কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪২): যদি কোনো মহিলা লুজ ফিটিং (এমন পোশাক যা শরীরের সাথে আঁটসাঁটো হয়ে লেগে থাকে না) বিভিন্ন রঙ ও ডিজাইনের পোশাক পরে, যা সারা শরীর ও মুখ ঢাকে- এতে কি তার পর্দা আদায় হবে?

উত্তর: শরীআতের দৃষ্টিতে শুধু লুজ ফিটিং (ঢিলা) পোশাক পরাই যথেষ্ট নয়; বরং পর্দার শর্তগুলো যথাযথ পালন করতে হবে। তাহলে শারঈ পর্দা বলে গণ্য হবে। নিচে পর্দার শর্তগুলো দেওয়া হলো- ১. শরীর পুরোপুরি ঢাকা (শুধু মুখমণ্ডল খুলতে পারে, তবে ঢেকে রাখাই ভালো)। ২. পোশাক যেন ঢিলেঢালা হয়। ৩. পোশাক যেন ঘন হয়, যাতে শরীরের অঙ্গসৌষ্ঠব ফুটে না ওঠে। ৪. পোশাক যেন আকর্ষণীয় সাজসজ্জা ও এমন রঙের না হয়, যা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ৫. পোশাক যেন পুরুষের পোশাকের অনুরূপ না হয় অথবা কাফের ও ফাসেকের পোশাকের সদৃশ না হয়। ৬. যেন সুগন্ধিযুক্ত না হয়। ৭. প্রাণীর ছবিযুক্ত না হয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তবে যা স্বভাবত প্রকাশ পায়’ (আন-নূর, ২৪/৩১)। ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি খ্যাতি লাভের জন্য পোশাক পরে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সেরূপ পোশাক পরাবেন, অতঃপর তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হবে (আবূ দাঊদ, হা/৪০২৯)। অন্য হাদীছে এসেছে, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও নম্রতাবশত সৌন্দর্যবর্ধক পোশাক পরা থেকে বিরত থাকে, আল্লাহ তাকে সম্মানের পোশাক পরিধান করাবেন (আবূ দাঊদ, হা/৪৭৭৮)।

প্রশ্নকারী : আদনান

পেয়ারাতলা, কুষ্টিয়া।


Magazine