উত্তর: ইসলামে খলীফা বা নেতা নির্ধারণ জ্ঞানী-গুণী ও বিচক্ষণ ব্যক্তিগণ পরামর্শভিত্তিক করে থাকেন, যাকে বলা হয় সিলেকশন। উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু ছয় সদস্যের বোর্ড করে দিয়েছিলেন (ছহীহ বুখারী, হা/৭২০৭; ফাতহুল বারী, ১৩/১৯৫)। তারা মুহাজির ও আনছারদের সাথে পরামর্শক্রমে উছমান ইবনু আফফান রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে খলীফা হিসেবে নির্বাচন করেন। সকলেই তার কাছে বায়আত করেন। আলী ইবনু আবী তালেব রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর মনোনয়নও একইভাবে হয়েছিল। এছাড়াও পূর্বের খলীফার মনোনয়নের মাধ্যমে পরবর্তী খলীফা নির্বাচিত হবে। এক্ষেত্রে খলীফার সততা, ইনছাফ ও ইখলাছ জরুরী। যেমনভাবে আবূ বকর রাযিয়াল্লাহু আনহু উমার ইবনু খাত্তাব রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে মনোনীত করে গিয়েছিলেন (ছহীহ বুখারী, হা/৭২১৮)। পক্ষান্তরে গণতন্ত্রভিত্তিক যে নির্বাচন পদ্ধতি রয়েছে তা খ্রিষ্টান আব্রাহাম লিংকনের কাল্পনিক পদ্ধতি, যাকে বলা হয় ইলেকশন। এ পদ্ধতিতে মুচি, মেথরও নেতা হতে পারে। বর্তমানে দেশে দেশে এ প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতি শরীআত বিরোধী পদ্ধতি। এতে দেশে দাঙ্গা, বিশৃঙ্খলা, স্বজনপ্রীতি, দলের প্রতি দাওয়াত, অর্থ-সম্পদের লোভ ও ব্যক্তি পছন্দের হিসাব থাকে। এসবের জন্য ফেতনা-ফাসাদ, রক্তপাত ছড়িয়ে পড়ে। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য কখনো হাছিল হয় না।
প্রশ্নকার : তনভীর আলম
পল্লবী, ঢাকা-১২০৬।