উত্তর : এমতাবস্থায় উক্ত জমিকে ঈদগাহ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। কেননা ঈদগাহ হলো ছালাতের স্থান। যাতে তা উক্ত কাজেই ব্যবহৃত হয়, তার নিশ্চয়তার জন্য ওয়াক্বফ করা আবশ্যক। মসজিদে নববীর জন্য মাটি ক্রয় করতে চাইলে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাতুল গোষ্ঠী বনু নাজ্জার সেটা বিনা পয়সায় আল্লাহর ওয়াস্তে দিয়ে দেন। ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহুযখন খায়বারের প্রাপ্ত জমি ওয়াক্বফ করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরামর্শক্রমে বললেন, এটি বিক্রি হবে না, কাউকে দান করা যাবে না এবং এতে কেউ ওয়ারিছ হবে না। এটাই ছিল ইসলামে প্রথম ওয়াক্বফের ঘটনা (ফিক্বহুস সুন্নাহ, ‘ওয়াক্বফ’ অধ্যায়, ৩/৫২৩ পৃঃ)। অতএব ভবিষ্যতে ফিৎনার হাত থেকে বাঁচার জন্য মসজিদ বা ঈদগাহের জমি লিখিতভাবে ওয়াক্বফ হওয়াই উত্তম। অন্যের মালিকানাধীন কোনো জায়গায় ঈদের ছালাত আদায় করতে চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
প্রশ্নকারী : আক্বীমুল ইসলাম
জোতপাড়া, ঠাকুরগাঁও।