কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

অহির বাস্তবতা বিশ্লেষণ (১৫তম পর্ব)

post title will place here

(মিন্নাতুল বারী- ২২তম পর্ব)


[যে হাদীছের ব্যাখ্যা চলছে :

حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ قَالَ: أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، ح وحَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا يُونُسُ، وَمَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، نَحْوَهُ قَالَ: أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ:كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْوَدَ النَّاسِ، وَكَانَ أَجْوَدُ مَا يَكُونُ فِي رَمَضَانَ حِينَ يَلْقَاهُ جِبْرِيلُ، وَكَانَ يَلْقَاهُ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ فَيُدَارِسُهُ القُرْآنَ، فَلَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْوَدُ بِالخَيْرِ مِنَ الرِّيحِ المُرْسَلَةِ.

অনুবাদ :

ইমাম বুখারী রহিমাহুল্লাহ বলেন, আমাকে আবদান হাদীছ শুনিয়েছে। তিনি বলেন, আমাকে আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক রহিমাহুল্লাহ হাদীছ শুনিয়েছে। তিনি বলেন, আমাকে ইউনুসরহিমাহুল্লাহ হাদীছ শুনিয়েছে, তিনি যুহরী রহিমাহুল্লাহ থেকে। ইমাম বুখারী রহিমাহুল্লাহ বলেন, আমাকে আরো হাদীছ শুনিয়েছেন বিশর ইবনু মুহাম্মাদ রহিমাহুল্লাহ। তিনি বলেন, আমাকে আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক রহিমাহুল্লাহ হাদীছ শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাকে ইউনুস ও মা‘মার হাদীছ শুনিয়েছেন, তারা যুহরী রহিমাহুল্লাহ থেকে। তিনি বলেন, আমাকে হাদীছ শুনিয়েছেন উবায়দুল্লাহ ইবনু আব্দুল্লাহরহিমাহুল্লাহ, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা। রামাযানে তিনি আরো বেশি দানশীল হতেন, যখন জিবরীল আলাইহিস সালাম তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতেন। আর রামাযানের প্রতি রাতেই জিবরীল আলাইহিস সালাম তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতেন এবং তাঁরা পরস্পর কুরআন তেলাওয়াত করে শোনাতেন। নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রহমতের বাতাস থেকেও অধিক দানশীল ছিলেন।]

অপরিচিত শব্দ : جود (জূদ) শব্দের সাথে সাধারণ দানের পার্থক্য আছে। জূদ সাধারণ দানের চেয়ে উঁচু স্তরের। জূদের মধ্যে এমন কিছু গুণ থাকে যা সাধারণ দানের মধ্যে থাকে না। সাধারণ দান ও জূদ-এর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে-

(১) কারো কাছে সাহায্য চাওয়ার পর দান করা হলো সাধারণ দান। আর না চাইতেই নিজে অনুভব করে খুঁজে প্রদান করার নাম জূদ, যাতে গ্রহণকারীকে ছোট হতে না হয়।

(২) জূদ মূলত অন্তরের অমুখাপেক্ষিতা ও দুনিয়াবিমুখতা। দানের পরিমাণ কম হলেও অন্তরের প্রশস্ততার কারণে জূদ হয়।

(৩) সাধারণ দানে তাকে দানশীল বলা হয়, যে বেশি দান করতে পারে। কিন্তু জূদের ক্ষেত্রে পরিমাপ কোনো ধর্তব্য নয়। একজন ১ লক্ষ টাকার মালিক, সে যদি ১০ হাজার টাকা দান করে, আর আরেকজন ১০ টাকার মালিক সে যদি ৯ টাকা দান করে বা পুরোটাই দান করে আবূ বকর রযিয়াল্লাহু আনহু-এর মতো, তাহলে উভয়ের মধ্যে আবূ বকর রযিয়াল্লাহু আনহু-এর মতো দানই জূদ বলে গণ্য হবে।

রামাযানে বেশি দান করার কারণ : রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য মাসের তুলনায় রামাযান মাসে বেশি দান করতেন। কেননা অন্য মাসের তুলনায় রামাযান মাসে তিনি ফেরেশতার সাহচর্য বেশি লাভ করতেন। পাশাপাশি পবিত্র কুরআন তথা মহান আল্লাহর বাণীর বেশি সংস্পর্শে থাকতেন, যেহেতু প্রচুর পরিমাণে কুরআন পড়া হতো। আবার ফেরেশতার সঙ্গে কুরআন পড়তেন। ফলে অহির প্রভাব অন্তরে তাজা থাকত। পাশাপাশি যেহেতু মাসটি বরকতময় রামাযান মাস, এজন্য রামাযান মাসের প্রভাবও অন্তরে কাজ করত। এই তিনটি কারণের সংমিশ্রণে তার অন্তরে যে ঈমানী জাযবা বিরাজ করত, তারই ফলশ্রুতিতে তিনি এভাবে দান করতেন।

দখিনা হাওয়ার চেয়ে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দান কীভাবে বেশি উপকারী হয় : দখিনা বাতাস সকলের পরিবেশ ও অবস্থা অনুভব করে প্রবাহিত হয় না। বরং ঢালাওভাবে সকলের নিকটে পৌঁছে যায়। তার ফলে কারো কারো উপকার হয় আবার কারো ঠাণ্ডা লেগে অসুস্থ হয়ে যায়। আবার কোনো গাছ বা ফল নষ্টও হয়ে যায়। কিন্তু আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দান করে থাকেন মানুষের অবস্থা বুঝে। ফলে যোগ্য জিনিসকে যোগ্য জায়গায় পৌঁছানো তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এজন্য তার সহযোগিতা দ্বারা মানুষের শুধুই উপকার হয়, কোনো ক্ষতি হয় না।

দখিনা বাতাস শুধু মানুষকে শারীরিক প্রশান্তি দিতে পারে। আর আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহযোগিতা মানুষকে আত্মিক ও শারীরিক সব ধরনের প্রশান্তি দেয়। তিনি যেমন টাকা দিয়ে দুনিয়াবী কাজে সহযোগিতা করেন, ঠিক তেমনি বিভিন্ন সৎ পরামর্শ দিয়ে আত্মিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগিতা করেন, যা তার সহযোগিতাকে দখিনা বাতাসের চেয়েও বেশি উপকারী হিসেবে সাব্যস্ত করে।

হাদীছ থেকে উপকারিতা :

(১) যিকিরের মধ্যে সবচেয়ে উপকারী যিকির হচ্ছে কুরআন তেলাওয়াত। এজন্য জিবরীল আলাইহিস সালাম ও আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন একত্রিত হতেন, তখন কুরআন নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন।

(২) সৎসঙ্গীর কাছে মাঝেমধ্যে যাওয়া ভালো, তাতে ঈমান নবায়ন ও তাজা হয়।

(৩) সৎ মানুষেরা যেখানে একত্রিত হন, সেই মজলিসে বেশি বেশি দান করা ভালো।

(৪) রামাযানে কুরআন মাজীদ পড়ে একবার হলেও শেষ করা উচিত।

হাদীছ নং : ৬

حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ الحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ بْنَ حَرْبٍ أَخْبَرَهُ: أَنَّ هِرَقْلَ أَرْسَلَ إِلَيْهِ فِي رَكْبٍ مِنْ قُرَيْشٍ، وَكَانُوا تُجَّارًا بِالشَّأْمِ فِي المُدَّةِ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَادَّ فِيهَا أَبَا سُفْيَانَ وَكُفَّارَ قُرَيْشٍ، فَأَتَوْهُ وَهُمْ بِإِيلِيَاءَ، فَدَعَاهُمْ فِي مَجْلِسِهِ، وَحَوْلَهُ عُظَمَاءُ الرُّومِ، ثُمَّ دَعَاهُمْ وَدَعَا بِتَرْجُمَانِهِ، فَقَالَ: أَيُّكُمْ أَقْرَبُ نَسَبًا بِهَذَا الرَّجُلِ الَّذِي يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ؟ فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: فَقُلْتُ أَنَا أَقْرَبُهُمْ نَسَبًا، فَقَالَ: أَدْنُوهُ مِنِّي، وَقَرِّبُوا أَصْحَابَهُ فَاجْعَلُوهُمْ عِنْدَ ظَهْرِهِ، ثُمَّ قَالَ لِتَرْجُمَانِهِ: قُلْ لَهُمْ إِنِّي سَائِلٌ هَذَا عَنْ هَذَا الرَّجُلِ، فَإِنْ كَذَبَنِي فَكَذِّبُوهُ. فَوَاللَّهِ لَوْلاَ الحَيَاءُ مِنْ أَنْ يَأْثِرُوا عَلَيَّ كَذِبًا لَكَذَبْتُ عَنْهُ. ثُمَّ كَانَ أَوَّلَ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَنْ قَالَ: كَيْفَ نَسَبُهُ فِيكُمْ؟ قُلْتُ: هُوَ فِينَا ذُو نَسَبٍ، قَالَ: فَهَلْ قَالَ هَذَا القَوْلَ مِنْكُمْ أَحَدٌ قَطُّ قَبْلَهُ؟ قُلْتُ: لاَ. قَالَ: فَهَلْ كَانَ مِنْ آبَائِهِ مِنْ مَلِكٍ؟ قُلْتُ: لاَ قَالَ: فَأَشْرَافُ النَّاسِ يَتَّبِعُونَهُ أَمْ ضُعَفَاؤُهُمْ؟ فَقُلْتُ بَلْ ضُعَفَاؤُهُمْ. قَالَ: أَيَزِيدُونَ أَمْ يَنْقُصُونَ؟ قُلْتُ: بَلْ يَزِيدُونَ. قَالَ: فَهَلْ يَرْتَدُّ أَحَدٌ مِنْهُمْ سَخْطَةً لِدِينِهِ بَعْدَ أَنْ يَدْخُلَ فِيهِ؟ قُلْتُ: لاَ. قَالَ: فَهَلْ كُنْتُمْ تَتَّهِمُونَهُ بِالكَذِبِ قَبْلَ أَنْ يَقُولَ مَا قَالَ؟ قُلْتُ: لاَ. قَالَ: فَهَلْ يَغْدِرُ؟ قُلْتُ: لاَ، وَنَحْنُ مِنْهُ فِي مُدَّةٍ لاَ نَدْرِي مَا هُوَ فَاعِلٌ فِيهَا، قَالَ: وَلَمْ تُمْكِنِّي كَلِمَةٌ أُدْخِلُ فِيهَا شَيْئًا غَيْرُ هَذِهِ الكَلِمَةِ، قَالَ: فَهَلْ قَاتَلْتُمُوهُ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: فَكَيْفَ كَانَ قِتَالُكُمْ إِيَّاهُ؟ قُلْتُ: الحَرْبُ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ سِجَالٌ، يَنَالُ مِنَّا وَنَنَالُ مِنْهُ. قَالَ: مَاذَا يَأْمُرُكُمْ؟ قُلْتُ: يَقُولُ: اعْبُدُوا اللَّهَ وَحْدَهُ وَلاَ تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا، وَاتْرُكُوا مَا يَقُولُ آبَاؤُكُمْ، وَيَأْمُرُنَا بِالصَّلاَةِ وَالزَّكَاةِ وَالصِّدْقِ وَالعَفَافِ وَالصِّلَةِ. فَقَالَ لِلتَّرْجُمَانِ: قُلْ لَهُ: سَأَلْتُكَ عَنْ نَسَبِهِ فَذَكَرْتَ أَنَّهُ فِيكُمْ ذُو نَسَبٍ، فَكَذَلِكَ الرُّسُلُ تُبْعَثُ فِي نَسَبِ قَوْمِهَا. وَسَأَلْتُكَ هَلْ قَالَ أَحَدٌ مِنْكُمْ هَذَا القَوْلَ، فَذَكَرْتَ أَنْ لاَ، فَقُلْتُ: لَوْ كَانَ أَحَدٌ قَالَ هَذَا القَوْلَ قَبْلَهُ، لَقُلْتُ رَجُلٌ يَأْتَسِي بِقَوْلٍ قِيلَ قَبْلَهُ. وَسَأَلْتُكَ هَلْ كَانَ مِنْ آبَائِهِ مِنْ مَلِكٍ، فَذَكَرْتَ أَنْ لاَ، قُلْتُ فَلَوْ كَانَ مِنْ آبَائِهِ مِنْ مَلِكٍ، قُلْتُ رَجُلٌ يَطْلُبُ مُلْكَ أَبِيهِ، وَسَأَلْتُكَ، هَلْ كُنْتُمْ تَتَّهِمُونَهُ بِالكَذِبِ قَبْلَ أَنْ يَقُولَ مَا قَالَ، فَذَكَرْتَ أَنْ لاَ، فَقَدْ أَعْرِفُ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ لِيَذَرَ الكَذِبَ عَلَى النَّاسِ وَيَكْذِبَ عَلَى اللَّهِ. وَسَأَلْتُكَ أَشْرَافُ النَّاسِ اتَّبَعُوهُ أَمْ ضُعَفَاؤُهُمْ، فَذَكَرْتَ أَنَّ ضُعَفَاءَهُمُ اتَّبَعُوهُ، وَهُمْ أَتْبَاعُ الرُّسُلِ. وَسَأَلْتُكَ أَيَزِيدُونَ أَمْ يَنْقُصُونَ، فَذَكَرْتَ أَنَّهُمْ يَزِيدُونَ، وَكَذَلِكَ أَمْرُ الإِيمَانِ حَتَّى يَتِمَّ. وَسَأَلْتُكَ أَيَرْتَدُّ أَحَدٌ سَخْطَةً لِدِينِهِ بَعْدَ أَنْ يَدْخُلَ فِيهِ، فَذَكَرْتَ أَنْ لاَ، وَكَذَلِكَ الإِيمَانُ حِينَ تُخَالِطُ بَشَاشَتُهُ القُلُوبَ. وَسَأَلْتُكَ هَلْ يَغْدِرُ، فَذَكَرْتَ أَنْ لاَ، وَكَذَلِكَ الرُّسُلُ لاَ تَغْدِرُ. وَسَأَلْتُكَ بِمَا يَأْمُرُكُمْ، فَذَكَرْتَ أَنَّهُ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تَعْبُدُوا اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا، وَيَنْهَاكُمْ عَنْ عِبَادَةِ الأَوْثَانِ، وَيَأْمُرُكُمْ بِالصَّلاَةِ وَالصِّدْقِ وَالعَفَافِ، فَإِنْ كَانَ مَا تَقُولُ حَقًّا فَسَيَمْلِكُ مَوْضِعَ قَدَمَيَّ هَاتَيْنِ، وَقَدْ كُنْتُ أَعْلَمُ أَنَّهُ خَارِجٌ، لَمْ أَكُنْ أَظُنُّ أَنَّهُ مِنْكُمْ، فَلَوْ أَنِّي أَعْلَمُ أَنِّي أَخْلُصُ إِلَيْهِ لَتَجَشَّمْتُ لِقَاءَهُ، وَلَوْ كُنْتُ عِنْدَهُ لَغَسَلْتُ عَنْ قَدَمِهِ. ثُمَّ دَعَا بِكِتَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي بَعَثَ بِهِ دِحْيَةُ إِلَى عَظِيمِ بُصْرَى، فَدَفَعَهُ إِلَى هِرَقْلَ، فَقَرَأَهُ فَإِذَا فِيهِ " بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ مُحَمَّدٍ عَبْدِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى هِرَقْلَ عَظِيمِ الرُّومِ: سَلاَمٌ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الهُدَى، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي أَدْعُوكَ بِدِعَايَةِ الإِسْلاَمِ، أَسْلِمْ تَسْلَمْ، يُؤْتِكَ اللَّهُ أَجْرَكَ مَرَّتَيْنِ، فَإِنْ تَوَلَّيْتَ فَإِنَّ عَلَيْكَ إِثْمَ الأَرِيسِيِّينَ " وَ {يَا أَهْلَ الكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ أَنْ لاَ نَعْبُدَ إِلَّا اللَّهَ وَلاَ نُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا وَلاَ يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضًا أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُولُوا اشْهَدُوا بِأَنَّا مُسْلِمُونَ} قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: فَلَمَّا قَالَ مَا قَالَ، وَفَرَغَ مِنْ قِرَاءَةِ الكِتَابِ، كَثُرَ عِنْدَهُ الصَّخَبُ وَارْتَفَعَتِ الأَصْوَاتُ وَأُخْرِجْنَا، فَقُلْتُ لِأَصْحَابِي حِينَ أُخْرِجْنَا: لَقَدْ أَمِرَ أَمْرُ ابْنِ أَبِي كَبْشَةَ، إِنَّهُ يَخَافُهُ مَلِكُ بَنِي الأَصْفَرِ. فَمَا زِلْتُ مُوقِنًا أَنَّهُ سَيَظْهَرُ حَتَّى أَدْخَلَ اللَّهُ عَلَيَّ الإِسْلاَمَ.

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ সারমর্ম অনুবাদ :

তৎকালীন বিশ্বে দুই পরাশক্তি ছিল রোম ও পারস্য। রোম বলতে ইউরোপ বুঝায়। যারা মূলত খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী ছিল। সিরিয়া, মিশর ও ফিলিস্তীন পর্যন্ত তাদের রাজত্ব বিস্তৃত ছিল। অন্যদিকে ফারসী ভাষায় যারা কথা বলে তাদেরকে ফারিস বা ফুরস বলা হয়। সেটাকেই বাংলায় পারস্য লেখা হয়। ইরানের সাম্রাজ্যই মূলত পারস্য সাম্রাজ্য। পারস্যরা ছিল অগ্নিপূজক মাজূসী। এই দুই সাম্রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত। তাদের ক্ষমতার প্রভাব বলয়ে যেহেতু মক্কা-মদীনাও ছিল এবং মক্কা-মদীনার রাজনীতিও যেহেতু অনেকটাই তাদেরকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান থাকত, তাই তাদের যুদ্ধের জয়-পরাজয় নিয়ে আরবেও চর্চা হতো। রোম সাম্রাজ্য ঈসায়ী খ্রিষ্টান ধর্ম তথা একটি আসমানী ধর্মের অনুসারী হওয়ায় মুসলিমরা তাদেরকে ভালোবাসত এবং পারস্যের অগ্নিপূজকরা মুশরিক হওয়ায় মক্কার কাফের-মুশরিকরা তাদের পক্ষ নিত। ইসলাম আবির্ভাবের প্রাক্কালে এক যুদ্ধে রোমানগণ শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। আরব এলাকা থেকে রোমানদেরকে বিতাড়িত করে পারসিকরা রোম সম্রাটকে তুরস্কের কুসতুনতুনিয়া বা ইস্তাম্বুলে আশ্রয় নিতে বাধ্য করে। উক্ত ঘটনায় মুসলিমরা অনেক কষ্ট পায় এবং মুশরিকরা অনেক খুশি হয়। তখন মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে সূরা আর-রূম অবতীর্ণ করেন। যেখানে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে, পুনরায় রোমানদের বিজয় হবে এবং তারা বায়তুল মাক্বদিস পারসিক অগ্নিপূজকদের থেকে উদ্ধার করবে। উক্ত ভবিষ্যদ্বাণীতে মক্কার কাফের-মুশরিকরা হাসি-ঠাট্টা হিসেবে গ্রহণ করে। পরবর্তীতে মহান আল্লাহর ইচ্ছায় বদর যুদ্ধ বিজয়ের বছর রোমানগণ পারসিকদের পরাজিত করে বায়তুল মাক্বদিস পুনরুদ্ধার করে।

অন্যদিকে হিজরতের পর থেকে মক্কার কাফের-মুশরিকদের সাথে মুসলিমদের ছোট-বড় যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগেই থাকে। হুদাইবিয়ার সন্ধির ফলে উভয় দলই যুদ্ধ-বিগ্রহ থেকে হালকা বিশ্রাম পায়। ফলশ্রুতিতে মক্কার কাফের-মুশরিকদের নেতা আবূ সুফিয়ান রযিয়াল্লাহু আনহু-এর নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়ী দল ব্যবসার উদ্দেশ্যে সফরে বের হয়। অন্যদিকে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন রাজা-বাদশাহগণের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য দূত পাঠানো শুরু করেন।

এই দিকে রোমান প্রধান কায়ছার মানত মেনেছিলেন যে, বায়তুল মাক্বদিস উদ্ধার করতে পারলে তিনি পায়ে হেঁটে বায়তুল মাক্বদিস যাবেন। হুদাইবিয়ার সন্ধিকালীন সময় তিনি সেই মানত পূরণ করতে বায়তুল মাক্বদিস চলে আসেন। ঠিক সেই সময়েই আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দূত দিহইয়া আল-কালবী রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চিঠি নিয়ে প্রথমে বাছরা যান, সেখান থেকে বায়তুল মাক্বদিস পৌঁছান সরাসরি কায়ছারের দরবারে। ঠিক সেই সময়েই আবূ সুফিয়ান রযিয়াল্লাহু আনহু-এর ব্যবসায়ী দলও বায়তুল মাক্বদিস পৌঁছে। মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নবুঅতের খবর আগে থেকেই কায়ছারের নিকট ছিল। এখন তার চিঠি পেয়ে তিনি আরো ভালোভাবে সেই নবীর বিষয়ে জানতে চান। তাই চিঠি পড়ার আগেই বিষয়টি তাহক্বীক্ব (বিশ্লেষণ) করার জন্য তিনি আরবের ব্যবসায়ী দলকে ডেকে পাঠান। তাদের মধ্যে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটাত্মীয় কে তা জেনে নিয়ে আবূ সুফিয়ান রযিয়াল্লাহু আনহু-কে সামনে বসান এবং কাফেলার সদস্যদেরকে তার পিছনে বসান। আবূ সুফিয়ান রযিয়াল্লাহু আনহু যদি মিথ্যা বলে, তাহলে কাফেলার বাকী সদস্যরা সেটার বিরোধিতা করবে মর্মে কায়ছার নির্দেশ প্রদান করেন। যেহেতু স্বাভাবিকভাবে আরব বিশ্বে মিথ্যাকে চরম ঘৃণ্য বিষয় হিসেবে দেখা হয়, সেক্ষেত্রে কোনো গোত্রপ্রধান যদি মিথ্যুক প্রমাণিত হয়, তাহলে তার সম্মান বলতে কিছুই বাকী থাকে না। আবূ সুফিয়ান রযিয়াল্লাহু আনহু নিজের সম্মানের খাতিরেই এবং তার সঙ্গী-সাথীদের নিকট তিনি যেন মিথ্যুক না হন এজন্য তিনি কোনো মিথ্যা উত্তর প্রদান করেননি।

নিম্নে হিরাক্লিয়াসের সাথে আবূ সুফিয়ান রযিয়াল্লাহু আনহু-এর কথোপকথন হাদীছের আলোকে তুলে ধরা হলো—

হিরাক্লিয়াস : তোমাদের মধ্যে যিনি নবুঅতের দাবি করেছেন, তার বংশ কেমন?

আবূ সুফিয়ান : তিনি আমাদের মধ্যে উঁচু বংশের সন্তান।

হিরাক্লিয়াস : তার পূর্বে সেই বংশে কেউ কি নবুঅতের দাবি করেছিল?

আবূ সুফিয়ান : না! করেনি।

হিরাক্লিয়াস : নবুঅতের দাবিদার সেই ব্যক্তির বাপ-দাদার মধ্যে কেউ কি রাজা-বাদশাহ ছিল।

আবূ সুফিয়ান : না! ছিল না।

হিরাক্লিয়াস : তার অনুসরণ যারা করেন, তারা কি উচ্চ শিক্ষিত, উচ্চ বংশের, সম্ভ্রান্ত বংশের মানুষ না সমাজের দুর্বল শ্রেণির মানুষ?

আবূ সুফিয়ান : যারা সমাজের সাধারণ স্তরের মানুষ তারা তার অনুসরণ করে।

হিরাক্লিয়াস : তার অনুসারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে না কমছে?

আবূ সুফিয়ান : দিন দিন বাড়ছে।

হিরাক্লিয়াস : তার আনীত দ্বীনে প্রবেশ করার পর কেউ কি অসন্তুষ্ট হয়ে বের হয়ে আসে?

আবূ সুফিয়ান : না! সেই দ্বীনে একবার প্রবেশ করলে কেউ বের হয়ে আসে না।

হিরাক্লিয়াস : নবুঅতের দাবি করার পূর্বে তাকে কি কখনো মিথ্যা বলতে দেখা গেছে?

আবূ সুফিয়ান : না! নবুঅত দাবি করার পূর্বে তিনি কখনো মিথ্যা বলেননি।

হিরাক্লিয়াস : তিনি কি কখনো ওয়াদা বা চুক্তি ভঙ্গ করেছেন?

আবূ সুফিয়ান : না! তিনি কখনো ওয়াদা বা চুক্তি ভঙ্গ করেননি। তবে বর্তমানে তার সাথে আমাদের একটা চুক্তি চলমান আছে। এটার বিষয়ে উনি কী করবেন তা বলতে পারছি না।

হিরাক্লিয়াস : তার সাথে কি তোমাদের কখনো যুদ্ধ হয়েছে?

আবূ সুফিয়ান : হ্যাঁ! যুদ্ধ হয়েছে।

হিরাক্লিয়াস : যুদ্ধের ফলাফল কী?

আবূ সুফিয়ান : যুদ্ধের ফলাফল কুয়ার বালতির মতো। কখনো আমাদের হাতে আমরা পানি তুলেছি আর কখনো তার হাতে তিনি পানি ভর্তি করেছেন।

হিরাক্লিয়াস : তিনি তোমাদের কী বিষয়ে আদেশ দেন? তার মৌলিক শিক্ষা কী?

আবূ সুফিয়ান : তার শিক্ষা হচ্ছে, শিরক করো না। এক আল্লাহর ইবাদত করো, যে সমস্ত শিরকী কথা ও কাজ তোমাদের বাপ-দাদারা করে এসেছেন, তা পরিত্যাগ করো, ছালাত আদায় করো, সত্য বলো, যাকাত আদায় করো, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করো, হারাম সম্পর্ক থেকে নিজেকে পবিত্র রাখো।

জিজ্ঞাসাবাদের পর হিরাক্লিয়াসের মন্তব্য :

উপরের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে আবূ সুফিয়ান রযিয়াল্লাহু আনহু-এর প্রতিটি উত্তরের উপর হিরাক্লিয়াস মন্তব্য পেশ করেন।

হিরাক্লিয়াস : আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, নবুঅতের দাবিদার ব্যক্তির বংশ কেমন? তুমি উত্তরে বলেছ, তিনি উঁচু বংশের। আর জেনে রাখো! নবীগণ উঁচু বংশেই প্রেরিত হয়ে থাকেন।

হিরাক্লিয়াস : আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, তার পূর্বে সেই বংশে কেউ কি নবুঅতের দাবি করেছিল? তুমি উত্তরে বলেছ, করেনি। যদি তার পূর্বে কেউ নবুঅতের দাবি করে থাকত, তাহলে আমি ভবতাম তিনি তার দেখাদেখি এই কাজ করেছেন।

হিরাক্লিয়াস : আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, নবুঅতের দাবিদার সেই ব্যক্তির বাপ-দাদার মধ্যে কেউ রাজা-বাদশাহ ছিল কি-না? তুমি উত্তরে বলেছ, ছিল না! আর জেনে রাখো, যদি তার বংশে পূর্বে কেউ রাজা-বাদশাহ থাকত, তাহলে আমি ভাবতাম তিনি সেই হারানো রাজত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য এই পথ ধরেছেন।

হিরাক্লিয়াস : আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, নবুঅতের দাবি করার পূর্বে তাকে কি কখনো মিথ্যা বলতে দেখা গেছে? তুমি উত্তরে বলেছ, তিনি কখনো মিথ্যা বলেননি। আর জেনে রাখো! যে ব্যক্তি মানুষের বিষয়ে মিথ্যা বলেন না, তিনি কীভাবে আল্লাহর বিষয়ে মিথ্যা বলবেন?

হিরাক্লিয়াস : আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, তার অনুসরণ যারা করে তারা কি উচ্চ শিক্ষিত, উঁচু বংশের, সম্ভ্রান্ত বংশের মানুষ না সমাজের দুর্বল শ্রেণির মানুষ? তুমি উত্তরে বলেছ, দুর্বল শ্রেণির মানুষ। আর জেনে রাখো! নবীদের অনুসরণ প্রথমে দুর্বল স্তরের মানুষেরাই করে থাকে।

হিরাক্লিয়াস : আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, তার অনুসারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে না কমছে? তুমি উত্তরে বলেছ, দিন দিন বাড়ছে। আর জেনে রাখো! ঈমানের অবস্থা এমনই! দিন দিন তার অনুসারী বাড়তেই থাকবে যতক্ষণ না পূর্ণতা পায়।

হিরাক্লিয়াস : আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, তার আনীত দ্বীনে প্রবেশ করার পর কেউ কি অসন্তুষ্ট হয়ে বের হয়ে আসে? তুমি উত্তরে বলেছ, না। আর জেনে রাখো! ঈমানের স্বাদ যে একবার পায় সে তা থেকে ফিরে আসে না।

হিরাক্লিয়াস : আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, তিনি কি কখনো ওয়াদা বা চুক্তি ভঙ্গ করেছেন? তুমি বলেছ, না। আর জেনে রাখো! নবীগণ ওয়াদা ও চুক্তি ভঙ্গ করেন না।

হিরাক্লিয়াস : আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, তাদের সাথে তোমাদের যুদ্ধের ফলাফল কী? তুমি উত্তরে বলেছ যে, যুদ্ধের ফলাফল কুয়ার বালতির মতো, কখনো আমাদের হাতে আমরা পানি তুলেছি আর কখনো তার হাতে তিনি পানি ভর্তি করেছেন। আর জেনে রাখো! নবীদের সাথে প্রথম প্রথম এমনই হয়। কেননা মহান আল্লাহ তাদেরকে পরীক্ষা করে থাকেন। কিন্তু শেষ সফলতা তাদেরই হয়।

হিরাক্লিয়াস : আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, তিনি তোমাদের কী বিষয়ে আদেশ দেন? তুমি উত্তরে বলেছ যে, তার শিক্ষা হচ্ছে, শিরক করো না, এক আল্লাহর ইবাদত করো, যে সমস্ত শিরকী কথা ও কাজ তোমাদের বাপ-দাদারা করে আসছে তা পরিত্যাগ করো, ছালাত আদায় করো, সত্য বলো, যাকাত আদায় করো, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করো, হারাম সম্পর্ক থেকে নিজেকে পবিত্র রাখো। জেনে রাখো! যদি তার শিক্ষা এগুলোই হয়, তাহলে একদিন আমার পায়ের নিচে যে মাটি আছে (বায়তুল মাক্বদিস) তাও তাঁর করতলগত হবে। আমি নিশ্চিতভাবে জানতাম শেষনবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসার সময় হয়েছে; কিন্তু তিনি যে তোমাদের মধ্যে আসবেন তা জানতাম না। যদি আমি নিশ্চিতভাবে জানতাম যে আমি তার নিকট পৌঁছাতে পারব তাহলে তার নিকট পৌঁছার জন্য যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতাম আর আমি যদি তার কাছে হতাম, তাহলে তার পা ধুয়ে দিতাম।

(চলবে)

আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক

ফাযেল, দারুল উলূম দেওবান্দ, ভারত; বি. এ (অনার্স), মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সঊদী আরব;
এমএসসি, ইসলামিক ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, ইউনিভার্সিটি অফ ডান্ডি, যুক্তরাজ্য।


Magazine