কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪৩) : আহলেহাদীছ মানহাজের দাওয়াত দেওয়া হলে এক শ্রেণির লোক মেকিদরদ দেখিয়ে বলে, যে এলাকায় এক মাযহাবের ওপর আমল আছে সে এলাকার লোকেরা সেই মাযহাব অনুযায়ী আমল করবে; সেখানে নতুন কিছুর দাওয়াত দেওয়া মানে বিচ্ছিন্নতা ও ফেৎনা সৃষ্টি করা। তাদের একথা কতটুকু শরীআতসম্মত এবং এক্ষেত্রে আমার করনীয় কী?

উত্তরহক্ব কথা বললে সমাজে ফিতনা হবে মনে করে হক্ব কথা বলা যাবে না একথা নিতান্তই হাস্যকর। বরং হক্ব কথা বলে যেতে হবে। হক্ব বললেই বাতিল পালাবে। এর নাম ফিতনা নয়। বরং মিথ্যা প্রচার করাই ফেতনা। আবূ সাঈদ খুদরী রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সর্বোত্তম জিহাদ হল অত্যাচারী শাসকের সামনে সত্য কথা বলা’ (ইবনু মাজাহ, হা/৪০১১; আবূ দাউদ, হা/৪৩৪৪)। আবূ যার রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন, ‘তুমি সত্য বলবে যদিও তা তিক্ত হয়’ (ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৩৬১, ৪৪৯; বুলূগূল মারাম, হা/৮৯২)। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এমন আমল করলো যার ব্যাপারে আমার নির্দেশনা নেই তা প্রত্যাখ্যাত’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬০; ছহীহ মুসলিম, হা/১৭১৮)। অত্র হাদীছসমূহ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, রাসূলের প্রদর্শিত পন্থা ব্যতিরেকে অন্য কোনো আমলই করা যাবে না। আর এক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে, তাদেরকে উত্তম কৌশলে আল্লাহর দিকে আহ্বান করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের দিকে জ্ঞান-বুদ্ধি আর উত্তম উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান জানাও। আর লোকদের সাথে বিতর্ক কর এমন পন্থায় যা অতি উত্তম’ (আন-নাহল, ১৬/১২৫)। এ ছাড়াও তিনি বলেছেন, ‘তোমরা আমার থেকে অন্যের কাছে পৌঁছে দাও যদিও একটি আয়াতও হয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩৪৬১; তিরমিযী, হা/২৮৮১)।

প্রশ্নকারী : সাইফুল ইসলাম সিয়াম

সাভার, ঢাকা।


Magazine