কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (২৬) : বিবাহের ক্ষেত্রে বিধবা মহিলা এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে কি?

উত্তর : বিধবা হোক বা কুমারী হোক বিবাহের ক্ষেত্রে অবশ্যই অলী লাগবে। পার্থক্য হলো বিধবা বা ত্বালাকপ্রাপ্তা মহিলার অনুমতির ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে অলীকে জানাবে যে, সে বিবাহ করবে কি করবে না। পক্ষান্তরে কুমারী মহিলার অনুমতির ক্ষেত্রে তার চুপ থাকাকে প্রাধান্য দিবে। ইবনু আববাস রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘বিবাহিতা নারী নিজের ব্যাপারে তার অলী অপেক্ষা অধিক হক্বদার। কুমারী নারী হতে তার বিষয়ে তার নিজের মত গ্রহণ করা আবশ্যক আর তার মত দেওয়া হলো তার চুপ থাকা। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, বিবাহিতা নারী নিজের ব্যাপারে তার অলী অপেক্ষা অধিক হক্বদার। আর কুমারীর ব্যাপারে তার মত গ্রহণ করতে হবে। আর তার মত হলো চুপ থাকা। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, বিবাহিতা নারী নিজের ব্যাপারে তার অলী অপেক্ষা অধিক হক্বদার। আর কুমারীর ব্যাপারে তার পিতা তার নিকট হতে অনুমতি নিবে। আর তার অনুমতি হলো চুপ থাকা (ছহীহ মুসলিম, হা/১৪২১ ; মিশকাত, হা/৩১২৭)। কাজেই বিধবা মহিলা বিবাহের ক্ষেত্রে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। বাবা না থাকলে দাদা, দাদা না থাকলে ভাই বা চাচা। কেউ যদি না থাকে তাহলে দেশপ্রধান অলী হবে যেটি কোর্টের বা ক্বাজীর মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হবে। আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যার অলী নেই তার অভিভাবক হবে স্থানীয় দায়িত্বশীল (মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪২৫১; তিরমিযী, হা/১১০২; আবুদাঊদ, হা/২০৮৩; ইবনু মাজাহ, হা/১৮৭৯; দারেমী, হা/২১৮৪; মিশকাত, হা/৩১৩১)।

প্রশ্নকারী : যিয়াউর রহমান

টাঙ্গাঈল সদর, টাঙ্গাঈল।

Magazine