উত্তর : সূর্য স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে উক্ত ছালাতের সময় শুরু হয়। প্রথম প্রহরের শুরুতে পড়লে তাকে ‘ছালাতুল ইশরাক্ব’ বলে এবং কিছু পরে দ্বিপ্রহরের পূর্বে পড়লে তাকে ‘ছালাতুয যোহা’ বা ‘চাশতের ছালাত’ বলা হয়। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি জামা‘আতের সাথে ফজরের ছালাত আদায়ের পর সেখানে বসেই যিকর-আযকারে মশগূল থাকল। অতঃপর সূর্যোদয়ের পর সেখানেই দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করল। সে ব্যক্তি একটি পূর্ণ হজ্জ ও ওমরাহর ন্যায় নেকী পেল’ (ছহীহ তিরমিযী, হা/৫৮৬, সনদ হাসান; মিশকাত, হা/৯৭১)। বুরায়দা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মানুষের শরীরে ৩৬০টি জোড় আছে। অতএব মানুষের কর্তব্য হলো প্রত্যেক জোড়ের জন্য একটি করে ছাদাক্বা করা। ছাহাবীগণ বললেন, কার শক্তি আছে এই কাজ করার, হে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম? তিনি বললেন, চাশতের দু’রাক‘আত ছালাতই এ জন্য যথেষ্ট’ (আবুদাঊদ, হা/৫২৪২; মিশকাত, হা/১৩১৫; ছহীহ মুসলিম, হা/৭২০; মিশকাত, হা/১৩১১)। এই ছালাতকে ‘ছালাতুল আউয়াবীন’ও বলা হয়’। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ছালাতুল আওয়াবীন’-এর সময় হলো তখন, যখন (রোদের তাপে) উটের বাচ্চার ক্ষুর গরম হয়ে যায়’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৭৪৮; মিশকাত, হা/১৩১২)। উল্লেখ্য যে, মাগরিবের ছালাতের পরে ‘ছালাতুল আওয়াবীন’ নামে যে ৬ রাক‘আত ছালাত পড়ার প্রথা সমাজে চালু আছে শরী‘আতে তার কোনো ভিত্তি নেই। মূলত চাশতের সময় যে ছালাত পড়া হয় সেটাই আওয়াবীন ছালাত (ছহীহ মুসলিম, হা/৭১৯; মিশকাত, হা/১৩১০)।
প্রশ্নকারী : নাসরিন পারভীন
পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও।