উত্তর : ভুট্টা ও সরিষা উৎপাদনে খরচ কম হোক বা বেশি হোক বিশ ভাগের এক ভাগ ওশর দিতে হবে। কেননা খরচের কারণেই তো বিশ ভাগের এক ভাগ ওশর দিতে হয়। অন্যথা ওশরের বিধান হলো, দশ ভাগের এক ভাগ। আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘বৃষ্টি ও প্রবাহিত পানি দ্বারা সিক্ত ভূমিতে উৎপাদিত ফসল বা সেচ ব্যতীত উর্বরতার ফলে উৎপন্ন ফসলের উপর (দশমাংশ) ‘উশর ওয়াজিব হয়। আর সেচ দ্বারা উৎপাদিত ফসলের উপর অর্ধ (বিশ ভাগের এক ভাগ) ‘উশর (ছহীহ বুখারী, হা/১৪৮৩; মিশকাত, হা/১৯৯৭)।
আর আলু ও বেগুনের ওশর দিতে হবে না। কেননা তা শাক-সবজির অন্তর্ভুক্ত। আর শাক-সবজিতে কোন যাকাত (ওশর) নেই। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, لَيْسَ فِى الْخَضْرَوَاتِ زَكَاةٌ ‘শাক-সবজি বা কাঁচা মালে কোনো যাকাত (ওশর) নেই’ (ছহীহ জামেঊছ ছাগীর, হা/৫৪১১)। তাছাড়া যমীন থেকে উৎপাদিত যেসব খাদ্য-শস্য স্বাভাবিকভাবে এক বছর পর্যন্ত থাকে না বরং তার আগেই পচন দেখা দেয়, সেগুলোর ওশর নেই (ফিক্বহুস সুন্নাহ, ১/৩৩৪-৩৬)। তবে এগুলোর বিক্রয়লব্ধ টাকা যদি এক বছর সঞ্চিত থাকে এবং নিছাব পরিমাণ হয়, তাহলে ৪০ ভাগের ১ ভাগ হিসাবে তার যাকাত দিতে হবে (আবুদাঊদ, হা/১৫৭৩-৭৪; মিশকাত, হা/১৭৯৯)।
-মানিক মিঞা
পত্নিতলা, নওগাঁ।
