উত্তর: সূরা ফাতিহা ব্যতীত ছালাত হবে না এ কথাই ঠিক। উবাদা ইবনু ছামেত রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করল না তার ছালাত নেই’ (ছহীহ বুখারী, হা/৭৫৬)। আবার রুকূ’ পেলে রাকা’আত গণ্য হবে মর্মেও ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা ছালাতে এসে আমাদেরকে সিজদা অবস্থায় পেলে সিজদায় চলে যাবে। তবে এ সিজদাকে (ছালাতের রাক‘আত) গণ্য করবে না। আর যে ব্যক্তি রুকূ পেলো সে ছালাত (রাকা’আত) পেয়েছে (আবূ দাউদ, হা/৮৯৩; মুসতাদরাক আলাছ-ছহীহাইন, হা/১০১২)। সমাধান: প্রথম হাদীছ দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে, কেউ দাঁড়ানো অবস্থায় সূরা ফাতিহা পাঠের সময় পাওয়ার পরেও যদি সূরা ফাতিহা পাঠ না করে, তাহলে তার ছালাত হবে না। দ্বিতীয় হাদীছ দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে, কেউ যদি ইমামকে সরাসরি রুকূ’তে পায় এবং ফাতিহা পাঠের সময় না পায় তাহলে, তার জন্য উক্ত রুকূ রাকা’আত হিসাবে গণ্য হবে। কেননা সে সূরা ফাতিহা পাঠের সময় পায়নি। সুতরাং দুই হাদীছের মাঝে কোনো বিরোধ নেই। আবূ বাকরা রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একদা তিনি মসজিদে এসে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রুকূ’তে দেখে কাতারে শামিল না হয়েই রুকূতে যান। শেষে তিনি কাতারে গিয়ে শামিল হন। ছালাতান্তে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের কোন ব্যক্তি কাতারে শামিল হওয়ার পূর্বে রুকূ’ করেছে, অতঃপর সে কাতারে শামিল হয়েছে? আবূ বাকরা রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি। নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আল্লাহ ইবাদতের প্রতি তোমার আগ্রহ করুন! তুমি পুনর্বার এরূপ করবে না (আবূ দাউদ, হা/৬৮৪)। অত্র হাদীছে আল্লাহর নবী ছাহাবী আবূ বাকরা রযিয়াল্লাহু আনহু–কে রুকূ’ প্রাপ্ত রাকা’আতকে আবার পড়ার ব্যাপারে কিছুই বলেননি। যদি তা রাকা’আত হিসাবে গণ্য না হত তাহলে অবশ্যই তাকে ঐ রাকা’আত পড়ার নির্দেশ দিতেন।
প্রশ্নকারী : রাশেদ খান মেনন
নিলফামারী।