কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪১) : অন্য মাসের চেয়ে রামাযান মাসে যাকাত বের করার কোনো গুরুত্ব ও ফযীলত আছে কি?

উত্তর : যাকাত প্রদানের ক্ষেত্রে রামাযান মাসকে প্রাধান্য না দিয়ে নির্ধারিত সময়ে যাকাত দেওয়াই শারঈ বিধান। আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমার কাছে ২০০ দিরহাম থাকলে এবং তা পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হলে পাঁচ দিরহাম (যাকাত) দিবে। স্বর্ণের ক্ষেত্রে ২০ দীনারের কমে যাকাত নেই। ২০ দীনারে পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হলে অর্ধ দীনার যাকাত দিতে হবে। এরপর যা বাড়বে তাতে উপরিউক্ত হিসাবে যাকাত দিতে হবে’ (আবূ দাঊদ, হা/১৫৭৩; ইবনু মাজাহ, হা/১৭৯৯)। সুতরাং প্রত্যেক যাকাত প্রদানকারীর জন্য জরুরী হলো, যখন তার সম্পদের নিছাব পূর্ণ হওয়ার পর এক বছর অতিবাহিত হবে তখনই সে যাকাত আদায় করবে। যদি তার বছর রজব মাসে শেষ হয় তাহলে সে রজব মাসে যাকাত আদায় করবে। অনুরূপভাবে যে মাসে তার বছর পূর্ণ হবে সে মাসেই তাকে যাকাত আদায় করতে হবে। শুধু রামাযান মাসে যাকাত আদায় করব এমন নিয়্যতে বিলম্ব করা মোটেও উচিত নয়। যাকাত যেহেতু গরীবের হক্ব, তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার হক্ব তার নিকটে পৌঁছে দেয়া জরুরী। যদি মানুষের উপর যাকাত ফরয হওয়ার সাথে সাথে তারা তা আদায় করে তাহলে পুরা বছর গরীব-মিসকীনদের জীবিকা নির্বাহ সুবিধাজনক হবে (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনু উছায়মীন, ১৮/১৯১)।

তানজিম খাতুন

রুপসা, খুলনা।


Magazine