উত্তর: ডাক্তার বা কারো এমন পরামর্শ বিশ্বাস করা ভাগ্যকে অস্বীকার করার শামিল। কাজেই এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে না। গর্ভে বাচ্চা আসার পর তাকে নষ্ট করা বাচ্চা হত্যা করার শামিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানকে দারিদ্র্যের ভয়ে হত্যা করো না’ (আল-ইসরা, ১৭/৩২)। থ্যালাসেমিয়া (হাফিযাহুল্লাহরাযিয়াল্লাহু আনহুমাছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামlছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামssআলাইহিস সালামmiছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একটি অটোজোমাল মিউট্যান্ট প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত বংশগত রক্তের রোগ। এই রোগে রক্তে অক্সিজেন পরিবহণকারী হিমোগ্লোবিন কণার উৎপাদনে ত্রুটি হয়। থ্যালাসেমিয়া ধারণকারী মানুষ সাধারণত রক্তে অক্সিজেন এর স্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগে থাকেন। অ্যানিমিয়ার ফলে অবসাদগ্রস্ততা থেকে শুরু করে অঙ্গহানি ঘটতে পারে এবং এমন মানুষ থেকে যে বাচ্চা জন্মগ্রহণ করবে তারও এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার শতকরা ২৫ ভাগ সম্ভাবনা থাকে (উইকিপিডিয়া)। আল্লাহ তো মাখলূক সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমাদের চাইতে অনেক বেশি দয়াময় ও দয়াশীল। তিনি যদি এই ধরনের বাচ্চা সৃষ্টি করেন, তাতে অবশ্যই তার কোনো প্রজ্ঞা আছে, যা হয়তো আমরা জানতে পারি না। অনেক সময় এমন হয়ে থাকে যে, ডাক্তারগণ পেটের ছেলেকে রোগাক্রান্ত বলে থাকেন। কিন্তু সন্তান তার বিপরীতে ভালো অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে অথবা যত খারাপ বলা হয়েছে, তত হয় না; কিছু সমস্যা থাকে, যা অপারেশন অথবা বিভিন্ন চিকিৎসার মাধ্যমে সংশোধন করা সম্ভব হয়। আর যদি আমরা মেনেও নেয় যে, বাচ্চা ঐরূপই রোগাক্রান্ত হয়ে জন্মগ্রহণ করবে; তাও তাকে নষ্ট করা বৈধ হবে না। কেননা তার জন্ম যদি হয়েই যেত, তারপরেও কি আমরা তাকে হত্যা করতে পারতাম? এ সন্তানটিই আপনাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাঊসে প্রবেশের মাধ্যম হতে পারে। কেননা হাদীছে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি কোনো মানুষ দুইজন মেয়ের লালনপালন করে জান্নাতে যেতে পারে (ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৫৪৭); তাহলে আপনি এই দুর্বল ছেলের লালনপালন করে ইনশা-আল্লাহ জান্নাতের হক্বদার হতে পারবেন। এমনটাও সম্ভব যে, এই ছেলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আপনার জন্য রিযিকের দরজা উন্মুক্ত করে দিবেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ ক্ষমতাবান (আশ-শূরা, ৪২/৫০)।
প্রশ্নকার : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।