কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (১৬): হালাল পশুর কাঁচা মাংস বা কাঁচা মাছ খাওয়া কি জায়েয?

উত্তর: কাঁচা মাছ খাওয়া মৌলিকভাবে জায়েয। অনুরূপভাবে হালাল প্রাণীর কাঁচা গোশত খাওয়া মৌলিকভাবে জায়েয এই শর্তে যে, শারঈ পদ্ধতিতে যবেহকৃত হতে হবে এবং যবেহ করার সময় যে রক্তগুলো প্রবাহিত হয়, সেগুলো যেন উক্ত গোশতের সাথে মিশ্রিত না হয়। যদি মিশ্রিত হয়, তাহলে তা পানি দিয়ে ধৌত করে তারপর খাওয়া যাবে। কারণ প্রবাহিত রক্ত হারাম (আল-আনআম, ৬/১৪৫)। তবে যদি রেজিস্টার্ড ডাক্তারগণ এ ধরনের কাঁচা গোশত খাওয়া ক্ষতিকর বলেন, তাহলে তা খাওয়া জায়েয হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ ‘তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের (ক্ষতির) দিকে ঠেলে দিয়ো না’ (আল-বাকারা, ২/১৯৫)। উল্লেখ্য, হালাল হলেই খেতে হবে তা নয়; বরং সতর্কতার সাথে খেতে হবে। উম্মুল মুনযির রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার বাসায় আসলেন। আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু-ও তার সাথে ছিলেন। আমাদের খেজুরের ছড়া ঝুলিয়ে রাখা ছিল। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা থেকে খেতে আরম্ভ করলেন। তার সাথে আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু-ও খেতে লাগলেন। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে বললেন, ‘হে আলী! থামো থামো! তুমি তো অসুস্থতাজনিত দুর্বল’। বর্ণনাকারী বলেন, আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু বসে গেলেন এবং রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেতে থাকলেন। আমি (উম্মুল মুনযির) তাদের জন্য বীট এবং বার্লি বানিয়ে আনলাম। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘হে আলী! তুমি এটা খেতে পার, তোমার জন্য এটা বেশি উপযোগী’ (তিরমিযী, হা/২০৩৭)।

প্রশ্নকারী : আবির আহমেদ লিখন

 জামালপুর।


Magazine