উত্তর : মুয়াবিয়া রযিয়াল্লাহু আনহু-কে গালি দেওয়া শিয়াদের আক্বীদা। এমন ইমামকে অপসরণ করা উচিত, যদি ফিতনার আশঙ্কা না থাকে। উম্মতে মুহাম্মাদীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হলেন ছাহাবীগণ। পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করেও তাদের মর্যাদা পাওয়া সম্ভব নয়। ইবনে তাইমিয়া রহিমাহুল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি রাসূলের ছাহাবীদের একজনকে অভিশাপ দেয় যেমন, মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান এবং আমর ইবনে আস এবং তাদের মতো কাউকে, তারা কঠোর শাস্তির যোগ্য। বরং আলেমগণ মতভেদ করেছেন, তারা কি মৃত্যুদণ্ডযোগ্য? নাকি তাদের হত্যার চেয়ে কম শাস্তি দেওয়া হবে? (মাজমাআ ফাতওয়া, ৩৫/৫৮)। ফাসেক ইমামের পিছনে ছালাত হয়ে যাবে। তবে সে যদি পাপের মাধ্যমে কুফরী করে তবে তার পিছনে ছালাত আদায় বৈধ হবে না (মাজমূ ৪/১৫১)। কোনো ছাহাবীকে কাফের বলা বা তা সমর্থন করা নিঃসন্দেহে একটি কুফরী কাজ। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কেউ তার ভাইকে কাফির বললে, তাদের দুজনের একজনের উপর তা বর্তাবে (বুখারী, হা/৬১০৪)। এক্ষেত্রে আশেপাশের কোনো ছহীহ আক্বীদার মসজিদে ছালাত আদায় করা উচিত।
প্রশ্নকারী : তারেক মাহমুদ
আশুলিয়া, ঢাকা।