কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৪) : খারেজী বলতে কাদেরকে বুঝানো হয়?

উত্তর : মুসলিম নামধারী ভ্রান্ত আক্বীদায় বিশ^াসী একটি বাতিল ফিরক্বার নাম খারেজী ফিরক্বা। আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু ও মু‘আবিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর মতানৈক্যের সময় উভয়ের মাঝে যে মীমাংসা বৈঠক বসে, সেই বৈঠককে ‘মানবীয় ফয়ছালা’ আখ্যায়িত করে মুসলিম জামা‘আত থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে বের হয়ে যায়। এজন্য তাদেরকে ‘খারেজী বা দলত্যাগী ’ বলা হয়। এই ভ্রান্ত ফিরক্বার জন্ম হয় রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগেই। ‘যুল খুওয়াছিরা আত-তামীমী’ ছিল এদের পূর্বসূরী। আবু সাঈদ খুদরী রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গনীমতের মাল বণ্টন করছিলেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে যুল খুওয়াছিরা আত-তামীমী (কোনো কোনো বর্ণনায় স্বয়ং তারই নাম যুল খুওয়াছিরা বলা হয়েছে) এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি ইনছাফ করুন। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি ধ্বংস হও! আমি ইনছাফ না করলে আর কে ইনছাফ করবে? ওমর ইবনে খাত্ত্বাব রাযিয়াল্লাহু আনহু তখন বললেন, আমাকে অনুমতি দিন! তার গর্দান উড়িয়ে দিই। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে ছেড়ে দাও। তার অনেক সঙ্গী হবে, তোমাদের কেউ নিজের ছালাতকে তাদের ছালাতের তুলনায় এবং নিজের ছিয়ামকে তাদের ছিয়ামের তুলনায় তুচ্ছ মনে করবে। অথচ শিকার থেকে যেভাবে (রক্তবিহীন অবস্থায়) তীর বের হয়ে যায়, সেভাবে তারা দ্বীন থেকে বের হয়ে যাবে। .... তাদের আলামত হলো, তাদের একজন লোক থাকবে, তার একটি হাত অথবা একটি স্তন হবে মহিলাদের স্তনের মতো। মানুষ যখন দলে দলে বিভক্ত হয়ে যাবে, তখন তাদের আবির্ভাব ঘটবে (ছহীহ বুখারী, হা/৬৯৩৩; ছহীহ মুসলিম, হা/১০৬৪)। তাদের কতিপয় আক্বীদা নিমণরূপ :

১. কোনো শাসক তাদের মত কিংবা বুঝের বিপক্ষে গেলে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা বৈধ।

২. কাবীরা গুনাহতে লিপ্ত ব্যক্তি কাফির এবং চিরস্থায়ী জাহান্নামী।

৩. কাবীরা গুনাহতে লিপ্ত ব্যক্তিরা শাফা‘আত পাবে না।

৪. ওছমান ও আলী রাযিয়াল্লাহু আনহুমা সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা।

এছাড়াও তাদের আরও কিছু আক্বীদা আছে, যা সম্পূর্ণ কুরআন সুন্নাহর বিপরীত। 

প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ আল-মামুন

নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।


Magazine