উত্তর: জিহাদ অর্থ হলো, প্রচেষ্টা করা। জিহাদকে প্রকৃত অর্থে জিহাদ বলা হয় না যতক্ষণ না আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা হয়, আল্লাহর কালিমাহকে উচু করা, হক্বের পতাকাকে সমুন্নত করা এবং বাতিলকে দূর করা উদ্দেশ্য হয়। সাথে সাথে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয়। এগুলো বাদ দিয়ে যদি জিহাদ দিয়ে দুনিয়ার কোনো স্বার্থ উদ্দেশ্য হয়, তাহলে সেটিকে প্রকৃত অর্থে জিহাদ বলা হবে না। জিহাদের অনেক ফযীলত রয়েছে। আবূ সাঈদ রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে ও মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রাসূল হিসেব গ্রহণ করে সন্তুষ্ট, তার জন্যে জান্নাত অবধারিত হয়ে যাবে। আবূ সাঈদ রযিয়াল্লাহু আনহু তাতে আশ্চর্য হয়ে গেলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার জন্যে কথাটি আবার বলুন। তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার কথাটি বললেন, তারপর তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আর একটি আমল এমন রয়েছে, যার দ্বারা বান্দা জান্নাতে এমন একশটি মর্যাদার স্তর লাভ করবে যার দুটো স্তরের মধ্যে ব্যবধান হবে আসমান ও যমিনের ব্যবধান সমান। তখন তিনি রযিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ঐ আমলটি কী, হে আল্লাহর রাসূল? তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ (ছহীহ মুসলিম, হা/২৮১০)। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করা হল, কোন আমলটি সর্বোত্তম? তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনা। তারপর তাকে ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করা হল, অতঃপর কোনটি?’ তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। তারপর তাকে প্রশ্ন করা হল, অতঃপর কোনটি? তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘মাবরূর হজ্জ্ব সম্পাদন করা (ছহীহ বুখারী, হা/২৬; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৩)।
প্রশ্নকারী : হাসিবুর রহমান
দিনাজপুর।