্ধে তাঁর শরীর সত্তরটারও বেশি আঘাতে জর্জরিত হয়।[9] তাঁর কাটা যাওয়া দুহাতের বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তাঁকে দুটি ডানা প্রদান করেন। যেই ডানাদুটোতে ভর দিয়ে তিনি ফেরেশতাদের সাথে জান্নাতে উড়ে বেড়ান।[10] তাঁর নামের সাথে যুক্ত হয় ‘তাইয়ার’ (ডানাওয়ালা জা‘ফর)।[11] তাঁর মৃত্যুতে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারায় কষ্টের ভাব প্রকাশ পায়।[12]
৭. আমি আবার শহীদ হতে চাই:
জাবের রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর খুব বেশি মন খারাপ। তাঁর এই অবস্থা দেখে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘কী হয়েছে, জাবের? কেন তুমি এত ভেঙে পড়েছে?’ জাবের রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘আমার বাবা শহীদ হয়েছেন। তিনি পরিবার ও অনেক ঋণ রেখে গেছেন’। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তুমি কি জানতে চাও, আল্লাহ তোমার বাবাকে (আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে হারাম) কী পুরস্কার দিয়েছেন?’
৮. যার শাহাদাতে আরশ কাঁপে:
খন্দকের যুদ্ধে সা‘দ ইবনে মুআয রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর হাতে আঘাত লেগে একটা জখম হয়। যেটা প্রায় সেরেই গিয়েছিল। একটি আংটি পরিমাণ জায়গায় ক্ষত অবশিষ্ট ছিল শুধু। তিনি আহত হওয়ার পর আল্লাহর কাছে আবেদন করেছিলেন, ‘হে আল্লাহ! যদি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আর কুরাইশদের মাঝে আর কোনো যুদ্ধ অবশিষ্ট থাকে, তাহলে সে যুদ্ধ পর্যন্ত আমাকে বাঁচিয়ে রাখুন। আমি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করতে পছন্দ করি। আর বানূ কুরাইযার শেষ পরিণতি দেখে চোখ জুড়ানোর আগে আমাকে মৃত্যু দিয়ো না’।
বানূ কুরাইযার উপর কঠিন শাস্তির ফয়সালা দেওয়ার পর সেই সামান্য ক্ষত থেকে আবার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। আর তিনি এই রক্তক্ষরণের কারণেই শাহাদাত বরণ করেন। তাঁর মারা যাওয়ার রাতে জিবরীল আলাইহিস সালাম রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলেন, ‘কে এই ব্যক্তি, যার মৃত্যুতে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছে এবং আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়েছে?’[14]
সুধী পাঠক! এ তো ছিল শাহাদাতের কয়েকটি খণ্ডচিত্র মাত্র। এরকম আরও অনেক আত্মত্যাগ, সাহসিকতা, অবিচলতা, দৃঢ়তা আর বীরত্বের উদাহরণ আছে মাগাযীর পাতায়। আমাদের জানা উচিত সেইসব নির্ভীকতার ইতিহাস। তাহলে আমাদের মাঝেও আসবে শাহাদাতের তামান্না। যেই তামান্নার কথা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মারা গেল, অথচ জিহাদ করল না; এমনকি জিহাদের কথা মনেও আনল না, সে ব্যক্তি মুনাফেক্বীর একটি শাখার উপর মৃত্যুবরণ করল’।[15]
*সবুজ পাখি: রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘শহীদদের রূহ সবুজ পাখির উদরে থাকবে। পাখিগুলোর জন্য আরশে ঝুলন্ত ঝাড়বাতির মতো বাসা থাকবে। তাঁরা জান্নাতের যেখানে খুশি বিচরণ করবে, পরে ঐ ঝাড়বাতিতে ফিরে আসবে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৮৮৭)। এই হাদীছটির শব্দ নিয়েই লেখাটির নামকরণ করা হয়েছে ‘সবুজ পাখি’।
মাজহারুল ইসলাম আবির
শিক্ষার্থী, আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ, ডাঙ্গীপাড়া, পবা, রাজশাহী।
[1]. ইবনে মাজাহ, হা/২২৭০; সীরাত ইবনে হিশাম, ২/৩৭৯; সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ৩/১৪৭, ১৫০।
[2]. সীরাত ইবনে হিশাম, ২/৭৪।
[3]. তারিখু দেমাশক, ৭/৩২৩।
[4]. ছহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৭০২৫।
[5]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৯০১।
[6]. মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৬৩৪; আল-ইসাবাহ ফি তামইযিয ছাহাবা, ২/৫২৬।
[7]. সীরাত ইবনে ইসহাক, পৃ. ১৯৩।
[8]. ছহীহ বুখারী, হা/৩৮৯৭; ছহীহ মুসলিম, হা/৯৪০।
[9]. হাকেম, হা/৪৯৩৭।
[10]. তিরমিযী, হা/৩৭৬৩।
[11]. তারিখু দেমাশক, ৭২/১৩৪; হাকেম, হা/৪৯৩৭।
[12]. ছহীহ বুখারী, হা/১২৯৯।
[13]. তিরমিযী, হা/৩০১০।
[14]. মুসনাদু আবি ইয়া‘লা, হা/৪৪৭৭।
[15]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৯১০।